চাল চুরিসহ কোন অনিয়মের সঙ্গে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত থাকলে দোষী ব্যক্তিকে চাকুরীচ্যুতির সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে কমিটিকে অবহিত করা হলে কমিটি এ সুপারিশ করে।
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩য় বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মো: আব্দুল ওয়াদুদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। খাদ্য গুদাম নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি, ঠিকাদার নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতাসহ খাদ্য বিভাগের নানাবিধ অনিয়মে তীব্র অসন্তোষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি ।
বৈঠকে খাদ্য গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করার জন্য দায়ী ঠিকাদারকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়াসহ আইনানুগ শাস্তি প্রদানের সুপারিশ করে। এছাড়া বৈঠকে ঠিকাদার নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতা দূর করার সুপারিশও করা হয়। বৈঠকে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩’ আইনটি কার্যকর করার লক্ষ্যে ‘নিরাপদ খাদ্য বিধিমালা, ২০১৪’ প্রণয়ন এবং আইনের ৮৭ ধারা অনুসারে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠার হালনাগাদ অগ্রগতি কমিটিকে অবহিত করা হয়।
এছাড়া ইতোমধ্যে নয় লক্ষ ১৬ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগৃহীত হওয়ার বিষয়ে কমিটিকে জানানো হয়। বৈঠকে বাজার মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য মূল্যে ভাল মানের চাল সংগ্রহের ব্যাপারে নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রী মো: কামরুল ইসলাম, মো: আব্দুল মালেক, খন্দকার আবদুল বাতেন, শেখ ফজলে নূর তাপস এবং শিরিন নাঈম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। খাদ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।