আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনার সময় একমাত্র রাষ্ট্র, রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল স্তর, সকল অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসহ একযোগে দল এবং সেই প্রতিষ্ঠানগুলি একসাথে কাজ করে যাচ্ছে। এখানে দ্বান্দ্বিকতার কোন সুযোগ নাই। এখানে সাংঘর্ষিক কোন বিষয় নেই।
বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনাভাইরাস সংক্রমিত সীমান্তবর্তী জেলা-উপজেলায় সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। পরে প্রায় ৩০টি জেলা-উপজেলায় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল তাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, একটি গাড়ি যেমনিভাবে শুধু একটি ইঞ্জিনে চলে না, গাড়িটির টায়ার-টিউব ছাড়া যেমন গাড়ি সম্ভব নয়, ঠিক তেমনিভাবে গাড়ির আরও বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গ রয়েছে; যেগুলি ছাড়া একটি পূর্ণাঙ্গ গাড়ি চলতে পারে না। ঠিক রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে সকলকেই প্রয়োজন। রাজনৈতিক নেতৃত্ব, রাজনৈতিক দল সব মিলিয়ে এবং সরকারের সকল প্রতিষ্ঠানগুলো দিয়েই সরকার পরিচালনা করতে হয়। সেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি, সফল দায়িত্বই পালন করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গত ১২ বছর। এই সময়টিতেই একমাত্র রাষ্ট্রের সকল জায়গায় একটি শৃংখলা রক্ষা করে দেশ এগিয়ে গেছে তার উন্নতির চরম শিখরে।
তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে যে লকডাউনে সেই লকডাউনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থাকবে, অসহায় মানুষের গিয়ে পাশে দাঁড়াতে হবে এবং যারা মৃত্যুবরণ করবে, তাদের দাফন-কাফনের গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে। মানুষের পাশে থেকে মানুষকে বেশি বেশি করে মাস্ক পরিধান করাকে নিশ্চিত করতে হবে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, গত বছরের মার্চ থেকে সারাবিশ্ব যখন করোনায় আক্রান্ত তখন মুখ থুবড়ে পড়েছিল, বাংলাদেশও তার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল না। বাংলাদেশও এই মরণব্যাধি করোনায় আক্রান্ত হয়। কিন্তু মাননীয় নেত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বাংলাদেশে জীবন এবং জীবিকা উভয়কে একইসাথে পরিচালনা করে, সঠিক ভূমিকা পালন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আজকে বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রাক্কালে আগামীকাল থেকে দেশ আবার একটি কঠিন লকডাইন শুরু হচ্ছে।
তিনি বলেন, যেমনিভাবে গত বছরের মধ্য মার্চ থেকে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে এবং দলের সংসদ সদস্যরা চুপ করে বসে থাকেননি। এই দলের জাতীয় নেতৃতবৃন্দ করোনা মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণে এই একমাত্র দল যার জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দকে আমাদের হারাতে হয়েছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, ত্রাণ উপকমিটি সদস্য ডা. হেদায়েতুল ইসলাম বাদল, আখলাকুর রহমান মাইনু, মাহবুবুর রহমান, হারুন অর রশিদ, শাহ মোস্তফা আলমগীর, মো. দুলাল, রফিকুল ইসলাম রনি, হাশেম রেজা, সফিক বাবু, জয়ন্ত গোপ, ইমরান, মাছুম,আবদুল বারেকসহ উপকমিটি সদস্যরা।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন