স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর সমালোচিত সংবাদ শিরোনাম ও ছবিকে ‘দূরভিসন্ধিমূলক ও তথ্য ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে রাসেল স্কয়ারে ‘মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে দৈনিক প্রথম আলোর মিথ্যাচার এবং ষড়যন্ত্রর প্রতিবাদে’ যুব মহিলা লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘একটি বানোয়াট সংবাদ শিরোনাম সৃষ্টি করা একটি নিছক অপরাধ বা ভুল হতে পারে না। এই ধরনের ভুল এই কাগজটি প্রথম করেছে তা কিন্তু নয়। দেশের যদি একটি গণমাধ্যমকে মনিটরিং করার কোনো সংস্থা থাকতো তাহলে তারা একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করলে দেখা যেতো কাগজটি প্রতিদিন, প্রতি বছর নির্লজ্জভাবে কিভাবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা এবং রাজনৈতিক মিসগাইডেড সংবাদ পরিবেশন করছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে জাতির জন্য দুর্ভাগ্য যে, তারা এমন একটি স্পর্শকাতর দিনে একটি করলেন যখন আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এই দিবস এমনি আসেনি। ৩০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়েছে, ২ লক্ষ্য মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছে, ১ কোটি লোক ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছে। তিন কোটি মানুষ গৃহহীন ছিল।’
ব্যারিস্টার বিপ্লব বলেন, ‘সেই স্বাধীনতার দিন কি বলার চেষ্টা করেছে? মাংস খাওয়ার স্বাধীনতা! গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে, যে ধরনের উক্তি ব্যবহার করা হয়েছে সেই ধরনের উক্তি করার মতো ওই শিশুর মানসিক বয়স বা তার সক্ষমতা আছে কি না? এটি কেউ তার মুখ দিয়ে বলিয়েছে কি না জাতির সামনে একটি প্রশ্ন আকারে দেখা দিয়েছে।’
সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশী-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো কোনো মহল আগামী নির্বাচন, নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, ভুণ্ডুল করে দেশের একটি অনির্বাচিত, অসাংবিধানিক সরকার নিয়ে আসতে চায়। এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়।
“আমাদের আজকের অবস্থান হচ্ছে এই ধরনের দূরভিসন্ধিমূলক, ষড়যন্ত্রমূলক তথ্য ষড়যন্ত্র করে যারা জাতিকে উস্কে দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে।”
সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘একটি শিশুকে ১০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে যে পত্রিকা বা সাংবাদিক এই সংবাদ পরিবেশন করলো, তাতে শিশুটিকে এক্সপ্লয়েট করেছে। এটা একটি ক্রিমিনাল অফেন্স।’
“এই শিশুটিকে আপনারা শেখালেন জীবনের প্রথম ধাপে তার মূল্যবোধ ক্রয়যোগ্য। তাকে শেখালেন অর্থের বিনিময়ে প্রলুব্ধ হওয়া কোনো বড় ব্যাপার না। তাকে শেখালেন অর্থের বিনিময়ে নিজের বিবেককে বন্ধক রাখা যায়, অর্থেই সকল অনর্থের মূল। আদর্শলিপিতে আমরা যা শিখেছিলাম তা ভুল। অর্থের বিনিময়ে বিপথে পা বাড়ানো যায়।”
এসময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এ আরাফাত, যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজী সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত