ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) নবনিযুক্ত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের নিরাপত্তা এবং সাইবার অপরাধী শনাক্তকরণে তথ্যপ্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানে এনটিএমসি আরও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সব ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে এনটিএমসি ২৪ ঘণ্টাই কাজ করছে।
সোমবার বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে এনটিএমসি’র মহাপরিচালক হিসেবে পদায়ন করার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন তিনি।
গত ২১ জুলাই মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান জিয়াউল আহসান। এর আগ পর্যন্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হিসেবে এনটিএমসি’র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। দীর্ঘদিন পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাবের দায়িত্ব পালন করেন জিয়াউল আহসান।
১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করা এই কর্মকর্তা সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারা ট্রুপার। ২০০৯ সালের ৫ মার্চ র্যাব-২-এর উপ-অধিনায়ক হিসেবে যোগ দেন তিনি। একই বছর ২৭ আগস্ট লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালক হন। ২০১৩ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে তিনি র্যাব ছাড়ার আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
র্যাবে কর্মরত থাকা অবস্থায় জিয়াউল আহসান দক্ষতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। তার নেতৃত্বে র্যাব জাতীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করে। র্যাবে দায়িত্ব পালনের সময় জেএমবি, হুজি ও আনসারুল্লাহসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতা, সাভারের রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা ও মাদক সম্রাট আমিন হুদাসহ অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। এছাড়া তিনি র্যাবকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হন।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায়ই তিনি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান। এ সময় তাকে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) ডিডিজি হিসেবে বদলি করা হয়। সেখান থেকে ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল জিয়াউলকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালক হিসেবে সংযুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালের ২ মার্চ থেকে এনটিএমসি’র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষ এনটিএমসি অধিদপ্তর উন্নীত হওয়ার পর প্রথম ডিজি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন