চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন খন্দকার সাজ্জাদুর রহিমের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের প্রধান প্রকৌশলী গাজী মাহমুদ ইকবালকে করা হয়েছে সাময়িক বরখাস্ত। দায়িত্তে চরম অবহেলার কারণে গতকাল এই দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বিমান পরিচালনা পর্ষদ।
বিমানের নির্ভরযোগ্য সূত্র এসব তথ্য দিয়ে বলেছে, ২০১৮ সালের ৩০শে এপ্রিল চুক্তিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক পদে নিয়োগ পান খন্দকার সাজ্জাদুর রহিম। একের পর এক বিমানের ফ্লাইটে ক্রটি ধরা পড়লেও এ বিষয়ে তিনি কার্যত কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি। জরুরি অবতরণ করতে হয়েছে বেশ কয়েকটি ফ্লাইটের। সর্বশেষ বিমানের হজ্জ ফ্লাইটে ক্রটি পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে বেশ কিছু হাজিদের দেশে ফেরত আনা সম্ভব হাচ্ছে না।
সূত্র জানায়, চলতি বছর হজযাত্রী পরিবহনে বিমান নিজস্ব চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে। এসব উড়োজাহাজের প্রতিটি ৪১৯ জন যাত্রী পরিবহনে সক্ষম।
একটি উড়োজাহাজ বিকল হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা নির্ধারিত ফ্লাইটে ফিরতে পারবেন না। ফলে দুর্ভোগে পড়বেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিমান কর্মকর্তা বলেন, কোরবানির ঈদের আগে এই উড়োজাহাজটির একটি ইঞ্জিন বিকল হলে তা বদলে নতুন ইঞ্জিন লাগানো হয়েছিল। দুদিন আগে আরেকটি ইঞ্জিন বিকল হয়। নতুন ইঞ্জিন এনে সংযোজন করতে কতটা সময় লাগতে পারে এ বিষয়ে স্পষ্ট কেউ কিছু বলতে পারেননি।
অন্যদিকে একই সময়ে বিমানে প্রধান প্রকৌশলী পদে স্থায়ী নিয়োগ পেয়েছিলেন গাজী মাহমুদ ইকবাল।
সূত্র জানায়, উড়োজাহাজ লিজ ক্যালেংকারির সাথে জড়িয়ে পড়েছে প্রধান এই প্রকৌশলীর নাম। ইজিপ্ট এয়ার ওয়েজের দুটো উড়োজাহাজ লিজ নেয় বিমান। লিজের পুরো কাজটি করেন প্রধান প্রকৌশলী। কিন্তু বার বার গ্রাউন্ডেড থাকতে হয়েছে উড়োজাহাজ দুটিকে। ভিয়েতনামে পড়ে আছে এই দুটো উড়োজাহাজ। প্রতিমাসে মাসে বিরাট অংকের গচ্চা দিতে হচ্ছে বিমানকে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন