রেলের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে হাতে শেকল আর প্ল্যাকার্ড নিয়ে একাই লড়ে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।
টানা ১১ দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে অবস্থান করছেন।
রেলের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় স্টেশন ভেতর থেকে বের করে দেওয়া হয় তাকে। স্টেশনের বাইরে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করলে সেখানেও নানাভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করেছেন রনি। এছাড়া প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে এতে বিচলিত নন রনি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
রনি গণমাধ্যমকে বলেন, “৭ জুলাই থেকে তিনি কমলাপুর রেলস্টেশনের সামনে অবস্থান শুরু করি। প্রথমে একা আন্দোলনে নামলেও পরবর্তীতে আমার বন্ধুরা এসে আমার সঙ্গে যোগ দেয়। ঈদের দিনেও আমরা স্টেশনেই ছিলাম। কিন্তু আন্দোলনের তৃতীয় দিন ৯ জুলাই পুলিশ সদস্যরা বাধা দেন। আমাদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন থেকে গণস্বাক্ষর বন্ধ রেখে শুধু অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বহিরাগত লোকজন এসে আমাকে গালাগালি করেছে। পাগল বলে তারা অশ্রাব্য ভাষায় নানা কথা বলছে। তবে আমি মনে করি আমার সাথে দেশের সব মানুষ একমত। দীর্ঘদিন ধরে রেলের অব্যবস্থাপনা চলছে। এটা শুধু আমার একার লড়াই না। জয়ী না হওয়া পর্যন্ত এ লড়াই চলবে।”
রেল কর্তৃপক্ষ কোনও ধরনের যোগাযোগ করেনি জানিয়ে রনি বলেন, এত দিন ধরে আমরা এখানে অবস্থান করছি। অহিংস প্রতিবাদ করছি । প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গান, কবিতা, পথ নাটক হয়েছে। তবুও রেলের কেউ আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। তাই এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি মঙ্গলবার আমরা রেল মন্ত্রণালয় অভিমুখে লংমার্চ করব। লংমার্চ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে টিকিট না দিয়ে টাকা কেটে নেওয়ায় গত ১৪ ও ১৫ জুন দু’বার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে নিজের অভিযোগ জানান রনি। আগামীকাল বুধবার অভিযোগের শুনানির জন্য রনিকে ডেকেছে ভোক্তা অধিকার।
রনি জানান, প্রায় ১ মাস পার হওয়ার পর ভোক্তা অধিকার থেকে শুনানির তারিখ দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম