১৯ আগস্ট, ২০২২ ২২:১৭

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইলেন মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইলেন মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ফাইল ছবি)

ভারতের ‘আনুকূল্যে’ সরকার টিকে আছে কি না এমন প্রশ্ন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের হল রুমে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এই ব্যাখ্যা দাবি করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঢাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল-সমাবেশ থেকে মন্ত্রীরা হুমকি দিয়েছেন, সন্ত্রাসী ভাষায় কথা বলেছেন। এতই যদি হুমকি-ধামকি দেন তাহলে আবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আপনাদের সরকারকে, প্রধানমন্ত্রীকে টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতের সাহায্য দাবি করেন কেন? আমরা এই কথার (পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য) ব্যাখ্যা চাই।’

‘এই সরকার এবং ভারত সরকারের কাছেও জানতে চাই, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তার অর্থ কী? তাতে কি এটা দাঁড়ায় এই সরকার টিকে আছে ভারতের আনুকূল্যে? একথার অর্থ মানুষ তো জানতেই চাইবে। এটা জরুরি কথা।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশ কি সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র থাকবে কি থাকবে না। বাংলাদেশ কি সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক দেশ থাকবে কি থাকবে না। কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের সব অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছে, সংবিধানকে পরিবর্তন করেছে। মানুষের পাঁচ বছর পরপর একদিন ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করার যে সুযোগ ছিল, তাও হরণ করে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানকে বাতিল করে দিয়েছে।’

ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এত চ্যালেঞ্জ করবেন না। ক্ষমতা ছাড়ুন। ক্ষমতা ছেড়ে রাস্তায় নামুন। দেখা যাবে এদেশে জনগণের শক্তি বেশি না আপনাদের মতো দুর্নীতিবাজদের শক্তি বেশি।

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর জেএম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাকে টিকিয়ে রাখতে পারলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক একটা দেশ হবে। শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।”

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর