রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণতন্ত্র বিকশিত হলেই গণমাধ্যমের প্রসার ঘটে। তাই গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গণমাধ্যমকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনার দেয়া একটি সংবাদ যেন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও জাতি হয়রানির শিকার না হয়। সংবাদ প্রচার ও প্রকাশের ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। পত্রিকা বা চ্যানেলের প্রচারণাকে প্রাধান্য দিলে চলবে না।’
বুধবার দুপুর ২টায় রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সভায় রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘গণমধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এর মাধ্যমে জনগণ আশা, আকাঙ্ক্ষা ও অভিপ্রায় ব্যক্ত করে থাকে। রাষ্ট্রের অভিভাবকরা যা ভুলে যায় কিংবা পর্যাপ্তভাবে দৃষ্টি স্থাপন করে না, সেটা বলার দায়িত্ব গণমাধ্যম পূরণ করে। আবার অনেক সময় গণমাধ্যমকর্মীরা বিরাগভাজনও হয়ে থাকে। যার জন্য জাতি ও গণতন্ত্র অপূর্ণ থাকে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তবে কিছু লোকের ভূমিকার কারণে গণমাধ্যমের সুনাম যাতে ক্ষুণ্ণ না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আজকের যুগে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রযুক্তিকে জনগণের কল্যাণে দায়িত্বের সাথে ব্যবহার করা। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতির বিবেক হিসেবে সাংবাদিকরা যদি ঘটনাগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তোলে ধরতে পারে তাহলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। আমি আশাবাদী সাংবাদিকরা সে দায়িত্বটি ভালোভাবে পালন করতে পারবে।’
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৩ ফেব্রুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন