সিলেটস্থ হযরত শাহজালাল (র.) মাজারে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ আসামিদের করা আপিল আবেদনের রায় ১১ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন।
গ্রেনেড হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। একই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন হান্নানের ভাই মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ ওরফে অভি এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল। পাঁচ আসামিই এখণ কারাগারে আছেন বলে রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ২০০৪ সালের ২১ মে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ ৪০-৪৫ জন আহত হন।
গ্রেনেডের আঘাতে ঘটনাস্থলে পুলিশের সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল উদ্দিন নিহত হন। এছাড়াও হাসপাতালে নেয়ার পর পুলিশ কনস্টেবল রুবেল আহমেদ ও স্থানীয় হাবিল মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
এই মামলা তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ মার্চ মুফতি আব্দুল হান্নান ওরফে আবুল কালাম, হান্নানের ভাই মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ ওরফে অভি, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল, দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপন ও মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ মামলায় ৫৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সামীম মো. আফজাল তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
নিম্ন আদালতের রায়ের পর শুনানির জন্য ২০০৮ সালে আসামিদের ডেথরেফারেন্স (মুত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্টে আসে। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিল ও পরে আপিল করেন।
চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে হাইকোর্টে ডেথরেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। সবশেষে অঅজ বুধবার শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
বিডি-প্রতিদিন/৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/শরীফ