‘কৃষক আইয়ুব আলীর বাড়িতে মাদকদ্রব্য আছে’—পুলিশকে এই মিথ্যা তথ্য দিয়ে হট্টগোল বাধানো এবং ওই কৃষকের গরু বিক্রির ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা লুটের বিচারে শালিস বৈঠক বসেছিল গত সোমবার সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে। ওই বৈঠকে বিশৃঙ্খলা শুরু হলে দাঁড়িয়ে ‘শান্ত হোন, শান্ত হোন’ আহ্বান জানাচ্ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক পলাশ কুমার মণ্ডল। তখন শালিস সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন ও তার সমর্থকরা পলাশকে পিটিয়ে জখম করেন। নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নে কৃষক আইয়ুব আলীর বাড়ি। তিনি অভিযোগ করেন, গত ২৫ আগস্ট শনিবার রাত আড়াইটায় ইউপি সদস্য ও যুবলীগের ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এমরান আলীর ইন্ধনে পুলিশ তার বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে থাকা চার সোর্স তার গরু বিক্রির ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এমরান আলীর ইন্ধনে কৃষককে নাজেহাল করায় ইতিমধ্যে এএসআই আবুল কালামকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। পলাশ কুমার জানান, শালিসের সভাপতি ও অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতারা ইউপি সদস্য এমরান আলীর পক্ষ নিয়ে বিচারের নামে প্রহসন করেছেন। তিনি প্রতিবাদ করায় আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল তাকে পিটিয়ে জখম করেন। পলাশ এই অনাচারের বিচার দাবি করেছেন। শালিস বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এমরানকে সবার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। মুচলেকা দিতে হবে। ভবিষ্যতে এরকম মিথ্যাচার করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। শালিসে উপস্থিত শত শত মানুষ এই বিচারকে ‘প্রহসনের বিচার’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তোফাজ্জল হোসেন দাবি করেন, শালিসে তিনি কোনো পক্ষপাতিত্ব করেননি। তিনি বলেন, আমি শুধু পরিস্থিতি শান্ত করতেই পলাশকে থাপ্পড় মেরেছি। সে শালিস পন্ড করতে চেয়েছিল। বাড়ি লুটের ঘটনা নিয়ে কেন শালিস করছেন? জবাবে তিনি বলেন, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য এমরান আমার পরিষদের সদস্য। তাই বিচার করেছি। পুলিশের তাণ্ডবের বিচারের কি হবে, প্রশ্ন করা হলে তোফাজ্জল বলেন, ওটা পুলিশ বিভাগীয় ব্যাপার।