সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী এবং রাজনৈতিক মতাদর্শ বা আলোচনা–সংশ্লিষ্ট স্ট্যাটাস (কনটেন্ট) দিতে পারবেন না সরকারি কর্মকর্তারা। আজ রবিবার 'সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৬' নামে জারিকৃত নির্দেশিকায় এ তথ্য জানানো হয়।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়, কর্মস্থলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ রয়েছে। তবে সরকারি চাকরিজীবীকে দায়িত্বশীল নাগরিকসুলভ আচরণ ও অনুশাসন মেনে চলতে হবে। এছাড়া কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে- এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিপন্থী স্ট্যাটাস না দেওয়াসহ কিছু বিধি-নিষেধও নেমে চলতে হবে।
সাতটি প্রাতিষ্ঠানিক কাজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কথা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। সেগুলো হলো- দাপ্তরিক যোগাযোগ ও মতবিনিময়, সমস্যা পর্যালোচনা ও সমাধান, জনসচেতনতা ও প্রচারণা, নাগরিক সেবা সহজীকরণ ও উদ্ভাবন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ, জনবান্ধব প্রশাসন ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ নিষ্পত্তি করা।
নির্দেশিকায় বলা হয়, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৮০ শতাংশই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন। বর্তমানে সারা দেশে আট শতাধিক সরকারি অফিসে দাপ্তরিক কাজে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার হচ্ছে। এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। এ প্রেক্ষাপটে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
সাতটি প্রাতিষ্ঠানিক কাজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কথা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। সেগুলো হলো দাপ্তরিক যোগাযোগ ও মতবিনিময়, সমস্যা পর্যালোচনা ও সমাধান, জনসচেতনতা ও প্রচারণা, নাগরিক সেবা সহজীকরণ ও উদ্ভাবন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ, জনবান্ধব প্রশাসন ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ নিষ্পত্তি করা।
কিছু নিয়ম-কানুন মেনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাপ্তরিক অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। এর মধ্যে রয়েছে দপ্তরের অ্যাকাউন্ট বা পেজ বা ব্যানার ব্যক্তি বা পদবির পরিবর্তে দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানের নামে হবে। দাপ্তরিক পেজের ব্যানার বা প্রোফাইল ছবিতে কোনো ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগের পেজকে দাপ্তরিক নিজস্ব ওয়েবসাইটের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সংযুক্ত করতে হবে।
সরকারি চাকরিজীবীদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রেও কিছু নির্দেশনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দায়িত্বশীল নাগরিকসুলভ আচরণ ও অনুশাসন মেনে চলা, স্ট্যাটাস দেওয়া ও বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হওয়া, অপ্রয়োজনীয় ‘ট্যাগিং বা রেফারেন্সিং’ পরিহার করতে হবে।
এছাড়া বাংলাদেশে বসবাসকারী কোনো আদিবাসী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয়প্রতিপন্নমূলক স্ট্যাটাস দেওয়া যাবে না। ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয়প্রতিপন্ন করে; লিঙ্গবৈষম্য ও এ–সংক্রান্ত বিতর্কমূলক স্ট্যাটাস এবং জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে- এমন স্ট্যাটাস দেওয়া যাবে না।
বিডি-প্রতিদিন/২০ মার্চ ২০১৬/শরীফ