একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি, গণফোরাম ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচিত আটজন সংসদ সদস্যের মধ্যে সাতজনই শপথ নিয়েছেন। সংবিধান মোতাবেক ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নেওয়ার নির্ধারিত তারিখ শেষ হয়ে গেছে ২৯ এপ্রিল। একাদশ সংসদের সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছিলেন ৩০ জানুয়ারি।
সোমবার নির্ধারিত ৯০ দিনের শেষদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া এমপি হিসেবে শপথ নেন বিএনপির চারজন সংসদ সদস্য। এসময় অসুস্থতাজনিত কারণে পরে শপথ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে স্পিকারের কাছে মির্জা ফখরুল চিঠি দিয়েছেন বলে বিএনপি সূত্র উদ্বৃত করে খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি অফিশিয়ালি পৌঁছেনি জাতীয় সংসদের স্পিকারের দফতরে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকদের কৌতুহলের জবাব দিতে গিয়ে হাসিমুখে জানান, কোথায় চিঠি, আমিও খুঁজছি। আপনারা এ বিষয়ে উনাকে জিজ্ঞেস করেন। সাংবাদিকরা এসময় বলেন, বিএনপি মহাসচিব নিজেই আজ বলেছেন তিনি চিঠি দেননি। উনি শপথ নিবেন না। এটাও নাকি দলেরও সিদ্ধান্ত। সেক্ষেত্রে শপথ নেওয়ার নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় ফখরুলের আসন কী শূন্য হয়ে গেল? এরপরই সিরিয়াস হয়ে যান স্পিকার।
তিনি বলেন, সে কথা তো আমি বলিনি। এ বিষয়ে সংবিধান অনুযায়ী যে ব্যবস্থা আছে, সেটা হবে। এসময় বাংলাদেশ প্রতিদিনের পক্ষে ‘কোনো নির্বাচিত সদস্য বা দলের পক্ষ থেকে যদি আবেদন করা হয়ে থাকে, তা গৃহীত হবে কীনা' জানতে চাইলে স্পিকার বলেন, যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ আবেদন করে থাকেন, তাহলে পরেও শপথ নিতে পারবেন।
এসময় আরেক সাংবাদিক জানতে চান, আপনি তো বলেছেন, আপনি চিঠি খুঁজছেন? স্পিকার বলেন, চিঠি আমার দফতরে এখনও এসে পৌঁছেনি। তবে সেই চিঠি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংসদ ভবনের কোথাও রিসিভ হয়ে থাকলে, তাহলেই হলো।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম