সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার হামলার শিকার খাদিজা বেগম নার্গিসকে চিকিৎসার জন্য সোমবার রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল থেকে সাভারের পক্ষাঘাত গ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) নেওয়া হয়েছে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে সাড়ে ১১টার দিকে তাকে সিআরপিতে নেওয়া হয়।
খাদিজার বাবা মাশুক মিয়া জানান, স্কয়ার হাসপাতালের ডাক্তাররা বলেছেন তার বাম হাত ও বাম পায়ের সমস্যার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নিতে হবে। এ কারণে তারা খাদিজাকে সিআরপিতে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিন সকাল ১০টার দিকে স্কয়ার হাসপাতাল থেকে খাদিজাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
গত ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে ফেরার পথে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমের হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মাথার খুলি ভেদে করে মস্তিষ্কও জখম হয়। দেড় মাসের বেশি সময় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে একাধিক অস্ত্রপচারের পর খাদিজা এখন শংকামুক্ত।
সিআরপিতে পৌঁছানোর পর খাদিজাকে সেখানকার নিউরোলজিস্ট সাইদ উদ্দিন হেলালের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনিই খাদিজার পরবর্তী চিকিৎসা করবেন। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত খাদিজা সিআরপির নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে থাকবেন বলে সিআরপি সূত্রে জানা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ