স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমীনসহ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যের শিকার চিকিৎসক, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও নার্স কর্মকর্তারা।
গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এ সময় সরকারের কাছে আট দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
সুপারিশগুলো হলো-১. ডা. রোবেদ আমীন (মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর), ডা. ফজলে রাব্বি (পরিচালক, প্রশাসন)সহ বিগত সরকারের সুবিধাপ্রাপ্ত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরোধিতাকারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে যাদের নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে তাদের নিয়োগ আদেশ বাতিল করা। ২. আহত ছাত্র-জনতাকে যারা চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করেছেন (বিএসএমএমইউ থেকে শুরু করে সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান) তাদের তালিকা প্রণয়ন করে বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা। শান্তি সমাবেশে যোগদানকারী ও ফ্যাসিবাদের দোসর সব চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করে শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ৩. অতিদ্রুত বৈষম্যের শিকার সব চিকিৎসক ও কর্মচারীকে ভূতাপেক্ষভাবে পদোন্নতি দিয়ে বৈষম্য দূর করা। ৪. মেডিকেল কলেজসহ প্রতিটি হাসপাতালে যোগ্য ও বৈষম্যের শিকার শিক্ষক ও চিকিৎসকদের যথোপযুক্ত পদে পদায়িত করা। বিগত দীর্ঘ ১৬ বছর স্বাস্থ্য খাতে যত দুর্নীতি হয়েছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা। ৫. মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইনস্টিটিউট, নার্সিং কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অতিদ্রুত স্বৈরাচারের দোসরদের সরিয়ে বৈষম্যের শিকার চিকিৎসকদের পদায়ন করা। ৬. প্রতিবাদকারী যেসব চিকিৎসককে হয়রানিমূলক বদলি করা হয়েছে সে বদলি আদেশ অবিলম্বে বাতিল করা। ৭. স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিষয়ভিত্তিক প্রয়োজনীয় সংস্কার ও চিকিৎসাসেবার গুণগতমান উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ প্যানেল কমিটি অতিদ্রুত বাতিল করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশকারী চিকিৎসকসমাজের প্রতিনিধিত্ব রেখে কমিটি পুনর্গঠন। ৮. স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং সেবক-সেবিকাসহ যাদের হয়রানি ও নির্যাতনমূলক বদলি এবং পদোন্নতিবঞ্চিত করে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অবিলম্বে তাদের সিনিয়রিটিসহ বিভিন্ন পদে পদায়ন করতে হবে।
