অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বৈদেশিক সহায়তা ছাড়া আমাদের বাজেট বাড়ানো যেত না। ফলে বৈদেশিক ঋণ সহায়তা কমানোর কোনো উদ্যোগই সরকারের নেই, বরং বড় হারে বৈদেশিক সহায়তা নিয়ে এখন কাঠামোতে বিবর্তনের লক্ষ্যে বড় বড় প্রকল্প হাতে নেব। এখনও আমাদের বৈদেশিক সহায়তার হিসাব জিডিপির প্রায় ১৬ শতাংশ। আর বাজেটে বৈদেশিক সহায়তা হলো মাত্র ১ দশমিক ৫শতাংশ। স্বাধীনতার পর হতে এখন পর্যন্ত যত বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে তার গড় সুদের হার প্রায় ১ শতাংশ।
জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে রবিবার টেবিলে উত্থাপিত আব্দুল মতিনের (মৌলভীবাজার-২) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বা দেশের কাছ থেকে বাংলাদেশ অফিসিয়াল ডেভলপমেন্ট এ্যাসিসট্যান্স (ওডিএ) গ্রহণ করে থাকে। যার প্রায় পুরোটাই নমনীয় ঋণ কিংবা অনুদান। নমনীয় বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের মাত্রা কমালে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদের হার বৈদেশিক ঋণের সুদের হারের তুলনায় অনেক বেশি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোন অবস্থায়ই বৈদেশিক ঋণের উপর নির্ভরশীল দেশ হিসাবে গণ্য নয়। তাই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বৈদেশিক সহায়তা পাওয়ার অধিকারী। কারণ উন্নত দেশসমূহ তাদের জাতীয় রাজস্ব আয়ের শতকরা শূন্য দশমিক ৭ ভাগ উন্নয়নশীল দেশসমূহকে সাহায্য হিসাবে প্রদানের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। তবে বাংলাদেশ সবসময়েই কঠিন শতের্র বৈদেশিক ঋণ গ্রহণকে নিরুৎসাহিত করে আসছে এবং অধিক হারে বৈদেশিক সহায়তা সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রথাগত নমনীয় ঋণ গ্রহণকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। বৈদেশিক সহায়তা ও নমনীয় ঋণ সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অর্থমন্ত্রী আরো জানান, কেবল বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোগত খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগের জন্য যে সকল প্রকল্প অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখবে এবং যে সকল প্রকল্প থেকে ক্যাশ রিটার্ন প্রাপ্তির সম্ভাবনা বেশি সে সকল নীতির প্রকল্পে সীমিত আকারে নমনীয় ঋণও সংগ্রহ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ