জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে দেশের গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। সাংবাদিক ও নির্মাতাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচারের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের অসংখ্য গৌরবগাঁথা ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছে।
দেশবরেণ্য সাংবাদিক ও ‘দৈনিক সংবাদ’-এর সম্পাদক প্রয়াত বজলুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত থেকে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ পরিশ্রমী, সাহসী ও নিবেদিত সাংবাদিক ও নির্মাতাদের বজলুর রহমান স্মৃতিপদক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে ধন্যবাদ জানান স্পিকার।
রাজধানীর আগারগাঁওস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আজ ‘বজলুর রহমান স্মৃতিপদক ২০১৮’ প্রদান অনুষ্ঠানে স্পিকার এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী ও রবিউল হুসাইন, দৈনিক সংবাদের সম্পাদক মনিরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিক কালের কন্ঠের যশোর প্রতিনিধি ফখরে আলম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় একাত্তর টিভির সাংবাদিক শিল্পী মহলা নবিশকে পদক প্রদান করা হয়।
স্পিকার আরও বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা এবং গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে বজলুর রহমান লেখনী চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল, সৎ ও যোগ্য সাংবাদিক তৈরিতে বজলুর রহমানের আদর্শ সাংবাদিক সমাজকে অনুপ্রাণিত করবে।
স্পিকার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক বজলুর রহমান আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন একজন অগ্রসৈনিক। তিনি ছিলেন সৎ, নির্ভীক এবং দৃঢ়চেতা সাংবাদিক। ইতিহাস, সাহিত্য ও দর্শন সকল ক্ষেত্রেই তাঁর ছিল সরব পদচারণা। শোষণমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে কাজ করে গেছেন তিনি। তার কর্মদক্ষতা ও স্বদেশপ্রেম সাংবাদিকতার গন্ডি ছাড়িয়ে তাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে অনন্য উচ্চতায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার