সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় নারী কোটায় ভোলা জেলায় ২৯টি পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের চূড়ান্ত ফলাফলে নারী কোটায় শতকরা ৬০ ভাগ নিয়োগ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সোমবার ভোলা জেলার নিয়োগ বঞ্চিত ২৯ জন প্রার্থীর দায়ের করা এক রিট শেষে বিচারপতি এ এফ এম নাজমুল হাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম রাহুল ও অ্যাডভোকেট সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ চারজনকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, সরকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ বিধিতে বলা হয়েছে সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ৬০ শতাংশ নারী প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করতে হবে।
চূড়ান্ত ফলাফলে ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন। ওই ফলাফলে নারী প্রার্থীদের তুলনায় পুরুষ প্রার্থীদের বেশি নির্বাচিত করা হয়। যা উক্ত বিধি লঙ্ঘন করে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
একইভাবে ভোলা জেলায় সর্বমোট ৩৪৪ প্রার্থীকে চূড়ান্ত ফলাফলে নির্বাচিত করা হয়। তার মধ্যে ১২৭ জন নারী ও ২১৭ জন পুরুষ প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। কিন্তু ৬০% নারী প্রার্থী হিসাবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০৬ জন নারী প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার কথা। নিয়োগ বঞ্চিত হওয়ায় ভোলার ২৯ জন প্রার্থী ৬০% নারী কোটায় নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেন।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আকলিমা বেগম, মারজানা ইয়াসমিন, সুমনা দেব নাথ পূজা, নাসরিন আক্তার, রোকেয়া বেগম, রাবেয়া বেগম, আকলিমা বেগম, খাদিজা বেগম লিমা, আছিয়া আক্তার লিজাসহ মোট ২৯ জন এ রিট করেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক