রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ড্যাপ বাস্তবায়ন হলে পরিকল্পিত শহর হয়ে উঠবে ঢাকা : বিআইপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি গেজেট হওয়া ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকা পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। বিআইপি মনে করে, ড্যাপের আওতাভুক্ত ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার ভূমি ব্যবহার, আবাসন, পরিবহন, পানি নিষ্কাশন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, পরিবেশ, শিক্ষা, বিনোদন, সামাজিক ও নাগরিক সেবাসহ সব কর্মকাণ্ডে বিস্তারিত যে পরিকল্পনা রয়েছে তা যথাযথ বাস্তবায়ন হবে। গতকাল রাজধানীর বাংলামোটরস্থ প্ল্যানার্স টাওয়ারে বিআইপি আয়োজিত ‘গেজেটভুক্ত ঢাকা মহানগর এলাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) ২০২২-২০৩৫ এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন : ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত রাষ্ট্র গঠনের রোডম্যাপ বাস্তবায়নে বিআইপির দাবি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি ফজলে রেজা সুমন প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেন।

বিআইপির যুগ্ম সম্পাদক রাসেল কবিরের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিআইপির সহসভাপতি আরিফুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. শফিক-উর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ড. মুসলেহ উদ্দিন হাসানসহ বিআইপির নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া বিআইপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মোহাম্মদ খান উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এলাকাভিত্তিক জনঘনত্ব বিন্যাস পরিকল্পনা নতুন নয়। এটি ইমারত নির্মাণ বিধিমালা, ২০০৮ এ ফ্লোর এরিয়া রেশিও (ফার) ছিল। যার মাধ্যমে ইমারতের আয়তন ও উচ্চতা নিয়ন্ত্রিত হয়। তবে বিধিমালায় ফার সূচকের মান নির্ধারণের ক্ষেত্রে কী ধরনের সমীক্ষা বা যুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়।

তবে ঢাকা শহরে জনসংখ্যার চাপ কমানো ও ঢাকাকে বসবাস উপযোগী করে তোলার জন্য এবারের ড্যাপে জনঘনত্ব বিন্যাস পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এবারের ড্যাপে ব্লকভিত্তিক আবাসন পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। যেহেতু নগর এলাকায় জায়গার স্বল্পতা আছে, তাই অপেক্ষাকৃত কম জায়গার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে প্লটভিত্তিক উন্নয়নের পরিবর্তে নির্দিষ্ট এলাকায় ব্লকভিত্তিক উন্নয়ন পদ্ধতির সুপারিশ করা হয়েছে। ব্লকভিত্তিক আবাসন পদ্ধতির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, পর্যাপ্ত উন্মুক্ত স্থান তৈরি করা এবং অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট প্লট একত্রীকরণের ফলে একদিকে যেমন বেশি উচ্চতাবিশিষ্ট ইমারত নির্মাণ করা সম্ভব হবে, অন্যদিকে জমি অধিগ্রহণ বাবদ খরচও কমে যাবে। তা ছাড়া যত্রতত্র নগরাঞ্চলের সম্প্রসারণ কমিয়ে আনা এবং শহরের নিচু জমি ও কৃষিজমির সুরক্ষা করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

এ ছাড়া জলাশয় এবং নৌপথের সমন্বয়ে নগর জীবন রেখা প্রতিষ্ঠা, প্রতিটি অঞ্চলে বৃহৎ আঞ্চলিক পার্ক নির্মাণ, প্লাবন ভূমি ব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রিত ও মিশ্র ভূমি ব্যবহার এবং নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তদের সাশ্রয়ী আবাসন ব্যবস্থা ও সম্ভাব্য স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এর বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেছে বিআইপি। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময় কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা-এসটিপি, আরএসটিপি, ড্যাপ-২০১০-সহ বিভিন্ন পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়নি।

সর্বশেষ খবর