শিগগিরই হাসপাতালে যেতে হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। আরো বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে তার শরীরে। এই পরীক্ষা বা টেস্টগুলোর রিপোর্ট পাওয়ার পর তার হার্টে ধরা পড়া অপর দু’টি ‘ব্লক’ এর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। এর আগে একটি ‘ব্লক’-এ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রিং পরানো হয় তার হার্টে।
বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব তথ্য জানান বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামের’ চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী-নতুন করে আরো বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। খুব শিগগিরই সেগুলো সম্পন্ন করা হবে। এই টেস্টগুলোর রেজাল্ট হাতে পাওয়ার পর পর্যালোচনা শেষে তার হার্টে থাকা অপর দু’টি ব্লক’ এর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। গত মঙ্গলবার মেডিকেল বোর্ডের সর্বশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
অপর একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। ভাল কিংবা খারাপ কোনোটাই বলা যাবে না। নতুন করে আরো কিছু টেস্ট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। সেসব টেস্টের রিপোর্ট হাতে আসার পর সেগুলো পর্যালোচনা শেষে মেডিকেল বোর্ড বলতে পারবে-তার প্রকৃত শারীরিক অবস্থা এবং পরবর্তী করণীয় কী!
এর আগে গত সোমবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ওই দিন বিকালে হাসপাতালে তার সাতটি পরীক্ষা করানো হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন বলে পুনরায় পরামর্শ দেয় মেডিকেল বোর্ড।
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন ৭৭ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন