সোমবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

স্মার্টকার্ড না থাকায় পুলিশে নিয়োগ পরীক্ষা দিতে পারেননি ৬ শতাধিক প্রার্থী!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্টকার্ড) না থাকায় চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি ছয় শতাধিক প্রার্থী। গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তারা। স্মার্টকার্ড না থাকায় তাদের বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

পুলিশ লাইনের সামনে টানানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পরীক্ষার সময় প্রার্থীকে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) মূলকপি দেখাতে হবে। আর যদি তা না থাকে তাহলে তার বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি দেখানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। চাকরিপ্রার্থী মো. রহমত উল্লাহ ও মো. মহিউদ্দিন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘ইচ্ছা করেই আমাদের বের করে দেওয়া হয়। কারণ অনেকের কাছে স্মার্টকার্ড তো দূরের কথা কোনো কাগজপত্রই চাওয়া হয়নি। অথচ যাদের বাদ দেওয়া হয় তাদের কাছে এটা-সেটা চাওয়া হয়। একপর্যায়ে স্মার্টকার্ড না পেয়ে বের করে দেওয়া হয়। স্মার্টকার্ড যেহেতু সরকার দেয়নি সেহেতু না থাকার বিষয়টি জানানো হলেও পাত্তা দেওয়া হয়নি। জয়দেব নামে আরেকজন বলেন, ‘প্রথম ধাপের পরীক্ষায় আমি উত্তীর্ণ হই। পরে আমার কাছে স্মার্টকার্ড চাওয়া হয়। কিন্তু আমাদেরকে স্মার্টকার্ড দেওয়া হয়নি জানানোর পরও পরবর্তী ধাপের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। ছয় শতাধিক প্রার্থীকে স্মার্টকার্ডের অজুহাতে বের করে দেওয়া হয়।’

শয়ন সরকার নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের আবেদন থেকে সব ধরনের প্রক্রিয়া আমি করেছি। কিন্তু নিয়োগের কোথাও বলা নেই যে, স্মার্টকার্ড লাগবে। অথচ স্মার্টকার্ড না থাকায় আমার ভাইকে পরীক্ষার স্থল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এনআইডি কার্ড থাকার পর কেন স্মার্টকার্ডের প্রয়োজন সেটা বুঝতেছি না।’

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্মার্টকার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়নি। মূলত এনআইডি কার্ড না থাকাসহ বিভিন্ন সমস্যা ছিল অনেকের। যে কারণে কাগজপত্র পরীক্ষার সময় তাদের বাদ দেওয়া হয়। 

সর্বশেষ খবর