ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে অসহিষ্ণুতা ও একই দলে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার কারণে কোথাও কোথাও ‘বিচ্ছিন্ন’ কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংসদ কার্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
দশম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সোমবার স্বতন্ত্র সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে তিনি সংসদকে এ তথ্য জানান।
আনিসুল হক বলেন, ৪ হাজার ১০৪টি ইউনিয়নে অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণভাবে ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও কমিশন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছেন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন। নির্বাচনে নারী ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পাশাপাশি নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তাদের নিরাপত্তার বিষয়েও বিশেষ নজর রাখা হয়।
মন্ত্রী আরও জানান, এবারের নির্বাচনে প্রতিটি উপজেলায় নির্বাচনী শিডিউল ঘোষণার পর থেকেই প্রতিটি উপজেলায় অতিরিক্ত ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও আচরণবিধি প্রতিপালনের লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ জুন ২০১৬/রেজা/মাহবুব