শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
নির্মূল কমিটির সভায় বক্তারা

জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের এখনই সময়

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধসহ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় আইন ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলেছেন, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতারাই কেবল দি ত হয়নি, জামায়াত দলীয়ভাবে এই গণহত্যার সহযোগী ছিল বলে আদালতের রায়েও স্বীকৃত হয়েছে। তাই প্রচলিত আইন অনুযায়ী সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে পারে। এখন সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা। অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দ্বিতীয় বেঞ্চ পুনর্জ্জীবিত করে জামায়াতকে বিচারের মুখোমুখি করতেও দাবি জানিয়েছেন তারা।

গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘নির্বাচনী ইশতেহারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা : সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুল হুদা মানিকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, মহানাম সম্প্রদায়ের সভাপতি কান্তিবন্ধু ব্রহ্মচারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান ফাদার ড. তপন ডি রোজারিও, বুড্ডিস্ট ফেডারেশেনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুলের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। অনুষ্ঠান শেষে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার সংক্রান্ত আইন সংশোধনের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আইনটি মন্ত্রিপরিষদের সভায় উপস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের বিষয়ে আরেক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, সরকারও এই আইন প্রণয়নের বিষয়ে একমত। আগামী এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বৈষম্য বিলোপ আইন উপস্থাপনের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

এর আগে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে কিন্তু সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবি ওঠেনি। পঁচাত্তরের পর ২৮ বছর বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হওয়ায় তাদের মধ্যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকে এ দাবি উঠেছে। তার মতে, দীর্ঘ ২১ বছর সংখ্যালঘুরা বিচার পেতে বিচার বিভাগেও যেতে পারেনি।

শাহরিয়ার কবির বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টেও জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলা হয়েছে। তিনি এ জন্য সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার আমলে বিলুপ্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দ্বিতীয় বেঞ্চ ফের পুনর্জ্জীবিত করারও দাবি জানিয়েছেন।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থেকে আর সরে আসা যাবে না। তবে এখন সবার জন্য ধর্মীয় সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব ধরনের সুরক্ষা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বশেষ খবর