বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচারের লাইসেন্স ও অর্থ লেনদেনের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে নথিপত্র চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৬ আগস্ট এসব তথ্য দাখিলের নির্দেশ দিয়ে ওই দিন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের অবকাশকালীন বেঞ্চ।
এর আগে গত ৭ আগস্ট এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলী।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আবেদনকারীর আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। কেবল টিভি নেটওয়ার্কের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে, তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে।
আবেদনে বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।
এছাড়া ভারতের তিনটি চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা ৭ দিনের মধ্যে সম্প্রচার বন্ধ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আবেদনকারীর আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ভারতে বাংলাদেশের কোনো টিভি চ্যানেল প্রচার হয় না। অথচ বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের অবাধ সম্প্রচারের ফলে যুব সমাজ ধংসের সম্মুখীন। সর্বশেষ তাদের একটি টিভি চ্যানেল স্টার জলসার ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ সিরিয়ালের পাখি চরিত্রের নামে পোশাক কিনতে না পেরে বাংলাদেশে অনেকে আত্মহত্যা করেছে। তাই যুব সমাজকে রক্ষার্থে এ রিট করা হয়েছে।