অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের বেতন সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ বাড়াতে পারবে। তবে এক্ষেত্রেও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (শিক্ষা) অনুমোদনের দরকার হবে।
মঙ্গলবার বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বেতন ও টিউশন ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে এ কথা বলা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে বর্ধিত বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে। তবে কোন অবস্থাতেই ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশেরর বেশি বাড়ানো যাবে না। তাছাড়া সংস্থাপন ব্যয় বাবদ ভর্তি নীতিমালায় বর্ণিত সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফি’র অতিরিক্ত কোন অর্থ আদায় করা যাবে না।
পরিপত্র অনুযায়ী, শুধু ঘাটতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান ঘাটতি মেটাতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফি বাড়িয়ে ওই ঘাটতি মেটাতে পারবে। এই অর্থ আদায়ের প্রস্তাব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সুপারিশসহ অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষককে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে দাখিল করতে হবে।
“জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রস্তাবটি পরীক্ষা করে তা যথাযথ প্রতীয়মান হলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (শিক্ষা) কাছে উপস্থাপন করবেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অনুমোদন করলে ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।”
এতে আরও বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা জনবল কাঠামো অনুসারে নির্ধারণ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো শ্রেণি শাখা বাড়ানো যাবে না।
বিডি-প্রতিদিন/০৯ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব