চলতি অর্থবছরের এপ্রিলে আগের মাসের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে চলতি বছরের মার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যা এপ্রিলে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। আর গত বছরের একই সময়ে (এ্রপ্রিল) মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের বৈঠক পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আরও বলেন, চালের দাম কমায় মূল্যস্ফীতি কমেছে।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, খাদ্যপণ্য খাতে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশে, যা এর আগের মাসে (মার্চ) ছিল ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশে, যা মার্চে ছিল ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে (মার্চ) ছিল ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। খাদ্য পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১১ শতাংশে, যা এর আগের মাসে (মার্চ) ছিল ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৮০ শতাংশে, যা এর আগের মাসে (মার্চ) ছিল ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।
অন্যদিকে, শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২২ শতাংশে, যা এর আগের মাসে (মার্চ) ছিল ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। খাদ্য বহিভূর্ত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশে, যা এর আগের মাসে (মার্চ) ছিল ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১১ শতাংশে, যা এর আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ১২ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা এবং পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল–ইসলাম।
বিডি-প্রতিদিন/০৩ মে, ২০১৬/মাহবুব