বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের চরাপুটিয়া খালে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মজনু বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মশিউর রহমান (৩৫) নিহত হয়েছেন। এ সময়ে ১১টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৪৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব সদস্যরা। রবিবার সকালে সাড়ে আটটার দিকে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
র্যাব-৮ এর উপ অধিনায়ক ও অপারেশন অফিসার মেজর আদনান কবির জানান, র্যাব-৮ এর সদস্যরা বনদস্যু দমনে নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের চরাপুটিয়া খালে অভিযান শুরু করে। এ সময়ে কাঁকড়া আহরণ ও মাছ শিকারে নিয়োজিত জেলেদের অপহরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা ওই এলাকায় গেলে সুন্দরবনের গহীনে লুকিয়ে থাকা বনদস্যুরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এসময়ে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি শুরু করে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে বনদস্যুরা সুন্দরবনের গহীনে পালিয়ে গেলে র্যাব সদস্যরা ওই এলাকায় তাল্লাশি শুরু করে। এ সময় তারা এক বনদস্যুর গুলিবিদ্ধ লাশ ও বনের ভিতরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকা ১১টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ও ৪৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। পরে ঘটনাস্থলে আসা জেলেরা গুলিবিদ্ধ লাশ বনদস্যু মজনু বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মশিউরের বলে শনাক্ত করে।
উদ্ধারকৃত মালামাল হলো দোনলা বন্দুক ২টি, একনলা কাটা বন্দুক ৩টি, একনলা বন্দুক ২টি, এলজি ৩টি, এয়ার রাইফেল ১টি, বন্দুকের তাজা কার্তুজ ২৯টি, .২২ বোর রাইফেলের গুলি ১২৬ রাউন্ড, এয়ার গানের গুলি মোট ২৯৭টি, বন্দুকের ফায়ারকৃত কার্তুজ (খোসা) ৩২টি, দেশীয় তৈরী ধারালো অস্ত্র/রামদা ৫টি, বান্ডুলিয়ার ২ টি, টর্চলাইট ২ টি, তাস ১ সেট, চাঁদা আদায়ের কার্ড হিসেবে ব্যবহ্নত লেমিনেটিংকৃত মোট ১৬০/- টাকা (দশ টাকার নোট ৭টি এবং পাঁচ টাকার নোট ১৮টি), মোবাইল সেট ১টি ও সিমকার্ড ২টি, হাত ঘড়ি ১টি এবং বিপুল পরিমাণ রশদ সামগ্রী ও তৈজসপত্র উদ্ধার করা হয়।
নিহত মশিউরের লাশ, উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ বাগেরহাটের মংলা থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে র্যাব কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা