বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গুলি বিনিময়ের ঘটনায় পর নিখোঁজ চার সদস্যের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে।
তারা দোছড়ি-পাইনছড়ি সীমান্তের গহীন অরণ্যে বিচ্ছিন্নভাবে লুকিয়ে রয়েছেন বলে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে।
চার বিজিবি সদস্য হলেন, বিজিবি ৩১ ব্যাটালিয়নের হাবিলদার মোতালেব, ল্যান্সনায়েক বাতেন, সিপাহী জাহাঙ্গীর ও আমিনুল।
এদিকে, ওই সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির জের ধরে বিজিবি অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন এবং সীমান্ত এলাকায় শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি টহল জোরদার করেছে।
বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল লুৎফুর করিম বিষয়টি নিশ্চিত সাংবাদিকদের জানান, বিজিবির অভিযান পরিচালনার সময় তারা দলছুট হয়ে পড়েন। বর্তমানে তারা গহীন অরণ্যে লুকিয়ে আছেন। তাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
গতকাল বিকেলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ার ঘটনার পর থেকে তারা নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে, বিজিবির নিখোঁজ নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানের লাশ ফেরত চেয়ে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু দুপুর সোয়া ২টায় পর্যন্ত মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কোনো সাড়া দেয়নি।
অপরদিকে, শুক্রবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ফলে বিজিবি সীমান্তে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করেছে।
এ বিষয়ে বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল লুৎফুর করিম বলেন, ভারি অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদের মজুদ বাড়ানোসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে বিজিবি।
সীমান্তের বাইশফাঁড়ি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সীমান্তরক্ষীর পোশাকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরাও দৌছড়ি, পাইনছড়ি, তুমব্রু সীমান্তে অবস্থান করছেন। এতে প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলো। স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয় লাভে ইতিমধ্যে নিরাপদ স্থানে দূরে সরে গিয়েছেন।
গত বুধবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের ৫২ নম্বর পিলারের কাছে ৩১ বিজিবির একটি টহল দলকে লক্ষ্য করে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা গুলিবর্ষণ করেন। পরে এ নিয়ে বিজিবির সঙ্গে তাদের গুলি বিনিময় হয়। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন বিজিবির নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।