১৬ জুন, ২০২১ ১৭:১৯

দেশের মানুষকে দুই ডোজ টিকা দিতে ১০ বছর লাগবে: সংসদে বাবলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের মানুষকে দুই ডোজ টিকা দিতে ১০ বছর লাগবে: সংসদে বাবলা

সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা-৪ আসনের এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেছেন, আমাদের দেশে সরকার টিকা প্রদানে যে পরিকল্পনার কথা বলেছে, তাতে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে এক ডোজ টিকা দিতে ৫ বছর লাগবে। দুই ডোজ দিতে ১০ বছর লাগবে। এই পরিকল্পনায় এগুলে ১০ বছরে দেশের অর্থনীতি কী হবে তা বুঝতে পারছি না। 

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। 

এসময় এমপি বাবলা প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতার দোয়া আর দেশের মানুষের ভালোবাসায় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা আজ ওয়ার্ল্ড ক্লাস লিডার হিসেবে বিশ্ব দরবারে সমাদৃত। তার যোগ্য আর দৃঢ় চেতা নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর বুকে নতুন করে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। দেশ-বিদেশী কোনো অপ-শক্তি চক্রান্ত ষড়যন্ত্র আর অপপ্রচার করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি আর সমৃদ্ধির ধারাকে রুদ্ধ করতে পারবে না।
 
বাবলা বলেন, এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেট এটি। আলোচিত এই বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এতো বিশাল ঘাটতি পূরণ করতে যে ব্যবস্থা কথা বলা হয়েছে তা বাস্তবসম্মত নয়। আমি মনে করি এই বাজেট ব্যাপকভাবে সংশোধন বা রদবদল করতে হবে। 

বাবলা আরও বলেন, করোনা মহামারির কারণে অনেকের মতো আজ দেশের লাখো শিক্ষিত চাকরি প্রত্যাশিদের অপেক্ষার পালা দীর্ঘ হচ্ছে। আমরা জানি, গত দেড় বছরে সরকারি-বেসরকারি সেক্টরে ৮৭ ভাগ চাকরির বিজ্ঞপ্তি বন্ধ আছে। আর এই করোনার সময়ে চাকরিতে আবেদনের বয়স অর্থাৎ ৩০ বছর পার করেছে দেড় লাখের বেশি চাকরিপ্রত্যাশী। তারা বিসিএসসহ সব চাকরিতে আবেদনের বয়স বাড়ানোর জন্য শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে।

আমি মনে করি, করোনকালে বিসিএসসহ সকল চাকরি পরীক্ষায় আবেদনের বয়স বাড়ানোর দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। কারণ, নব্বই দশকের শুরুতেও চাকরিতে আবেদনে সর্বোচ্চ বয়স ছিল ৩০। তখন গড় আয়ু ছিল ৫৫। আজ তিন দশক পরও চাকরিতে আবেদনে বয়স বাড়েনি অর্থাৎ সেই ৩০ ই আছে। কিন্তু এই সময়ে আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে। আজ সরকারের গৃহিত সার্বিক সু-ব্যবস্থাপনার কারণে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর অতিক্রম করেছে। এই কৃতিত্ব বর্তমান সরকারের এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। তাই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিনীতভাবে নিবেদন করছি, করোনকাল বিবেচনায় এই তরুণদের দাবির বিষয়টি যেন সুবিবেচনায় নেয়া হয়।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর