পানিতে ডুবে প্রাণ গেল তিন বছর বয়সি একমাত্র কন্যা আরওয়ার। খবর শুনে আফ্রিকা প্রবাসী বাবা ওসমান গণি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছুটে এলেন হেলিকপ্টারে। আদরের কন্যাকে শেষবারের মতো দেখলেন, ছুঁয়ে আদর করলেন। অঝোরে নিজে কাঁদলেন, কাঁদালেন সবাইকে। গতকাল হৃদয়বিদারক এমন দৃশ্যের অবতারণা হয় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে। স্থানীয় গুণবতী স্কুল মাঠে নামা হেলিকপ্টার দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়ে ছিল না হই-হুল্লোড়, সবাই দেখলেন হেলিকপ্টার থেকে নেমে এক বাবার ছুটে যাওয়া।
স্থানীয়রা জানান, বাবা ওসমান গণি বাদল ১৫ বছর ধরে আফ্রিকায় থাকেন। সেখানে গড়ে তুলেছেন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। বিয়ের পর কন্যা আরওয়ার জন্ম হয়। চলতি বছর ছুটিতে এসে আট মাস মেয়ের সঙ্গে কাটিয়ে আগস্টে ফিরে যান। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বাড়ির সামনে পুকুরে ডুবে প্রাণ যায় আরওয়ার। একমাত্র কন্যার মৃত্যুর খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক টিকিট কেটে ওসমান গণি দেশে ফেরেন গতকাল সকালে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে সকাল ১০টায় নামলেন এলাকায়। জানাজায় অংশ নিয়ে কলিজার টুকরা একমাত্র কন্যাকে দাফন করলেন। এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ওসমান গণির বন্ধু মো. ইস্রাফিল বলেন, মেয়েকে শেষবারের মতো দেখার ইচ্ছে শুনে আমরা লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে আরওয়াকে রাখি।
ওসমান গণির ফুফা সাইদুল ইসলাম বলেন, মেয়ে মৃত্যুর খবরটি আমরা বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বাদলকে জানালে পরদিন সকালেই তিনি এসে হাজির হন।