২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটের বিষয়ে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকনোমিক মডেলিং (সানেম) বলেছে, এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, এটি সাধুবাদ পেলেও ভয়াবহ সঙ্কট মোকাবেলায় সেটি যথেষ্ট কিনা- তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, আমরা যে বড় ধরনের স্বাস্থ্যগত সংকট দেখছি এবং সেই সংকট মোকাবিলায় যে অস্থিরতা, অদক্ষতা, সক্ষমতার অভাব দেখছি এটা কিন্তু একদিনে হয়নি, এটা দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ফলাফল। আমাদের স্বাস্থ্যখাত, বিশেষ করে সরকারি স্বাস্থ্যখাতকে দীর্ঘদিন অবহেলা করা হয়েছে এবং আমরা বেসরকারি স্বাস্থ্যখাতেও দেখছি দায়বদ্ধতার একটা বড় ধরনের অভাব। এই যে দীর্ঘ দিনের পুঞ্জীভূত ফলাফল সেটারই প্রতিফলন আমরা দেখছি এই স্বাস্থ্য সংকটে এবং সরকারি স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশায়।
ড. সেলিম বলেন, এই বছরের বাজেটের লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে স্বাস্থ্যখাত ও অর্থনীতিতে যে সব অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে সেগুলো মোকাবেলা করা এবং অর্থনীতিকে গতিশীল করা। প্রস্তাবিত বাজেটে সে দিক থেকে আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত করার যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সেটি নিয়েও প্রশ্ন আছে। এর মানে হচ্ছে খবি অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।
সানেম’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, আমরা দেখছি যে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি, বিশেষ করে সংক্রমণের মাত্রা আরও বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ছে এবং কবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবে চালু করা যাবে সেটি নিয়েও সংশয় রয়েছে। পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতির বড় দুইটি চালিকাশক্তির একটি হচ্ছে রপ্তানি, আরেকটি হচ্ছে রেমিট্যান্স; এই দুটি খাতেই আমরা বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছি।
ড. সেলিম রায়হান বলেন, ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের সমস্যা আছে। অব্যবস্থাপনার সংকট আছে, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা আছে, খেলাপি ঋণের বড় ধরনের সংকট আছে। এরকম একটা সংকটগ্রস্থ ব্যাংকিং খাতের মাধ্যমে প্রণোদনা প্যাকেজ কীভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে সেটিরও একটা পথনির্দেশিকা বাজেটে থাকা দরকার ছিল।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম