৩১ মার্চ, ২০২৩ ২১:৪১

‘ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে সরকারের দমননীতি সম্প্রসারিত হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

‘ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে সরকারের দমননীতি সম্প্রসারিত হয়েছে’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, এই সরকারের হাত থেকে লুণ্ঠিত গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও বাকস্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে হলে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের অন্য কোন বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ কিংবা নির্বাচন কমিশনের কোন অর্থহীন সংলাপে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। বিএনপির চলমান গণআন্দোলন খুব শীঘ্রই সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে পরিণত হবে এবং এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আর ঘরে ফিরে যাব না। 

শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা এসব কথা বলেন তিনি। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোমান বলেন, ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য সরকারের দমননীতি এখন আরো সম্প্রসারিত হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি এখন সংবাদপত্রের সম্পাদক এবং সাংবাদিকদেরকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ও নির্যাতন করছে। প্রশাসনের মেধাবী ও নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদেরকে বাচাই করে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হচ্ছে।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, এই সরকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। দেশের মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে এক দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষের কোন আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই। সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে। এই দুঃসহ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে সবাইকে আন্দোলনে শরীক হতে হবে এবং এই আন্দোলনে জনগণ জয়লাভ করবে আর আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে। 

চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ.এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মীর হেলাল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট আবদুস সাত্তার, এড. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, এম.এ সবুর, এস.কে খোদা তোতন, কাজী বেলাল, নাজিমুর রহমান, আব্দুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল, শ্রমিক দল নেতা মিয়া মিজানুর রহমান, আবদুল বাতেন, শ.ম. জামাল উদ্দিন, ইদ্রিস মিয়া, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, নজরুল ইসলাম, শফিকুর রহমান মজুমদার, আবু বক্কর সিদ্দিক, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর