প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যকার বন্ধন অবিচ্ছেদ্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের মানুষ রক্ত দিয়ে পরস্পরকে সহযোগিতা করেছে। সেই ধারা বর্তমানেও অব্যাহত আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। সেই ধারায় তিস্তা চুক্তিও সম্পন্ন হবে বলে মনে করি।
গতকাল শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যমঞ্চ মিলনায়তনে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পংকজ সরন বলেন, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা ভারতের জাতীয় অগ্রাধিকার। দুই দেশের মানুষের স্বার্থে সম্ভাব্য সবকিছুই করবে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক সফরে যেসব বিষয়ের নিষ্পত্তি হয়নি, সেগুলোর সব ভবিষ্যতে স্থলসীমান্ত চুক্তির মতোই নিষ্পত্তি হবে। তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর একটিমাত্র কারণেই ঐতিহাসিক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তা হলো স্থলসীমান্ত চুক্তি, যার বাস্তবায়ন ৪১ বছর আটকে ছিল। প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময় যেসব চুক্তি ও সমঝোতা হয়েছে, সেগুলো দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী পালন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে অনুষ্ঠানসূচিতে 'মৌলিক অধিকার ও বাংলাদেশের সংবিধান' শীর্ষক একটি আলোচ্য বিষয়ও ছিল।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুশারী। আলোচনার আগে দুই দেশের জাতীয় সংগীত, মৈত্রী সমিতির ভাবনাসংগীত এবং বাংলা ও হিন্দি ভাষায় রবীন্দ্রনাথের 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে' গানটি পরিবেশন করা হয়। নজরুলের গান-কবিতা নিয়ে 'উন্নত মম শির' শিরোনামে একটি নৃত্যগীতানুষ্ঠান পরিবেশন করেন পশ্চিমবঙ্গের বারাসতের শিল্পীরা।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ জুন ২০১৫/ এস আহমেদ