শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:৪৩, শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৮ আপডেট:

তৃতীয় মেয়াদের সরকার! স্বপ্ন নাকি বাস্তব?

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
তৃতীয় মেয়াদের সরকার! স্বপ্ন নাকি বাস্তব?

দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এখন এমন একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যেখান থেকে অন্য কোনো কিছুই অনুমান করা যাচ্ছে না, কেবল একটি বিষয় ছাড়া। জ্ঞানী-গুণী, ধনী-দরিদ্র, সাহেব-বিবি-গোলাম থেকে শুরু করে মুচি-চামার-ধোপা প্রমুখ খেটে খাওয়া মানুষকে যদি আপনি দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন তবে সবাই একবাক্যে বলে দেবেন যে, আগামীতে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসবে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষবৃন্দ অবশ্য বিষয়টি স্বীকার করেন, তবে একটু ভিন্নভাবে। তারা বলেন, সরকার অতীতের মতো একটি নীলনকশার নির্বাচন জাতির ওপর চাপিয়ে দিয়ে অভিনব কায়দায় ক্ষমতায় টিকে থাকার পাঁয়তারা করছে। আমরা জনগণকে নিয়ে তুমুল আন্দোলনের মাধ্যমে সব নীলনকশা ও চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেব।

সরকারবিরোধীদের মধ্যে যারা একটু চুপচাপ থাকতে পছন্দ করেন এবং নিয়তিতে বিশ্বাস করেন তারা খুবই সংক্ষেপে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, এভাবে চলতে পারে না, আল্লাহ সহ্য করবেন না। আবার যদি জনগণের অধিকার হরণ করা হয় তবে আসমান থেকে গজব নাজিল হবে। সরকারবিরোধী লোকজনের নানামুখী বক্তব্য ও আচরণে আওয়ামী লীগ এবং তাদের সহযোগী রাজনৈতিক বান্ধববৃন্দ আপাতদৃষ্টিতে চিন্তিত বা বিচলিত নন। তারা টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আরোহণ করে কী কী কর্ম করে অমরত্ব লাভ করবেন তা মোটামুটি চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। দল ও সরকারের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তৃতা ও বিবৃতিতে দৃঢ়তা, প্রবল আস্থা ও আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করলেও পর্দার পেছনের নানান পাটিগণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি ইত্যাদি সূত্রমতে যেমন হিসাব কষে চলেছেন তেমন ইতিহাস, অর্থনীতি, ভূগোল, পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন শাস্ত্রের নানান প্রতিষ্ঠিত সমীকরণের আলোকে পরিস্থিতির চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইদানীংকালের বক্তৃতা-বিবৃতি, নানান মন্তব্য এবং নিজ দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে প্রদত্ত আদেশ-উপদেশ পর্যালোচনা করে আমার মনে হয়েছে আগামীর সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে তিনি ভিন্নতর চিন্তা করেন। তিনি দেশের সাধারণ মানুষের মতো সরল সমীকরণে যেমন বিশ্বাসী নন তেমন তার দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কথাবার্তার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেন না। তিনি সরকারবিরোধীদের গতানুগতিক সমালোচনাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে একটি প্রশ্নবোধক নির্বাচনের ফলভোগী হতে যেমন সম্মানবোধ বা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না তেমন অভিসম্পাতকারীদের খুশি করার জন্য নিজেকে এবং দলকে যে কোনো আজাব ও গজবের লক্ষ্যবস্তুও করতে চান না। তিনি বরং রাজনীতির চিরায়ত কূটনীতি, মেধা, প্রজ্ঞা ও কৌশলের সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম এবং আন্তরিকতার সংযোগে একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদের জন্য সরকার গঠন করতে চান। আজকের দিনে দেশীয় রাজনীতির চরম বাস্তবতা হলো— বিএনপি নামক দলটি সাংগঠনিকভাবে বিধ্বস্ত। দলটির প্রথম সারির নেতৃবৃন্দের মধ্যে সমন্বয়হীনতা, কারও কারও বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ এবং বেশির ভাগ নেতা মামলা-মোকদ্দমা, পুলিশি হয়রানি ও সরকারি দলের পেশিশক্তির হুমকি দ্বারা নানাভাবে নাজেহাল হতে হতে হতোদ্যম হয়ে পড়েছেন। দলের চেয়ারপারসন জেলখানায়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রবাসে। তার পরও বিএনপির জনসমর্থন কমে গেছে কিংবা বিএনপির ভোটাররা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন এমন সম্ভাবনার কথা বদ্ধ উন্মাদরাও বলবেন না। বরং নির্বাচনের সময় পপুলার ভোট, নারী ভোটের একাংশ এবং সহানুভূতির ভোট যে বিএনপির দিকে যাবে না এমন গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না। ফলে তাদের প্রায় বেশির ভাগ ভোটের সঙ্গে অন্যান্য ভ্রাম্যমাণ ভোটের সংযোগ ঘটলে কী ফলাফল হতে পারে তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুব ভালো করেই জানেন।

বিএনপির প্রধান সহযোগী জামায়াত সম্পর্কে আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতৃত্বই বেখবর। তারা মনে করেন, জামায়াতের অর্থনৈতিক ও সাংগঠনিক মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে এবং বাংলাদেশের জামায়াত আগামী দিনগুলোয় মাথা তুলে দাঁড়ানো দূরের কথা, মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবে না। জামায়াত সম্পর্কে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের চিন্তাভাবনা যে কতটা ভয়ঙ্কর রকম ভুল ও ভ্রান্তির দ্বারা আক্রান্ত তা বোঝা যায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, জরিপকারী প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদন মূল্যায়ন করলে। তাদের তথ্যমতে, জামায়াত একটি ক্যাডারভিত্তিক সংগঠন। আওয়ামী লীগ যেসব প্রতিষ্ঠানকে জামায়াতের অর্থনৈতিক ভিত্তির উৎস মনে করছে সেগুলো আসলে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মালিকানাধীন ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান। জামায়াত মূলত পরিচালিত হয় কর্মীদের দেওয়া মাসিক ও বার্ষিক চাঁদার ভিত্তিতে।

জামায়াত সম্পর্কে সাম্প্রতিক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে যে, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে তারা অর্থনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে শক্তিমত্তা অর্জন করেছে এবং তার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন এবং প্রতিপক্ষকে আঘাত করার জন্য চুপটি করে ঘাপটি মেরে সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছে। ছাত্রশিবির, ছাত্রী সংস্থার কর্মী সংখ্যা তারা জ্যামিতিক হারে বাড়িয়েছে। মূল দলের কর্মী সংখ্যা কতটা বাড়িয়েছে তা অনুমান করা যায় সাম্প্রতিককালে তাদের পরিসংখ্যান মূল্যায়ন করলে। জামায়াতের সাংগঠনিক ভিত্তির চালিকাশক্তির ঘূর্ণায়মান কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াসের নাম রুকন। দলটির রুকন পদমর্যাদার কর্মীরাই হলো দলের প্রাণ। তারা আল্লাহর নামে শপথ গ্রহণ করে রুকন হিসেবে অভিষিক্ত হন। জামায়াতের সব কর্মী-সমর্থক কিংবা শিবিরে যোগদান করা সমর্থক ও কর্মীরা সারা জীবন ধরে স্বপ্ন দেখেন রুকনরূপে অভিষিক্ত হয়ে দলের জন্য নিজের জীবন, পরিবার ও সহায়-সম্পত্তি বিসর্জন দিয়ে গাজীরূপে বেঁচে থাকতে নতুবা মরে গিয়ে শহীদি মর্যাদায় জান্নাতলাভের জন্য।

জামায়াতের একজন কর্মী যেদিন রুকন পদে অভিষিক্ত হন সেদিন থেকে তিনি তার মাসিক অথবা বার্ষিক আয়ের শতকরা দশ ভাগ থেকে শুরু করে ২৫ ভাগ পর্যন্ত অর্থ সংগঠনকে দান করেন। তারা দলের জন্য যে কোনো ঝুঁকি গ্রহণ, জীবন বিসর্জন অথবা দলকে সেবা করার মানস নিয়ে সর্বদা নিজেকে প্রস্তুত রাখেন। জামায়াতের প্রয়াত আমির গোলাম আযম যেদিন মারা গিয়েছিলেন সেদিন সারা দেশে রুকনের সংখ্যা ছিল ৫৫ হাজার যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০ হাজারে। আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতা-কর্মীরা হয়তো তথ্য জানেন না অথবা যারা জানেন তারা হয়তো ৭০ হাজার রুকনকে নিজেদের ৭০ হাজার নেতা-কর্মীর মতো মনে করেন। কিন্তু আওযামী লীগ সভানেত্রী অবশ্যই তা মনে করেন না। কারণ তার কাছে হালনাগাদ সব গোয়েন্দা রিপোর্ট এবং প্রতিটি রিপোর্টের ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়। ফলে তিনি উদ্ভূত পরিস্থিতিকে রাজনৈতিকভাবে, কূটনৈতিকভাবে অথবা প্রশাসনিকভাবে মোকাবিলার জন্য এমন কতগুলো সিদ্ধান্ত নেন, যা সাধারণ মন-মস্তিষ্ক আন্দাজ করতে পারে না।

বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দল যথা জাতীয় পার্টি, সিপিবি, গণফোরাম, বিকল্পধারা, নাগরিক ঐক্য, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ও হেফাজতে ইসলামকে কোনো সহজ সমীকরণে ফেলে সরকার এ মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারছে না। এ ছাড়া আ স ম আবদুর রবের জাসদ, বাসদ, জাকের পার্টি প্রভৃতি দলকে রাজনৈতিক ঐক্যের বাইরে রাখা এবার আদৌ সম্ভব হবে না। ফলে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্যের যে ঝড় শুরু হবে তা সামাল দিতে না পারলে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা এ মুহূর্তে বলা মুশকিল।

আমাদের দেশের রাজনীতিতে বহির্বিশ্বের চাপ বলতে একসময় বিশ্বব্যাংক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাদাগিরিকে বোঝাত। পশ্চিমা দুনিয়ার ইংল্যান্ড, মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব ও রাশিয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর নাক গলানোর কথা শোনা যেত। অন্যদিকে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সর্বাত্মক প্রভাব তো ছিলই। অতীতকালের সেসব বিদেশি প্রভাব আজ একই বৃন্তে ফুলাকারে প্রস্ফুটিত হয়েছে ভারতবৃক্ষের ওপর ভর করে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রায় সব নাগরিক মনে করেন, ভারতকে চটিয়ে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না কিংবা একই কর্ম করে কেউ ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। জনগণের এই সাধারণ বিশ্বাসের সামনে ও পেছনে যে আরও অনেক কাহিনী আছে তা কেবল নির্বাচন বিশেষজ্ঞরাই জানেন। আর তা হলো— কোনো জাতীয় নির্বাচনে কোনো বিদেশি শক্তি কোনো রাজনৈতিক দলকে মদদ দিলে বা কারও বিরুদ্ধে বিদেশি মদদপুষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠলে গণরায় সব সময় তাদের বিরুদ্ধে যায়। ফলে নির্বাচনে জয়লাভের ক্ষেত্রে সব সময়ই ট্রাম্প, মোদি, পুতিন, এরদোগান প্রমুখের মতো কট্টর জাতীয়তাবাদী নেতৃত্বের উগ্র বক্তৃতা-বিবৃতি বিশেষ করে বিদেশি শক্তিসমূহের বিরুদ্ধে এক ধরনের মহৌষধের মতো কাজ করে।

তৃতীয় বিশ্বের রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করেন এমন বুদ্ধিজীবীদের মতে বিশ্বের সর্বত্র দরিদ্র, হতদরিদ্র কিংবা উন্নয়নশীল দেশের ক্ষমতার মসনদে যিনি বা যারাই বসুন না কেন তিনি বা তাদের অবশ্যই প্রভাবশালী বিদেশি শক্তির তাঁবেদারি করতে হবে। অন্যথায় ক্ষমতাচ্যুতি অথবা রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার ঝুঁকি মোকাবিলার পাশাপাশি সেনা বিদ্রোহের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে বিনিদ্র রজনী কাটাতে হবে। তাদের তাঁবেদারির বদনামি মাথায় নিয়ে জনগণের ক্ষোভ-বিক্ষোভ ও বিরক্তি মোকাবিলা করতে হবে। অথচ নির্বাচনের সময় তারা প্রকৃতপক্ষে কোনো সাহায্যই করতে পারবে না, কেবল দূর থেকে হুমকি-ধমকি প্রদান ছাড়া। এ কঠোর ও নির্মম বাস্তবতার জন্যই ওইসব দেশে পরপর দুবার কোনো রাজনৈতিক দল গণরায়ে নির্বাচিত হয় না। কেউ যদি গণরায় উপেক্ষা করে বিকল্প পদ্ধতিতে ক্ষমতায় থেকে যায় তবে অনাগত দিনে চতুর্মুখী বিপদ তাকে অক্টোপাসের মতো চেপে ধরে তার সব সুখ-শান্তি-আরাম-আয়েশ এবং সুনাম-সুখ্যাতি হারাম করে দেয়। উপরোক্ত প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সার্বিক অবস্থা থেকেই অনুমান করতে পারবেন। তারা অন্তহীন রাজনৈতিক সমস্যাকে প্রথাগতভাবে সমাধান না করে যে কায়দায় শাসন পরিচালনা করছেন তাতে চারদিকে কেবল শক্তি প্রয়োগের জয়জয়কার ও প্রয়োগকারীদের দাম্ভিকতা ছড়িয়ে পড়েছে। ক্ষমতার প্রকৃত ছড়ি যারা ঘোরাচ্ছেন তারা লোক দেখানোর জন্য সরকারবিরোধীদের দৌড়ের ওপর রাখছেন এবং নিজেদের মেজাজ-মর্জি, অভিরুচি, হালুয়া-রুটির বিনিময়ে সরকারের শত্রুদের জন্য দেশে এবং দেশের বাইরে নিরাপদ জায়গা করে দিয়েছেন। বিরোধী দলসমূহের কুখ্যাত বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজরা গত ১০ বছরে সরকারি নির্যাতনে বা জুলুমে ব্যবসাহারা, বাস্তুহারা অথবা সম্পদহারা হয়েছেন এমন একটি উদাহরণও নেই। অধিকন্তু দেশের বিভিন্ন সেক্টরের কৌশলগত পদ-পদবি ও অবস্থানগুলোয় সুচতুর সরকারবিরোধীদের এমনভাবে বসানো হয়েছে যারা আম-দুধের মতো রাষ্ট্রক্ষমতার সঙ্গে মিশে গিয়ে উল্টো সরকারি দলের নিরীহ নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভার্থীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য, জুলুম-নির্যাতন এবং বঞ্চনার চাবুকে ক্ষতবিক্ষত করে তুলেছেন।

আলোচনার এ পর্যায়ে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে কিছু বলা যাক। এ কথা কিছুতেই অস্বীকার করা যাবে না যে, গত ১০ বছর যারা ক্ষমতার কাছাকাছি থেকে বৈধ কিংবা অবৈধভাবে অর্থবিত্তের মালিক হয়ে পড়েছেন তারা সবাই প্রকৃতির নিয়মে দল, রাজনীতি এমনকি রক্তসম্পর্কীয় আত্মীয়স্বজনকে বাদ দিয়ে  উপার্জিত অথবা লুটপাটকৃত অর্থের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। নিজেদের বিত্তবৈভব নিয়ে কোন দেশে কিংবা কোন বনে গিয়ে প্রেমকুঞ্জ বানাবেন সেই চিন্তায় সদাসর্বদা এতটাই বিভোর থাকেন যে, দলের জীবন-মরণ সমস্যার সকরুণ আর্তি তাদের কর্ণকুহর অথবা হৃদয়বেদিতে ঢুকতে পারে না। এই শ্রেণিটি ছাড়াও আরেক শ্রেণি পয়দা হয়েছে গত ১০ বছরে যারা সরকারি ক্ষমতার ছত্রচ্ছায়ায় থেকে কারণে-অকারণে দল-বদলের লোকদের অত্যাচার-জুলুম ও নির্যাতনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই শ্রেণিটির বিবেক-বুদ্ধি লোপ পেয়েছে এবং পৃথিবীর তাবৎ অত্যাচারীর মতো তারাও স্বভাবে ভীরু ও কাপুরুষে পরিণত হয়েছে। ফলে কোনোকালে দুর্ঘটনাক্রমে তাদের প্রতিপক্ষ যদি সামান্যতম রুখে দাঁড়ানোর সাহস দেখায় তবে তারা তাদের নির্যাতনের হাতিয়ার হাতুড়ি, চাপাতি, রামদা, তলোয়ার, পিস্তল, বোমা ইত্যাদি ফেলে সবার আগে পালিয়ে যাবে।

বিগত প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে যারা মেম্বার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা এমপি হয়েছেন তার মধ্যে বিরাটসংখ্যক লোক নিজেদের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা হারানোর পাশাপাশি জনগণের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন, প্রতিপক্ষকে সামাল দেওয়া, জনগণের কাছে বিনয়ী হয়ে ভোট প্রার্থনা এবং সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে নিজের পক্ষে ব্যালট পেপারে ভোটারদের স্বীকৃতি আদায়ের মতো কঠিন কাজের জন্য যে গুণাবলি দরকার তা তারা ইতিমধ্যে হারিয়ে ফেলেছেন। তারা সরকার এবং প্রশাসনের দয়া, আনুকূল্য ও হুন্ডা-গুন্ডার মাধ্যমে জাল-জালিয়াতির নির্বাচনে জয়ী হয়ে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার বাইরে অন্য চেষ্টা-তদবির করার কথা কল্পনা করতে পারছেন না। অন্যদিকে, বিগত দিনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রশাসনের যে সম্মান ও সমীহ পেতেন তা বর্তমানে এসে ঠিক ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে উল্টে গেছে। রাষ্ট্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেভাবে প্রকাশ্যে জনপ্রতিনিধিদের মূল্যায়ন করছেন তাতে মনে হয় তাদের করুণা ছাড়া ভোটের মাঠে কেউ দাঁড়াতেই পারবেন না।

আমরা আজকের আলোচনার একদম প্রান্তসীমায় চলে এসেছি। এবার শিরোনাম প্রসঙ্গে দু-চারটি কথা বলে নিবন্ধের ইতি টানব। আমার মতে আওয়ামী লীগ যদি পুরো পরিস্থিতি সতর্কভাবে মূল্যায়ন করে এবং কারও কথা, উসকানি বা সমালোচনা গ্রাহ্য না করে নিজেদের সুবিধামতো নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে তবে তারা বিনা বাধায় তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে পারবে। অন্যদিকে, রূঢ় বাস্তবতা, দেশীয় রাজনীতির ঐতিহ্য অনুসরণ এবং সব মহলকে খুশি করার নীতি নিয়ে দেশ-বিদেশে প্রশংসা লাভের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার ফাঁদে পড়ে তবে তৃতীয় মেয়াদ তাদের কাছে দুঃস্বপ্নের বিষয়ে পরিণত হবে। লিপিস্টিক উন্নয়নের ফরমুলা অনুসরণ করে সর্বজনপরিচিত, সম্মানিত ও জনপ্রিয় লোকদের নিজেদের দলের অথবা কৌশলে বিরোধী দলের প্রার্থী বানিয়ে একটি আকর্ষণীয় সংসদ উপহার এবং বিগত দিনের চিহ্নিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে যে দৃশ্যমান জনজোয়ার সৃষ্টি হবে তাতে অনেক দুর্নাম-বদনাম, অনিয়মের অভিযোগ ভেসে যাবে।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট।

বিডি প্রতিদিন/১৪ জুলাই ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ডাকসু নেতাদের সাক্ষাৎ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ডাকসু নেতাদের সাক্ষাৎ
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
‌‌‘যেখানে মাছ থাকবে, সেখানে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে’
‌‌‘যেখানে মাছ থাকবে, সেখানে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে’
বইমেলা স্থগিত, হতে পারে নির্বাচনের পর
বইমেলা স্থগিত, হতে পারে নির্বাচনের পর
খাগড়াছড়িতে তিন পাহাড়ি নিহতের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না
খাগড়াছড়িতে তিন পাহাড়ি নিহতের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না
প্রাথমিকে বছরে ছুটি কমিয়ে ৬০ দিন হচ্ছে : মহাপরিচালক
প্রাথমিকে বছরে ছুটি কমিয়ে ৬০ দিন হচ্ছে : মহাপরিচালক
পানিসম্পদ ও পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চীন
পানিসম্পদ ও পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চীন
শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ে মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ে মাউশির নতুন নির্দেশনা
পাহাড়ে সরকারি বাহিনী ব্যতীত কেউ অস্ত্র রাখতে পারবে না
পাহাড়ে সরকারি বাহিনী ব্যতীত কেউ অস্ত্র রাখতে পারবে না
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রতিষ্ঠার ৫৪ বছর পূর্তি উদযাপন
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রতিষ্ঠার ৫৪ বছর পূর্তি উদযাপন
দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করবে দুই মন্ত্রণালয়: শারমীন এস মুরশিদ
দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করবে দুই মন্ত্রণালয়: শারমীন এস মুরশিদ
২১ লাখ মৃত ভোটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে : সিইসি
২১ লাখ মৃত ভোটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে : সিইসি
সর্বশেষ খবর
প্রবাসীদের ভোটার বানাতে নেতাকর্মীদের কাজ করতে বললেন তারেক রহমান
প্রবাসীদের ভোটার বানাতে নেতাকর্মীদের কাজ করতে বললেন তারেক রহমান

১০ মিনিট আগে | রাজনীতি

বান্ধব নিয়ে মৌ খান
বান্ধব নিয়ে মৌ খান

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘আওয়ারাপান ২’-এর শুটিংয়ে প্রথমবার একসঙ্গে ইমরান-দিশা
‘আওয়ারাপান ২’-এর শুটিংয়ে প্রথমবার একসঙ্গে ইমরান-দিশা

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এক রাতেই ইউক্রেনে রাশিয়ার ৫৯৫ ড্রোন ও ৪৮ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
এক রাতেই ইউক্রেনে রাশিয়ার ৫৯৫ ড্রোন ও ৪৮ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেষ মুহূর্তের গোলে নিউক্যাসলকে হারাল আর্সেনাল
শেষ মুহূর্তের গোলে নিউক্যাসলকে হারাল আর্সেনাল

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোসিয়েদাদকে হারিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা
সোসিয়েদাদকে হারিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএজেএফ'র সভাপতি সাইদ শাহীন, সম্পাদক আবু খালিদ
বিএজেএফ'র সভাপতি সাইদ শাহীন, সম্পাদক আবু খালিদ

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টেইলরের সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের ১৭০ রানের বিশাল জয়
টেইলরের সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের ১৭০ রানের বিশাল জয়

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আবারও নাস্তানাবুদ পাকিস্তান, চ্যাম্পিয়ন ভারত
আবারও নাস্তানাবুদ পাকিস্তান, চ্যাম্পিয়ন ভারত

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধ, চলছে চিরুনি তল্লাশি
কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধ, চলছে চিরুনি তল্লাশি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনও ট্রাম্পকে মস্কোতে আতিথ্য দিতে প্রস্তুত পুতিন: ক্রেমলিন
এখনও ট্রাম্পকে মস্কোতে আতিথ্য দিতে প্রস্তুত পুতিন: ক্রেমলিন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিশিগানে গির্জায় গুলি ও অগ্নিসংযোগে নিহত ১, আহত ৯
মিশিগানে গির্জায় গুলি ও অগ্নিসংযোগে নিহত ১, আহত ৯

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাওয়ার প্লেতে ভারতকে চাপে ফেললো পাকিস্তান
পাওয়ার প্লেতে ভারতকে চাপে ফেললো পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৪৭তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১০৬৪৪ জন
৪৭তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১০৬৪৪ জন

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনের সুরে কনার ‘নীরবে’
হাসিনের সুরে কনার ‘নীরবে’

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভাঙ্গায় দু'পক্ষের দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু, আহত ২৫
ভাঙ্গায় দু'পক্ষের দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু, আহত ২৫

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নতুন গান 'সত্তা' নিয়ে হাজির ব্যান্ড 'আভাস'
নতুন গান 'সত্তা' নিয়ে হাজির ব্যান্ড 'আভাস'

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দলীয়করণ করে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংস করা হয়েছে :আমিনুল হক
দলীয়করণ করে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংস করা হয়েছে :আমিনুল হক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেন্টমার্টিনে ১৮ কেজির পোপা মাছ ৯৫ হাজারে বিক্রি
সেন্টমার্টিনে ১৮ কেজির পোপা মাছ ৯৫ হাজারে বিক্রি

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফাইনালে পাকিস্তানকে ১৪৬ রানে গুটিয়ে দিল ভারত
ফাইনালে পাকিস্তানকে ১৪৬ রানে গুটিয়ে দিল ভারত

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্ব উদ্ভাবন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পেল বসুন্ধরা শুভসংঘের মাশিয়া
বিশ্ব উদ্ভাবন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পেল বসুন্ধরা শুভসংঘের মাশিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

পিআর হলে সকাল-বিকেল এমপি বেচাকেনা হবে : রাশেদ খান
পিআর হলে সকাল-বিকেল এমপি বেচাকেনা হবে : রাশেদ খান

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ডাকসু নেতাদের সাক্ষাৎ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ডাকসু নেতাদের সাক্ষাৎ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজীপুরে পোশাক কারখানায় আগুন
গাজীপুরে পোশাক কারখানায় আগুন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্ষমতায় যেতে একটি দল ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে : রিজভী
ক্ষমতায় যেতে একটি দল ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঠাকুরগাঁওয়ে একদিনে হাসপাতালে সাপে কাটা ৬ রোগী ভর্তি, একজন এলেন বিষধর সাপ নিয়ে
ঠাকুরগাঁওয়ে একদিনে হাসপাতালে সাপে কাটা ৬ রোগী ভর্তি, একজন এলেন বিষধর সাপ নিয়ে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টানা পাঁচ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পাকিস্তান
টানা পাঁচ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অটোরিকশা দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত
অটোরিকশা দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেকনাফে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
টেকনাফে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের ই-প্রত্যয়নপত্র যাচাইয়ের নির্দেশ
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের ই-প্রত্যয়নপত্র যাচাইয়ের নির্দেশ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানের জাহাজে ইসরায়েলের হামলা
পাকিস্তানের জাহাজে ইসরায়েলের হামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমলারা এখন পরবর্তী সরকারের অপেক্ষায়, যেকোনো সময় নেমে যেতে পারি’
‘আমলারা এখন পরবর্তী সরকারের অপেক্ষায়, যেকোনো সময় নেমে যেতে পারি’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার প্রকাশ্যে এলেন নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী, জানালেন 'পালাবেন না'
এবার প্রকাশ্যে এলেন নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী, জানালেন 'পালাবেন না'

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যস্ততার কারণে নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর বিষয়টি ভেন্ডর প্রশাসনকে জানায়নি: উপাচার্য
ব্যস্ততার কারণে নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর বিষয়টি ভেন্ডর প্রশাসনকে জানায়নি: উপাচার্য

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোর্টল্যান্ডে সেনা পাঠানোর নির্দেশ ট্রাম্পের, প্রয়োজনে ‘পূর্ণ শক্তি’ ব্যবহারের অনুমতি
পোর্টল্যান্ডে সেনা পাঠানোর নির্দেশ ট্রাম্পের, প্রয়োজনে ‘পূর্ণ শক্তি’ ব্যবহারের অনুমতি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হজের তিন প্যাকেজ ঘোষণা, কমছে খরচ
হজের তিন প্যাকেজ ঘোষণা, কমছে খরচ

১২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কেন বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত চান ট্রাম্প, কী আছে সেখানে?
কেন বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত চান ট্রাম্প, কী আছে সেখানে?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনে বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতু উন্মুক্ত
চীনে বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতু উন্মুক্ত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সময় বাংলাদেশ ওয়াকআউট করেনি বলে প্রচারিত ছবিটি ভিন্ন সময়ের : সিএ ফ্যাক্ট চেক
নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সময় বাংলাদেশ ওয়াকআউট করেনি বলে প্রচারিত ছবিটি ভিন্ন সময়ের : সিএ ফ্যাক্ট চেক

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের ১৬ পাইলট নিহত, দাবি ইরানের
১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের ১৬ পাইলট নিহত, দাবি ইরানের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রাথমিকে বছরে ছুটি কমিয়ে ৬০ দিন হচ্ছে : মহাপরিচালক
প্রাথমিকে বছরে ছুটি কমিয়ে ৬০ দিন হচ্ছে : মহাপরিচালক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘুষ গ্রহণের দায়ে চীনের সাবেক মন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড
ঘুষ গ্রহণের দায়ে চীনের সাবেক মন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিন ইউরোপের আরেকটি দেশে আক্রমণ করবেন, দাবি জেলেনস্কির
পুতিন ইউরোপের আরেকটি দেশে আক্রমণ করবেন, দাবি জেলেনস্কির

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুর্লভ খনিজ পদার্থ নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান
দুর্লভ খনিজ পদার্থ নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলায় এবার ভেনেজুয়েলা ‘জনতার হাতে’ তুলে দিল অস্ত্র
যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলায় এবার ভেনেজুয়েলা ‘জনতার হাতে’ তুলে দিল অস্ত্র

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যর্থ বয়কট আন্দোলন, পাক-ভারত ফাইনালের সব টিকিট বিক্রি
ব্যর্থ বয়কট আন্দোলন, পাক-ভারত ফাইনালের সব টিকিট বিক্রি

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কোমলমতি বাচ্চা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত জামায়াত-শিবির লেবাস ধরে থাকে: পাপিয়া
কোমলমতি বাচ্চা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত জামায়াত-শিবির লেবাস ধরে থাকে: পাপিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

পাকিস্তানের অধিনায়কের সঙ্গে ট্রফি নিয়ে ছবি তুলতে অস্বীকৃতি সূর্যকুমারের
পাকিস্তানের অধিনায়কের সঙ্গে ট্রফি নিয়ে ছবি তুলতে অস্বীকৃতি সূর্যকুমারের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপে এলো নতুন ফিচার, যে কোনো ভাষায় মুহূর্তেই অনুবাদ
হোয়াটসঅ্যাপে এলো নতুন ফিচার, যে কোনো ভাষায় মুহূর্তেই অনুবাদ

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খাগড়াছড়িতে তিন পাহাড়ি নিহতের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না
খাগড়াছড়িতে তিন পাহাড়ি নিহতের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিজ কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
নিজ কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইতালির ভুয়া নুলস্তা দেখিয়ে কোটি টাকার প্রতারণা, ঢাকায় নারী গ্রেফতার
ইতালির ভুয়া নুলস্তা দেখিয়ে কোটি টাকার প্রতারণা, ঢাকায় নারী গ্রেফতার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অগ্নিকাণ্ডে তিন ফায়ার ফাইটারসহ চারজনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
অগ্নিকাণ্ডে তিন ফায়ার ফাইটারসহ চারজনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজাকে নিয়ে ২৮ সদস্যের বাংলাদেশ প্রাথমিক দল ঘোষণা
হামজাকে নিয়ে ২৮ সদস্যের বাংলাদেশ প্রাথমিক দল ঘোষণা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিল সান মারিনো
ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিল সান মারিনো

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইইউ বা ন্যাটো রাষ্ট্রগুলোতে হামলার কোনও ইচ্ছা নেই: রাশিয়া
ইইউ বা ন্যাটো রাষ্ট্রগুলোতে হামলার কোনও ইচ্ছা নেই: রাশিয়া

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই মার্কিন নাগরিক এনায়েতের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
সেই মার্কিন নাগরিক এনায়েতের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের বিরুদ্ধে নই, ভারতের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে: কর্নেল অলি
ভারতের বিরুদ্ধে নই, ভারতের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে: কর্নেল অলি

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে: কলম্বিয়া
যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে: কলম্বিয়া

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে অভিষেক-হার্দিকের চোট নিয়ে শঙ্কা, মুখ খুললেন কোচ
ফাইনালে অভিষেক-হার্দিকের চোট নিয়ে শঙ্কা, মুখ খুললেন কোচ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
মিত্রদের জন্য ৫০ আসন বিএনপির
মিত্রদের জন্য ৫০ আসন বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

অরণ্যে আওয়ামী লীগ, রাস্তায় গর্ভপাতের উন্নয়ন
অরণ্যে আওয়ামী লীগ, রাস্তায় গর্ভপাতের উন্নয়ন

সম্পাদকীয়

হাজী সেলিমের বাড়ি থেকে বিলাসবহুল ছয় গাড়ি উদ্ধার
হাজী সেলিমের বাড়ি থেকে বিলাসবহুল ছয় গাড়ি উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা

খাগড়াছড়িতে নিহত ৩
খাগড়াছড়িতে নিহত ৩

প্রথম পৃষ্ঠা

মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির হেভিওয়েট নেতারা
মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির হেভিওয়েট নেতারা

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইলিশের আকার অনুযায়ী দাম নির্ধারণের সুপারিশ
ইলিশের আকার অনুযায়ী দাম নির্ধারণের সুপারিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

মনোনয়ন পেতে বিএনপির ৮ নেতা তৎপর, অন্য দলের একক প্রার্থী
মনোনয়ন পেতে বিএনপির ৮ নেতা তৎপর, অন্য দলের একক প্রার্থী

নগর জীবন

সোনা জাদু মণি লে...
সোনা জাদু মণি লে...

শোবিজ

নেপালে প্রকাশ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী
নেপালে প্রকাশ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী

পূর্ব-পশ্চিম

ব্যাট হাতে সেরা অভিষেক শর্মা
ব্যাট হাতে সেরা অভিষেক শর্মা

মাঠে ময়দানে

ধর্ম যার যার নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার
ধর্ম যার যার নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার

প্রথম পৃষ্ঠা

এক বিলিয়নের ফাঁদে পাঁচ বিলিয়নের স্বপ্ন
এক বিলিয়নের ফাঁদে পাঁচ বিলিয়নের স্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

উত্তরের ২৫ উপজেলায় পানিসংকট
উত্তরের ২৫ উপজেলায় পানিসংকট

নগর জীবন

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে নেপালের ইতিহাস
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে নেপালের ইতিহাস

মাঠে ময়দানে

উপদেষ্টা পদ নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছি
উপদেষ্টা পদ নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্লাস-মাইনাসের রাজনীতি
প্লাস-মাইনাসের রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসের প্রশংসায় ফখরুল
ড. ইউনূসের প্রশংসায় ফখরুল

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে থাকতে শর্ত এনসিপির
ভোটে থাকতে শর্ত এনসিপির

প্রথম পৃষ্ঠা

আফগানিস্তান সিরিজে ফিরলেন সৌম্য সরকার
আফগানিস্তান সিরিজে ফিরলেন সৌম্য সরকার

মাঠে ময়দানে

এবার সরকারি ব্যাংক একীভূত করার সুপারিশ
এবার সরকারি ব্যাংক একীভূত করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে চলচ্চিত্র, বেকারত্ব বাড়ছে
সংকটে চলচ্চিত্র, বেকারত্ব বাড়ছে

শোবিজ

নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানো নিয়ে যা বললেন ভিসি
নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানো নিয়ে যা বললেন ভিসি

প্রথম পৃষ্ঠা

গ্যালারিতে বসে দেখার দিন শেষ, আমরা এখন খেলব
গ্যালারিতে বসে দেখার দিন শেষ, আমরা এখন খেলব

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বনিম্ন ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা
সর্বনিম্ন ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

গাজায় নিহত ৬৬ হাজার ছাড়াল
গাজায় নিহত ৬৬ হাজার ছাড়াল

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্ট সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে
ফ্যাসিস্ট সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে

নগর জীবন

দেবী দুর্গার তত্ত্ব
দেবী দুর্গার তত্ত্ব

সম্পাদকীয়

বগুড়ার টিএমএসএস বিনোদন জগৎ
বগুড়ার টিএমএসএস বিনোদন জগৎ

সম্পাদকীয়

চতুর্থ দিনের মতো দূরপাল্লার বাস বন্ধ
চতুর্থ দিনের মতো দূরপাল্লার বাস বন্ধ

পেছনের পৃষ্ঠা