আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর যারা এই পর্যন্ত সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান আছে একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ রাজনীতিবিদ না। শেখ হাসিনা রাজনীতি করে এসেছেন বলেই বাবার মতো বাংলাদেশের মানুষের চোখের ভাষা বোঝেন এবং মনের কথা বোঝেন। যার ফলে শেখ হাসিনার মতো সফল রাজনীতিবিদ কেউই নেই।
বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনাভাইরাস সংক্রমিত সীমান্তবর্তী জেলা-উপজেলায় সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পরে প্রায় ৩০টি জেলা-উপজেলায় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এস এম কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান সেদিন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন এবং তাকে ঘিরে কিছু নস্টাল রাজনীতিবিদ, জনবিচ্ছিন্ন মুসলিম লীগ, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি এবং বিভ্রান্তিকারী অতি ডানপন্থীরা মিলে জিয়াউর রহমানকে রাজনীতিবিদ বানানোর চেষ্টা করেছেন। আর জিয়াউর রহমানই তখনই রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি সে কঠিন করে তুলেন এবং বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। সামরিক-বেসামরিক আমলাদের ওপর নির্ভর করে জিয়াউর রহমান সেদিন দেশটাকে শাসন করেছিলেন, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশকে পাকিস্তানের দ্বারে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের পথ ধরেই এরশাদ সাহেব ক্ষমতায় এসেছেন। একই শক্তি এরশাদ সাহেবকেও রাজনীতিবিদ বানানোর চেষ্টা করেছিলেন এবং মানুষের ভোটের অধিকার ছিল না।
জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, ত্রাণ উপকমিটি সদস্য ডা. হেদায়েতুল ইসলাম বাদল, আখলাকুর রহমান মাইনু, মাহবুবুর রহমান, হারুন অর রশিদ, শাহ মোস্তফা আলমগীর, মো. দুলাল, রফিকুল ইসলাম রনি, হাশেম রেজা, সফিক বাবু, জয়ন্ত গোপ, ইমরান, মাছুম,আবদুল বারেকসহ উপকমিটি সদস্যরা।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ