‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে ছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। খুনি মোস্তাক ও জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এবং পরামর্শে হত্যা করা হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এখন সময় এসেছে জাতির পিতা হত্যার পেছনের কলাকৌশলীদের চিহ্নিত করার।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতির পিতার ৪৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন।
রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন নিজস্ব ভবনের সভাকক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণকারী এই সংস্থাটি।
বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান বাদল, ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু, কমপ্লেইন অ্যান্ড ভিজিলেন্স কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা বাঙালিরা একটি স্বাধীন দেশ পেতাম না, পেতাম না আমাদের নিজেদের মানচিত্র। বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে বুক ফুলিয়ে সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াই, লাল সবুজের পতাকা নিয়ে দাঁড়াই, সেটা পেতাম না। যার জন্য আমরা এতকিছু পেয়েছি, সেই মানুষটিকে নির্মমভাবে সপরিবাওে হত্যা করা হয়েছে। তার জন্য আজকে আমরা শোক সভায় মিলিত হয়েছি।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুনি মোস্তাক ও জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এবং তাদের পরামর্শে হত্যা করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার অনেক আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ষড়যন্ত্রের অনেক প্রমাণ দিয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সমর্থন ছিল হানাদার পাকিস্তানির প্রতি। তারা পাকিস্তানের পক্ষে সপ্তম নৌবহরও পাঠিয়েছিল। এখন দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীদেরও মুখোশ উন্মোচন করা দরকার।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হলেও এদেশের যারা হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাদের বিচার হয়নি। কয়েকজন খুনি এখনো বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। এখানেও ষড়যন্ত্র রয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে নতুন প্রজন্মকে একটি ম্যাসেজ দিতে হবে যে, এদেশে ষড়যন্ত্র করে পার পাওয়া যায় না। বিচার হবেই।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন