হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢাকা কাস্টমস হাউস থেকে ৫৫ কেজি সোনা গায়েবের ঘটনায় আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজের পর্যালোচনা চলছে। সেখান থেকে ফুটেজ গায়েব করা হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি যেই হোক, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ডিবিপ্রধান বলেন, বদলি হওয়া ও বদলি হয়ে আসা এবং আগে-পরে যারাই সেখানে যাতায়াত করেছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি, যারা গোডাউনের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই। যারা দায়িত্বে ছিলেন ও নতুন দায়িত্বে বদলি হয়ে এসেছেন সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, বিমানবন্দরের মতো একটি জায়গায় এতোগুলো সোনা চুরি হয়ে গেল, অথচ কেউ কিছু জানবে না?
এ ঘটনায় আমাদের কাছে পাঠানো আটজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে চারজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, চারজন সিপাই। তিনি বলেন, মামলা হওয়ার পর থানা পুলিশ তদন্ত করছিল। আমরাও ছায়া তদন্ত করছিলাম। পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার ডিবি পায়। বিমানবন্দরের মতো জায়গায়, যেখানে কঠোর নিরাপত্তা, সেখান থেকে সোনা গায়েবের ঘটনাটি আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। নিয়মানুযায়ী যারা বদলি হবেন আর নতুন যারা আসবেন তাদের কাছে সব কিছু বুঝিয়ে দেবেন পুরাতনরা। সেখানে কারা কারা গেছেন, অন্য কারও যোগাযোগ ছিল কি না, দায়িত্ব হস্তান্তরে কোনো সমস্যা ছিল কি না, সিসিটিভি লাগানো ছিল কি না, নষ্ট ছিল কি না। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
কাস্টমসের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা জড়িত আছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কেউ জড়িত থাকলেও ছাড় দেওয়া হবে না। সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানার জানার কথা, কর্তৃপক্ষও জানবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা বের করতে পারব বলে আশা করছি। অনুমতি ছাড়া যেখানে যাওয়া যায় না, সেখানে ডিবি কর্মকর্তারা গেলেও অনুমতি লাগে, এ অবস্থায় ডিবির তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত হবে কি না- জানতে চাইলে হারুন বলেন, আশা করছি আমরা স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে পারব। অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
