অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান মনে করি যে ৮৩ বছর বয়সেও দেশ সেবায় নিযুক্ত আছি। যদিও অবসর গ্রহণ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দেশ সেবার মহা-আনন্দের জোরে আমি এখনো সক্ষমভাবে চলছি। এর চেয়ে বড় পাওয়া আমার জন্য আর কিছু হতে পারে না।
শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ‘স্বাধীনতা উৎসব ২০১৬’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা, রাশিয়ান চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. আনাতোলী ওয়াই ডেবিডুকো, নেপালি দূতাবাসের প্রতিনিধি সুশীল কে লাংশান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আহাদ চৌধুরী, রাশিদুল আলম, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এম শাহিনুর রহমান, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ফকির আলমগীর, মুক্তিযুদ্ধ একাডেমির চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ প্রমুখ।
উৎসবের প্রথম পর্বে বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম ৪৫টি দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের আয়োজনে ছিল ‘মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র কাব্য’ শীর্ষক ডকুমেন্টারি ও যুদ্ধশিশুদের নিয়ে নির্মিত বিশেষ টেলিফিল্ম ‘চন্দ্রমুখী’ প্রদর্শনী, আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অর্থমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজকের দিনটা আমাদের জন্মদিন। দুপুর রাতে আমাদের জন্ম হয়েছে। এই দিনে অনেক কথাই মনে আসে। আমরা গণতন্ত্রের জন্য শোষণের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আমরা চেয়েছি আমাদের জীবন যাতে নিজেদের ইচ্ছামত গড়ে তুলতে পারি। তাতে যখন বাধা আসলো, তখনই মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়েছে। এই যুদ্ধে বহিঃশক্তির সাহায্য পেয়েছি। প্রত্যেক মুক্তিযুদ্ধেই সেটা হয়। আমরা সেটা পেয়েছি ভারত থেকে। আমাদের এক কোটি মানুষ সেখানে আশ্রয় পেয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি ক্লাস ওয়ানে পড়তাম। মুক্তিযুদ্ধ করতে না পারায় আমার আফসোস হয়। তবে সে আফসোস ঘোচানোর জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য আরেকটি যুদ্ধে নেমেছি। আমাদের সকলের উচিত সেই যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করা।
ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রীংলা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান রয়েছে আগামীতে সমতার ভিত্তিতে তা আরো এগিয়ে যাবে। ভারত বাংলাদেশের কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিনে এ অনুষ্ঠানে আসতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। এসময় তিনি ভারতীয় নাগরিকদের পক্ষে বাংলাদেশিদের স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানান।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব