শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:২৭, সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

বিএনপির কাউন্সিল এবং দুই মহাসচিব তত্ত্ব!

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
বিএনপির কাউন্সিল এবং দুই মহাসচিব তত্ত্ব!

সরকার কোনো লুকোচুরির খেলা খেলছে না। খুব স্পষ্ট করে এবং দৃঢ়ভাবেই বলছে যে, তারা এই মুহূর্তে তাদের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না। অর্থাত্ আগে উন্নয়ন এবং বাদবাকি সব পরে। এতদিন প্রধানমন্ত্রী, তার পারিষদবর্গ এবং শাসকলীগের কিছু ‘হাইব্রিড’ নেতা এ ব্যাপারে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন। কিন্তু ইদানীং কিছু সুবিধাভোগী বা সুবিধাপ্রত্যাশী বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবী ‘দলদাস’ মিডিয়ায় সরকারি বক্তব্যের পক্ষে ‘ঢোল বাজাতে’ শুরু করেছেন। চতুর্দিকে দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এই কারণে যে, গণতন্ত্রের বিষয়টিও এখন ‘বাদবাকির’ মধ্যে পড়ে গেছে। গণতন্ত্রের পরিপূর্ণ স্বাদ এই ভূখণ্ডের মানুষ কখনো না পেলেও গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সাহসী সংগ্রামের ঐতিহ্য তাদের আছে। বর্তমানে গণতন্ত্র প্রকৃত অর্থে অনুপস্থিত, কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য সাহসী কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম নেই। লীগ সরকার খুব সাফল্যের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব বজায় রেখে তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজপথ থেকে হটিয়ে দিতে পেরেছে। ফলে গণতন্ত্রের দেশে বহুদল, বহুমতের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় না। এটা যতটা না লীগ সরকারের সাফল্য, তারচেয়ে বেশি বিরোধী দলের, প্রধানত বিএনপির চরম ব্যর্থতা।

বিএনপি প্রকাশ্যে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতেই শুধু ব্যর্থ নয়, অর্থনৈতিক, সামাজিক নানা ক্ষেত্রে সরকার যে সাফল্যের প্রচার করছে এসব ব্যাপারেও বিএনপি কিছু বলছে না। মানুষ তাই ধরেই নিতে পারে যে, এই উন্নয়ন ও প্রাপ্তি সরকারে আওয়ামী লীগ থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছে। বিএনপি নেতারা একটি কোরাসই গাইছেন যে, সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছে, জেল-জুলুম, নিপীড়ন চালাচ্ছে, মামলা-মোকদ্দমায় ফাঁসাচ্ছে। এর বাইরে আর যেন কোনো কথা নেই। সরকারি বক্তব্যের যেন যুৎসই কোনো জবাবই নেই তাদের। সরকার জিডিপি নিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে। পুরনো তথ্য ঘেঁটেই তো বলা যায় যে, বেগম খালেদা জিয়া যখন সরকারের দায়িত্ব ছেড়ে যান তখন জিডিপি ছিল ৬.৭। বর্তমান সরকারের গত সাত বছরের শাসনে এই হার কখনো অতিক্রম করেছে বলে তো রেকর্ড বলে না। নারী শিক্ষা, প্রসূতি মৃত্যুহার, শিশু মৃত্যুহার, প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে ড্রপ-আউট কমিয়ে আনা, নারী শিক্ষা— এসব ক্ষেত্রে বেগম জিয়ার সরকার আমলে অবস্থা/অগ্রগতি কেমন ছিল, পরিসংখ্যান দিয়ে পাল্টা জবাব দিতে পারে বিএনপি। বর্তমান লীগ সরকারের আমলে এসব ক্ষেত্রে পরিস্থিতির কোনো অবনতি হয়নি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে তা স্বীকার করতে কুণ্ঠাবোধ অথবা হীনমন্যতা মানুষ ভালো চোখে দেখবে না। কিন্তু এটা তো চোখে আঙ্গুল দিয়ে বিএনপি ‘নেতারা’ দেখাতে পারেন, বর্তমান অর্জনের পেছনে তাদের দলীয় সরকারেরও ভূমিকা ও অবদান আছে। শুধু তাদের সরকার কেন, পূর্ববর্তী অন্য সরকারসমূহেরও ভূমিকা, অবদান আছে। কিন্তু এসব কাজ তো রাজনৈতিক নেতৃত্বের, প্রকৃত রাজনীতিবিদদের কাজ।

এ জন্য প্রয়োজন লেখাপড়া করা, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার দক্ষ, পরিশ্রমী ও নিবেদিত কিছু দলীয় লোক। তাছাড়া তারা দুটার্ম তো পুরোপুরিই সরকার চালিয়েছে। তারা কী করেছে সে পরিসংখ্যান তাদের হাতের কাছে থাকবে না কেন? একটি রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়া, তা করতে না পারলে দিনে পাঁচ-সাতটি প্রেস ব্রিফিং দেওয়াই কি দলীয় বক্তব্য জনগণের কাছে নেওয়ার একমাত্র কাজ না মাধ্যম? সরকার খারাপ, সরকার স্বৈরাচারী পন্থায় রাষ্ট্র পরিচালনা করছে, গণতন্ত্রকে নির্বাসনে দিয়েছে এই ধরনের সস্তা ও চটুল কথায় মানুষের মন ভরবে কেন? বিএনপির কোনো পার্টি লিটারেচার নেই কেন? মতাদর্শগত লড়াই তো গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয় বা নয়াপল্টন কার্যালয়ে নিরাপদ প্রেসব্রিফিং দিয়ে হয় না। লিফলেট, বুকলেট, পোস্টারের মাধ্যমে দলের প্রকৃত রাজনৈতিক, আদর্শিক এবং কর্মসূচিগত বিষয়াবলি দলের তৃণমূল এবং সাধারণের মধ্যে নিয়ে যাওয়া একটি গণমুখী ও গণসংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের অংশ। বিরোধী দলে থাকলে প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরকারি প্রতিবন্ধকতা, জেল-জুলুম-নির্যাতন নিপীড়নের মুখে এ পথেই এগিয়ে যায় একটি দল। দল ও দলের মৌলিক রাজনৈতিক, আদর্শিক এবং স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা একই সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মী-সংগঠকের পাশাপাশি জনগণের করণীয় কী হবে তার একটা নির্দেশনাও থাকে। বিএনপির বর্তমান দুর্দশার কথা মানুষ জানে। এই দুর্দশা সৃষ্টির পেছনে বিএনপির নেতৃত্বের দায়ও কম নয়। বুঝলাম, তাদের বক্তব্যই ঠিক যে, তারা এখন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কবলে; সভা-সমাবেশ করতে পারছে না, পারছে না প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে। কিন্তু গত নয় বছরে বিএনপি জনগণকে পক্ষে রাখার জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক ও মতাদর্শগত লড়াইয়ের ক্ষেত্রে কী করেছে? কয়টা লিফলেট, বুকলেট, পোস্টার বা এই ধরনের লিখিত আবেদন এবং বক্তব্য জনগণের কাছে পৌঁছিয়েছে? সরকারের নানা অর্জন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের কৃতিত্ব এবং অবদান বিধৃত করে মাসে দু-চারটা এমন প্রকাশনা তো তারা করতে পারত। সরকারের অতিরঞ্জিত বক্তব্যের যুৎসই জবাব দেওয়া যেত। বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো ভঙ্গুর হলেও পুস্তক-পুস্তিকা-প্রচারপত্র দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার মতো অবস্থা এখনো তাদের লোপ পায়নি।

একটি বড় রাজনৈতিক দল ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর বাধার মুখে কীভাবে কাজ করা লাগে তা জানতে হয়। সেই ধরনের কর্মকৌশল নির্ধারণেও বিএনপি ব্যর্থ। ফলে বিএনপির অনেক কৃতিত্বও দখল করে নিতে সক্ষম হয়েছে লীগ সরকার এবং শাসক লীগ। আগেই উল্লেখ করেছি, দলের নীতি, আদর্শ, কর্মসূচি এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে আলাপ-আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রয়োজন অভিজ্ঞ, লেখাপড়া জানা বুদ্ধিদীপ্ত কেরিয়ার রাজনীতিবিদের। বিএনপির দুর্ভাগ্য, দল পরিচালনায় এটাই অভাব। দল চলে কর্মচারী দ্বারা। কেরিয়ার ও প্রবীণ-নবীন রাজনীতিবিদদের কোনো মূল্যই নেই। মাঝে মাঝে বক্তৃতা দিয়ে আর টকশোতে গিয়ে নিজেদের ‘নেতা-ভাবমূর্তি’ রক্ষা করেন তারা। সরকার গণতন্ত্রবিরোধী কোনো কথা প্রকাশ্যে সুনির্দিষ্ট করে বলছে না ঠিক, কিন্তু তা যে তারা আপাতত ‘পেন্ডিং’ রেখেছে সে কথা শুরুতেই বলেছি। কিন্তু গণতন্ত্র বন্দী রেখে উন্নয়নের রাজনীতির দশা কেমন হয় আমাদের ভূখণ্ডেই তার নজির আছে। পাকিস্তানি আমলে আইউবের উন্নয়নের রাজনীতি, বাংলাদেশ আমলে ‘অর্থনৈতিক কর্মসূচি’র নামে বাকশালের রাজনীতি এরশাদের আমলে উন্নয়নের ঢোল পিটিয়ে স্বৈরশাসনের বিভীষিকা দেখেছে মানুষ। বিএনপি এসব কিছু মানুষের সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরে বোঝানোর উদ্যোগ এখনো নেয়নি যে, গণতন্ত্র ‘শিকেয়’ তুলে যে উন্নয়ন তার সুফল ভোগ করে মোটা-তাজা একটি সরকারি আশীর্বাদপুষ্ট শ্রেণি। তারাই আরও মোটা-তাজা হয়, তেলে মাথায় তেল দেওয়া হয়। সরকার উন্নয়নের কথা এমনভাবে প্রচার করছে যেন এতে দেশের সব সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে এবং মানুষ তাতে বেজায় খুশি। তাই গণতন্ত্রকে আপাতত ‘ফোর্সলিভ’ দিয়ে দেওয়ায় কোনো ক্ষতি নেই। অথচ গণতন্ত্র না থাকলে মানুষের রাষ্ট্রকর্মে অংশগ্রহণের সব পথ রুদ্ধ থাকে, জনগণের মতামতের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না বলে ‘উন্নয়নের জোয়ারে’ ভেসে যায় সরকারের ‘খয়ের খাঁ’রা। এই উন্নয়নের জোয়ার গ্রামকেন্দ্রিক বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলকে এবং গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে স্পর্শ করে না। ৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত একটি সংবাদে গ্রামবাংলার গণ-আর্তনাদ সরকারের উন্নয়নের ‘বাদ্যকে’ ছাপিয়ে দিয়েছে। খবরে উল্লেখ করা হয়, কর্মসংস্থানের অভাবে, আর্থিক অভাব-অনটনের ফলে গ্রাম ছেড়ে দুর্ভাগা ছিন্নমূল মানুষ পাড়ি দিচ্ছে শহরাভিমুখে। দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ৪৫ হাজার বস্তি। ক্ষুধা, দারিদ্র্য থেকে মুক্তির অন্বেষণে গ্রামের মানুষ আশ্রয় নিয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহর-উপশহরের বস্তিতে। একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় লক্ষ্য থাকে গ্রাম-শহরে সমতাভিত্তিক উন্নয়ন সাধন। জনগণের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য জনপ্রতিনিধিরা তা নিশ্চিত করেন। কিন্তু জনগণের ভোট বা রায় ছাড়া রাষ্ট্র শাসনে নিয়োজিতরা জনগণের কাছে জবাবদিহির কোনো তাগিদ অনুভব করেন না বলে তারা যে সব স্বার্থান্বেষী মহলের প্রতিনিধিত্ব করেন তাদের স্বার্থেই কাজ করেন। তারা রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বড় ব্যালান্স দেখান, রাজধানীর ফ্লাইওভার দেখান, জিডিপির হার দেখান। কিন্তু দেশে যে বিনিয়োগ হচ্ছে না, টাকা পড়ে আছে অলস হয়ে, একটু বৃষ্টি হলেই ফ্লাইওভারের শহর রাজধানী ঢাকা প্রায়ই ডুবে যায়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পেছনে প্রায় আশিভাগ অবদান বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি এবং কৃষক সমাজের। বর্ষায় বাংলাদেশের বহু গ্রামে ফ্লাইওভার, ব্রিজ-কালভার্ট তো দূরের কথা সাঁকো নির্মাণেরও ব্যবস্থা থাকে না, যোগাযোগ ত্রুটি ও অভাবে কৃষকের পণ্য নষ্ট হয়ে জাতীয় অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি করে, সেদিকে তারা অ্যাড্রেস করেন না। কিন্তু বিএনপি নামক দলটি করে কী? এই অক্ষম দলটি নাকি সক্ষম হওয়ার চেষ্টা করছে। দলের চেয়ারপারসন নিযুক্ত কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ১৯ মার্চ দলটির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। একটি কাউন্সিল একটি দলকে উজ্জীবিত করতে পারে যদি যথাযথভাবে তা হয়। দল পুনর্গঠনের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল প্রায় এক বছর ধরে— পনেরো সালের জানুয়ারি-মার্চ তিন মাসের ‘সুইসাইডাল’ কর্মসূচির চরম ব্যর্থতার পর। আশা করা গিয়েছিল দলের নেতৃত্ব কাঠামোয় পরিবর্তন আসবে। নবীন-প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সামনে নিয়ে আসা হবে। এ জন্য বিএনপিতে কাউন্সিলের প্রয়োজন নেই। দলের গঠনতন্ত্রে চেয়ারপাসনের সে ক্ষমতা আছে। কিন্তু তা হয়নি। এমনকি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘ভার’টাও লাঘব করা হয়নি। শোনা যায়, মাতা-পুত্র এখনো এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। এখন আবার শোনা যাচ্ছে দুই মহাসচিব তত্ত্ব। মির্জা ফখরুলকে ‘সাইজ’ করার জন্য আরেকজনকে সাংগঠনিক মহাসচিব করার নতুন ছক এঁকেছেন মির্জাবিরোধীরা। তারা লবিংও শুরু করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। কী সর্বনাশা চিন্তা! বহু জেলায় কমিটি নেই পূর্ণাঙ্গ। বহু বছর সম্মেলন হয় না অর্ধেকের বেশি জেলায়। কমিটি করে দেওয়া হয় ঢাকার গুলশান থেকে। উপজেলা পর্যায়েও করুণ দশা। নেতাগিরি কেনাবেচা হয়। প্রচার আছে যে, দল ক্ষমতায় না থাকলেও কমিটি ও পদপদবি বেচা-কেনা করে দলের উপরিকাঠামোয় কেউ কেউ ‘লাল’ হয়ে গেছেন।

একটি বড় রাজনৈতিক দলের জাতীয় কাউন্সিলের জন্য যে প্রস্তুতি অন্তত তিন-চার মাস আগে থেকে নিতে হয় (বিএনপির মতো বিপুল জনসমর্থিত একটি দলে তো বছর খানেক আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু হওয়া উচিত) তেমন কিছুই দৃশ্যমান নয় বিএনপিতে। সরকারি বাধার কথা বলা হচ্ছে। বাধা তো দেয়নি এখনো। একই সময়ে সরকারি দলও সম্মেলন করবে। জাতীয় পার্টিও। ধারণা করা যায়, বিএনপিকে কাউন্সিল করতে বাধা দেবে না সরকার। বাধা দিলে তো দেখা যাবে। কিন্তু মার্চের ১৯ তারিখ সম্মেলন করতে হলে ইতিমধ্যে অনেক কাজই সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার কথা। কী করেছে বিএনপি? এখন পর্যন্ত কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটিই করা হয়নি। অথচ ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চেয়ারপারসন নির্বাচনের ফর্মুলা ঠিক করে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার-‘টমিশনার’ সব ঠিক করে ফেলা হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে কী হবে। তামাশা করার কী দরকার? চেয়ারপারসন পদে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস আছে নাকি কারও? প্রয়োজনও কি আছে? কাউন্সিলটা করাই হবে দলের মালিকানা দলিল হালনাগাদ করার জন্য এবং তারেক রহমানকে কো-চেয়ারম্যান করে যৌথ মালিকানা নিশ্চিত করার জন্য। অন্যরা তো হবেন তাদের ‘স্টাফ অফিসার’। নিয়োগ দেবেন মাতা-পুত্র। কাউন্সিলের কী ভূমিকা তাতে? কাউন্সিলের হাতে নতুন কমিটি নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হবে না। কারণ, যতই নতুন মুখের কথা বলা হোক, বেছে বেছে আনা হবে ‘ইওর অবিডিয়েন্ট সার্ভেন্টদের’— এমন আশঙ্কা সত্, সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বিএনপির এখন যে দশা, সংগঠন ঠিক না করে, নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করে মা চেয়ারপাসন থাকার পরও পুত্রকে কো-চেয়ারম্যান বানিয়ে কী লাভ? কঠিন মামলা-মোকদ্দমায় জর্জরিত তারেক রহমান কি অদূর ভবিষ্যতে দেশে ফিরতে পারবেন বিএনপি ক্ষমতায় যেতে না পারলে? সেই ক্ষেত্রে তাকে চেয়ারম্যান বানিয়ে দিয়েও কতটুকু লাভবান হবে বিএনপি কিংবা তারেক রহমানের? বিএনপিকে একটি গতিশীল ও কার্যকর রাজনৈতিক দলে পরিণত করে দলটি প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক জাতীয় তাগিদ (যা এখনো বিদ্যমান) পূরণ করতে হলে এর ‘করপোরেট হাউস’ বা ‘প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির’ চরিত্র পাল্টাতে হবে।

দ্রুত যদি একটি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন (যার সম্ভাবনা আছে) মোকাবিলা করতে হয়, দলীয় নেতৃত্বে ‘চাকর-বাকর’ (Henchman) না খুঁজে নবীন ও পরীক্ষিত সাহসী রাজনীতি সচেতনদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। এটাও ভাবতে হবে যে, বেগম জিয়া আর কতদিন পারবেন? তারেক রহমানও দেশ ছাড়া। তাদের ছাড়া দল চলবে কী করে? তাহলেই দলের কাউন্সিল রাজনৈতিক তাত্পর্য বহন করবে এবং বাকি দেড় মাস সময়ের মধ্যেও কাউন্সিলকে ঘিরে সারা দেশে বইবে প্রাণের বন্যা। অন্যথায়, সরকার বিএনপির কাউন্সিলে বাধা দিচ্ছে বলে বিএনপির কোনো কোনো নেতা যে বায়বীয় বক্তব্য দিচ্ছেন, সাধারণ মানুষও তাকে অতীতের ভুল স্বীকার, আত্মসমালোচনা এবং ভবিষ্যত্ রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দিকনির্দেশনামূলক একটি সফল দলীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতৃত্বের অযোগ্যতা ও ব্যর্থতা ঢাকার প্রয়াস বলেই মনে করবে।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected].


বিডি-প্রতিদিন/ ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

এই মাত্র | জাতীয়

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

৩৩ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান
‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণপিটুনিতে যুবক নিহত
গণপিটুনিতে যুবক নিহত

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’
‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার

১২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু
বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম
৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে
পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে

১৬ মিনিট আগে | বাণিজ্য

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯

২২ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক

২২ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান
রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান

২৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই
চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই

২৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ
সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার
দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ
বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা
গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন
বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলাপাড়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি
কলাপাড়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত
চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কসবায় ভারতীয় চশমা জব্দ
কসবায় ভারতীয় চশমা জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্যায় গৃহহীন ফেনীর শতাধিক পরিবার পেল সরকারি ঘর
বন্যায় গৃহহীন ফেনীর শতাধিক পরিবার পেল সরকারি ঘর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস
ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’
‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

মডেল মেঘনা আলম কারামুক্ত
মডেল মেঘনা আলম কারামুক্ত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে