মুন্সীগঞ্জের কাছে পদ্মা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ পিনাক-৬ ডুবে যাওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান অভিযান সংকুচিত করার কথা ঘোষণা করেছে। স্থানীয় জেলা প্রশাসক গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এখন তাদের মূল কাজ হচ্ছে নদীর তলদেশে যে ধাতব বস্তুর সন্ধান পাওয়া গেছে সেটি ডুবে যাওয়া জাহাজের কীনা তা নিশ্চিত করা। এই কারণে চারটি জাহাজ ছাড়া সেখান থেকে অন্যান্য সব সংস্থার নৌযান সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের হিসাব মতে, দেশের বিভিন্ন নদীতে প্রায় ৫০টির মত নৌযান ডুবে আছে যেগুলো উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। প্রতি বছরই দেশে ঘটছে নৌদুর্ঘটনা। বাংলাদেশে যাত্রীবাহী নৌযান ডুবে যাওয়ার পর উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি এমন নৌযানের মধ্যে রয়েছে এমভি রায়পুরা। এটি ২০০৫ সালে যমুনা নদীতে যুবে যায়।
তারও আগে ২০০৩ সালে এমভি নাসরিন-১ নামে একটি লঞ্চ প্রায় ২৫০০ যাত্রী নিয়ে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে যুবে যায়। সরকারি হিসাব মতেই ৫২৮ জনের মৃত্যু ঘটে এ লঞ্চডুবিতে। এই দুটি লঞ্চ পরে আর ওঠানো সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআইডব্লিউটিএ বলছে, তাদের হিসাব মতে দেশের বিভিন্ন নদীতে প্রায় ৫০টির মত নৌযান নিমজ্জিত হয়ে আছে। যেগুলো প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি পরে সেগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।