পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া এমএল পিনাক-৬ লঞ্চটির সন্ধান এখনো মেলেনি। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাটের কাছে ডুবে যাওয়া লঞ্চটির উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আজ রবিবার সকাল থেকে সপ্তম দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
গতকাল শনিবার উদ্ধারকারী জাহাজের শব্দ তরঙ্গে নদীতলে ধাতব বস্তুর অবস্থান ধরা পড়ে। অনুসন্ধান দল তথ্য যাচাই করে জানায়, বস্তুটির দৈর্ঘ্য পিনাক ৬-এর দৈর্ঘ্যের প্রায় সমান। তবে এটি ডুবে যাওয়া লঞ্চ কিনা তা নিশ্চিত হয়নি।
এর আগে শুক্রবার রাতে কাণ্ডারি ২-এর সাইড স্ক্যান সোনারে ধরা পড়ে এই ধাতব বস্তু। এটি মাওয়া ঘাট থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে লঞ্চ নিমজ্জিত হওয়া স্থানের প্রায় কাছাকাছি। সাইড স্ক্যান সোনারের মনিটরে দৃশ্যমান বস্তুটি নৌকার তলা আকৃতির মতো। বস্তুটির দৈর্ঘ্য হবে ১৬ থেকে ১৭ মিটার।
অন্যদিকে, ডুবে যাওয়া পিনাক ৬-এর দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৬ মিটার বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর উদ্ধার অভিযান সমন্বয়কারী ক্যাপ্টেন নজরুল ইসলাম। তার আগে বৃহস্পতিবার ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার নিবিড় অনুসন্ধান করেন উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা।
এদিকে, এ পর্যন্ত ৪৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল উদ্ধার হয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভদ্রকান্দা গ্রামের ইব্রাহিম খানের ছেলে আরব আমিরাত প্রবাসী আহম্মদ খান লিটন (৪০), মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বান্দরখোলার মিজানুর রহমানের স্ত্রী রুখসানা বেগম (৩০) ও তাদের সন্তান মঈন আহমেদ (৩)। এই তিনটি লাশ গতকাল হস্তান্তর করা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল বরিশালের হিজলায় দু’টি ও কাজীরহাটে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়।