প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শেখ মো. এনামুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ রবিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০০ সালে গোপালগঞ্জে বোমা উদ্ধারের ঘটনার পর শেখ মো. এনামুল হক ঢাকার মোহাম্মদপুরে চলে আসেন। এর পর তিনি গাজীপুরে চলে যান। গাজীপুরের শাল্লা এলাকায় আট বছর ইমামতি করেন শেখ মো. এনামুল হক। পাশাপাশি একটি হোমিও কলেজে প্রভাষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু শেখ মো. এনামুল হক নিজেকে সেই কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পরিচয় দিতেন। শেখ মো. এনামুল হক নিজেকে ক্বারী হিসেবেও পরিচয় দিলেও তিনি পড়াশুনা করেছেন জেনারেল লাইনে। এসএসসি ও এইচএসসির পর শেখ মো. এনামুল হক বিএড পর্যন্ত পড়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ২০০৯ সালে শেখ মো. এনামুল হক ঢাকায় আসেন। উত্তরা ও বনশ্রীতে তিনি কিছুদিন ছিলেন। উত্তরায় শেখ মো. এনামুল হক আইকে হোমিও হল নামে কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ২০১৫ সালে। ২০২০ সালে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। ২০২০ সালে তিনি ক্যান্সার, এইডস ও হার্বাল চিকিৎসা শুরু করেন। শেখ মো. এনামুল হক দাবি করেছেন, অনেক ক্যান্সার রোগী তার চিকিৎসায় উপকার পেয়েছে। তবে কোনো এইডস রোগী ভালো হয়েছে কি না তা তিনি জানাতে পারেননি। শেখ মো. এনামুল হক নিজস্ব গণ্ডির মধ্যেই চিকিৎসা করাতেন।
শেখ মো. এনামুল হক নিজের নাম ও স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছিলেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম ছিল শেখ এনামুল করিম। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, অভিযুক্ত শেখ মো. এনামুল হকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে শেখ হাসিনার জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় বোমা দেখা যায়। সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের ওই বোমা উদ্ধার করে। পরদিন ২৩ জুলাই ৪০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা উদ্ধার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা