শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:২৭, সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

বিএনপির কাউন্সিল এবং দুই মহাসচিব তত্ত্ব!

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
বিএনপির কাউন্সিল এবং দুই মহাসচিব তত্ত্ব!

সরকার কোনো লুকোচুরির খেলা খেলছে না। খুব স্পষ্ট করে এবং দৃঢ়ভাবেই বলছে যে, তারা এই মুহূর্তে তাদের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না। অর্থাত্ আগে উন্নয়ন এবং বাদবাকি সব পরে। এতদিন প্রধানমন্ত্রী, তার পারিষদবর্গ এবং শাসকলীগের কিছু ‘হাইব্রিড’ নেতা এ ব্যাপারে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন। কিন্তু ইদানীং কিছু সুবিধাভোগী বা সুবিধাপ্রত্যাশী বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবী ‘দলদাস’ মিডিয়ায় সরকারি বক্তব্যের পক্ষে ‘ঢোল বাজাতে’ শুরু করেছেন। চতুর্দিকে দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এই কারণে যে, গণতন্ত্রের বিষয়টিও এখন ‘বাদবাকির’ মধ্যে পড়ে গেছে। গণতন্ত্রের পরিপূর্ণ স্বাদ এই ভূখণ্ডের মানুষ কখনো না পেলেও গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সাহসী সংগ্রামের ঐতিহ্য তাদের আছে। বর্তমানে গণতন্ত্র প্রকৃত অর্থে অনুপস্থিত, কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য সাহসী কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম নেই। লীগ সরকার খুব সাফল্যের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব বজায় রেখে তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজপথ থেকে হটিয়ে দিতে পেরেছে। ফলে গণতন্ত্রের দেশে বহুদল, বহুমতের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় না। এটা যতটা না লীগ সরকারের সাফল্য, তারচেয়ে বেশি বিরোধী দলের, প্রধানত বিএনপির চরম ব্যর্থতা।

বিএনপি প্রকাশ্যে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতেই শুধু ব্যর্থ নয়, অর্থনৈতিক, সামাজিক নানা ক্ষেত্রে সরকার যে সাফল্যের প্রচার করছে এসব ব্যাপারেও বিএনপি কিছু বলছে না। মানুষ তাই ধরেই নিতে পারে যে, এই উন্নয়ন ও প্রাপ্তি সরকারে আওয়ামী লীগ থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছে। বিএনপি নেতারা একটি কোরাসই গাইছেন যে, সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছে, জেল-জুলুম, নিপীড়ন চালাচ্ছে, মামলা-মোকদ্দমায় ফাঁসাচ্ছে। এর বাইরে আর যেন কোনো কথা নেই। সরকারি বক্তব্যের যেন যুৎসই কোনো জবাবই নেই তাদের। সরকার জিডিপি নিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে। পুরনো তথ্য ঘেঁটেই তো বলা যায় যে, বেগম খালেদা জিয়া যখন সরকারের দায়িত্ব ছেড়ে যান তখন জিডিপি ছিল ৬.৭। বর্তমান সরকারের গত সাত বছরের শাসনে এই হার কখনো অতিক্রম করেছে বলে তো রেকর্ড বলে না। নারী শিক্ষা, প্রসূতি মৃত্যুহার, শিশু মৃত্যুহার, প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে ড্রপ-আউট কমিয়ে আনা, নারী শিক্ষা— এসব ক্ষেত্রে বেগম জিয়ার সরকার আমলে অবস্থা/অগ্রগতি কেমন ছিল, পরিসংখ্যান দিয়ে পাল্টা জবাব দিতে পারে বিএনপি। বর্তমান লীগ সরকারের আমলে এসব ক্ষেত্রে পরিস্থিতির কোনো অবনতি হয়নি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে তা স্বীকার করতে কুণ্ঠাবোধ অথবা হীনমন্যতা মানুষ ভালো চোখে দেখবে না। কিন্তু এটা তো চোখে আঙ্গুল দিয়ে বিএনপি ‘নেতারা’ দেখাতে পারেন, বর্তমান অর্জনের পেছনে তাদের দলীয় সরকারেরও ভূমিকা ও অবদান আছে। শুধু তাদের সরকার কেন, পূর্ববর্তী অন্য সরকারসমূহেরও ভূমিকা, অবদান আছে। কিন্তু এসব কাজ তো রাজনৈতিক নেতৃত্বের, প্রকৃত রাজনীতিবিদদের কাজ।

এ জন্য প্রয়োজন লেখাপড়া করা, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার দক্ষ, পরিশ্রমী ও নিবেদিত কিছু দলীয় লোক। তাছাড়া তারা দুটার্ম তো পুরোপুরিই সরকার চালিয়েছে। তারা কী করেছে সে পরিসংখ্যান তাদের হাতের কাছে থাকবে না কেন? একটি রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়া, তা করতে না পারলে দিনে পাঁচ-সাতটি প্রেস ব্রিফিং দেওয়াই কি দলীয় বক্তব্য জনগণের কাছে নেওয়ার একমাত্র কাজ না মাধ্যম? সরকার খারাপ, সরকার স্বৈরাচারী পন্থায় রাষ্ট্র পরিচালনা করছে, গণতন্ত্রকে নির্বাসনে দিয়েছে এই ধরনের সস্তা ও চটুল কথায় মানুষের মন ভরবে কেন? বিএনপির কোনো পার্টি লিটারেচার নেই কেন? মতাদর্শগত লড়াই তো গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয় বা নয়াপল্টন কার্যালয়ে নিরাপদ প্রেসব্রিফিং দিয়ে হয় না। লিফলেট, বুকলেট, পোস্টারের মাধ্যমে দলের প্রকৃত রাজনৈতিক, আদর্শিক এবং কর্মসূচিগত বিষয়াবলি দলের তৃণমূল এবং সাধারণের মধ্যে নিয়ে যাওয়া একটি গণমুখী ও গণসংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের অংশ। বিরোধী দলে থাকলে প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরকারি প্রতিবন্ধকতা, জেল-জুলুম-নির্যাতন নিপীড়নের মুখে এ পথেই এগিয়ে যায় একটি দল। দল ও দলের মৌলিক রাজনৈতিক, আদর্শিক এবং স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা একই সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মী-সংগঠকের পাশাপাশি জনগণের করণীয় কী হবে তার একটা নির্দেশনাও থাকে। বিএনপির বর্তমান দুর্দশার কথা মানুষ জানে। এই দুর্দশা সৃষ্টির পেছনে বিএনপির নেতৃত্বের দায়ও কম নয়। বুঝলাম, তাদের বক্তব্যই ঠিক যে, তারা এখন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কবলে; সভা-সমাবেশ করতে পারছে না, পারছে না প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে। কিন্তু গত নয় বছরে বিএনপি জনগণকে পক্ষে রাখার জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক ও মতাদর্শগত লড়াইয়ের ক্ষেত্রে কী করেছে? কয়টা লিফলেট, বুকলেট, পোস্টার বা এই ধরনের লিখিত আবেদন এবং বক্তব্য জনগণের কাছে পৌঁছিয়েছে? সরকারের নানা অর্জন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের কৃতিত্ব এবং অবদান বিধৃত করে মাসে দু-চারটা এমন প্রকাশনা তো তারা করতে পারত। সরকারের অতিরঞ্জিত বক্তব্যের যুৎসই জবাব দেওয়া যেত। বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো ভঙ্গুর হলেও পুস্তক-পুস্তিকা-প্রচারপত্র দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার মতো অবস্থা এখনো তাদের লোপ পায়নি।

একটি বড় রাজনৈতিক দল ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর বাধার মুখে কীভাবে কাজ করা লাগে তা জানতে হয়। সেই ধরনের কর্মকৌশল নির্ধারণেও বিএনপি ব্যর্থ। ফলে বিএনপির অনেক কৃতিত্বও দখল করে নিতে সক্ষম হয়েছে লীগ সরকার এবং শাসক লীগ। আগেই উল্লেখ করেছি, দলের নীতি, আদর্শ, কর্মসূচি এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে আলাপ-আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রয়োজন অভিজ্ঞ, লেখাপড়া জানা বুদ্ধিদীপ্ত কেরিয়ার রাজনীতিবিদের। বিএনপির দুর্ভাগ্য, দল পরিচালনায় এটাই অভাব। দল চলে কর্মচারী দ্বারা। কেরিয়ার ও প্রবীণ-নবীন রাজনীতিবিদদের কোনো মূল্যই নেই। মাঝে মাঝে বক্তৃতা দিয়ে আর টকশোতে গিয়ে নিজেদের ‘নেতা-ভাবমূর্তি’ রক্ষা করেন তারা। সরকার গণতন্ত্রবিরোধী কোনো কথা প্রকাশ্যে সুনির্দিষ্ট করে বলছে না ঠিক, কিন্তু তা যে তারা আপাতত ‘পেন্ডিং’ রেখেছে সে কথা শুরুতেই বলেছি। কিন্তু গণতন্ত্র বন্দী রেখে উন্নয়নের রাজনীতির দশা কেমন হয় আমাদের ভূখণ্ডেই তার নজির আছে। পাকিস্তানি আমলে আইউবের উন্নয়নের রাজনীতি, বাংলাদেশ আমলে ‘অর্থনৈতিক কর্মসূচি’র নামে বাকশালের রাজনীতি এরশাদের আমলে উন্নয়নের ঢোল পিটিয়ে স্বৈরশাসনের বিভীষিকা দেখেছে মানুষ। বিএনপি এসব কিছু মানুষের সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরে বোঝানোর উদ্যোগ এখনো নেয়নি যে, গণতন্ত্র ‘শিকেয়’ তুলে যে উন্নয়ন তার সুফল ভোগ করে মোটা-তাজা একটি সরকারি আশীর্বাদপুষ্ট শ্রেণি। তারাই আরও মোটা-তাজা হয়, তেলে মাথায় তেল দেওয়া হয়। সরকার উন্নয়নের কথা এমনভাবে প্রচার করছে যেন এতে দেশের সব সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে এবং মানুষ তাতে বেজায় খুশি। তাই গণতন্ত্রকে আপাতত ‘ফোর্সলিভ’ দিয়ে দেওয়ায় কোনো ক্ষতি নেই। অথচ গণতন্ত্র না থাকলে মানুষের রাষ্ট্রকর্মে অংশগ্রহণের সব পথ রুদ্ধ থাকে, জনগণের মতামতের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না বলে ‘উন্নয়নের জোয়ারে’ ভেসে যায় সরকারের ‘খয়ের খাঁ’রা। এই উন্নয়নের জোয়ার গ্রামকেন্দ্রিক বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলকে এবং গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে স্পর্শ করে না। ৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত একটি সংবাদে গ্রামবাংলার গণ-আর্তনাদ সরকারের উন্নয়নের ‘বাদ্যকে’ ছাপিয়ে দিয়েছে। খবরে উল্লেখ করা হয়, কর্মসংস্থানের অভাবে, আর্থিক অভাব-অনটনের ফলে গ্রাম ছেড়ে দুর্ভাগা ছিন্নমূল মানুষ পাড়ি দিচ্ছে শহরাভিমুখে। দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ৪৫ হাজার বস্তি। ক্ষুধা, দারিদ্র্য থেকে মুক্তির অন্বেষণে গ্রামের মানুষ আশ্রয় নিয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহর-উপশহরের বস্তিতে। একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় লক্ষ্য থাকে গ্রাম-শহরে সমতাভিত্তিক উন্নয়ন সাধন। জনগণের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য জনপ্রতিনিধিরা তা নিশ্চিত করেন। কিন্তু জনগণের ভোট বা রায় ছাড়া রাষ্ট্র শাসনে নিয়োজিতরা জনগণের কাছে জবাবদিহির কোনো তাগিদ অনুভব করেন না বলে তারা যে সব স্বার্থান্বেষী মহলের প্রতিনিধিত্ব করেন তাদের স্বার্থেই কাজ করেন। তারা রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বড় ব্যালান্স দেখান, রাজধানীর ফ্লাইওভার দেখান, জিডিপির হার দেখান। কিন্তু দেশে যে বিনিয়োগ হচ্ছে না, টাকা পড়ে আছে অলস হয়ে, একটু বৃষ্টি হলেই ফ্লাইওভারের শহর রাজধানী ঢাকা প্রায়ই ডুবে যায়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পেছনে প্রায় আশিভাগ অবদান বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি এবং কৃষক সমাজের। বর্ষায় বাংলাদেশের বহু গ্রামে ফ্লাইওভার, ব্রিজ-কালভার্ট তো দূরের কথা সাঁকো নির্মাণেরও ব্যবস্থা থাকে না, যোগাযোগ ত্রুটি ও অভাবে কৃষকের পণ্য নষ্ট হয়ে জাতীয় অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি করে, সেদিকে তারা অ্যাড্রেস করেন না। কিন্তু বিএনপি নামক দলটি করে কী? এই অক্ষম দলটি নাকি সক্ষম হওয়ার চেষ্টা করছে। দলের চেয়ারপারসন নিযুক্ত কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ১৯ মার্চ দলটির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। একটি কাউন্সিল একটি দলকে উজ্জীবিত করতে পারে যদি যথাযথভাবে তা হয়। দল পুনর্গঠনের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল প্রায় এক বছর ধরে— পনেরো সালের জানুয়ারি-মার্চ তিন মাসের ‘সুইসাইডাল’ কর্মসূচির চরম ব্যর্থতার পর। আশা করা গিয়েছিল দলের নেতৃত্ব কাঠামোয় পরিবর্তন আসবে। নবীন-প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সামনে নিয়ে আসা হবে। এ জন্য বিএনপিতে কাউন্সিলের প্রয়োজন নেই। দলের গঠনতন্ত্রে চেয়ারপাসনের সে ক্ষমতা আছে। কিন্তু তা হয়নি। এমনকি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘ভার’টাও লাঘব করা হয়নি। শোনা যায়, মাতা-পুত্র এখনো এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। এখন আবার শোনা যাচ্ছে দুই মহাসচিব তত্ত্ব। মির্জা ফখরুলকে ‘সাইজ’ করার জন্য আরেকজনকে সাংগঠনিক মহাসচিব করার নতুন ছক এঁকেছেন মির্জাবিরোধীরা। তারা লবিংও শুরু করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। কী সর্বনাশা চিন্তা! বহু জেলায় কমিটি নেই পূর্ণাঙ্গ। বহু বছর সম্মেলন হয় না অর্ধেকের বেশি জেলায়। কমিটি করে দেওয়া হয় ঢাকার গুলশান থেকে। উপজেলা পর্যায়েও করুণ দশা। নেতাগিরি কেনাবেচা হয়। প্রচার আছে যে, দল ক্ষমতায় না থাকলেও কমিটি ও পদপদবি বেচা-কেনা করে দলের উপরিকাঠামোয় কেউ কেউ ‘লাল’ হয়ে গেছেন।

একটি বড় রাজনৈতিক দলের জাতীয় কাউন্সিলের জন্য যে প্রস্তুতি অন্তত তিন-চার মাস আগে থেকে নিতে হয় (বিএনপির মতো বিপুল জনসমর্থিত একটি দলে তো বছর খানেক আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু হওয়া উচিত) তেমন কিছুই দৃশ্যমান নয় বিএনপিতে। সরকারি বাধার কথা বলা হচ্ছে। বাধা তো দেয়নি এখনো। একই সময়ে সরকারি দলও সম্মেলন করবে। জাতীয় পার্টিও। ধারণা করা যায়, বিএনপিকে কাউন্সিল করতে বাধা দেবে না সরকার। বাধা দিলে তো দেখা যাবে। কিন্তু মার্চের ১৯ তারিখ সম্মেলন করতে হলে ইতিমধ্যে অনেক কাজই সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার কথা। কী করেছে বিএনপি? এখন পর্যন্ত কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটিই করা হয়নি। অথচ ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চেয়ারপারসন নির্বাচনের ফর্মুলা ঠিক করে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার-‘টমিশনার’ সব ঠিক করে ফেলা হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে কী হবে। তামাশা করার কী দরকার? চেয়ারপারসন পদে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস আছে নাকি কারও? প্রয়োজনও কি আছে? কাউন্সিলটা করাই হবে দলের মালিকানা দলিল হালনাগাদ করার জন্য এবং তারেক রহমানকে কো-চেয়ারম্যান করে যৌথ মালিকানা নিশ্চিত করার জন্য। অন্যরা তো হবেন তাদের ‘স্টাফ অফিসার’। নিয়োগ দেবেন মাতা-পুত্র। কাউন্সিলের কী ভূমিকা তাতে? কাউন্সিলের হাতে নতুন কমিটি নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হবে না। কারণ, যতই নতুন মুখের কথা বলা হোক, বেছে বেছে আনা হবে ‘ইওর অবিডিয়েন্ট সার্ভেন্টদের’— এমন আশঙ্কা সত্, সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বিএনপির এখন যে দশা, সংগঠন ঠিক না করে, নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করে মা চেয়ারপাসন থাকার পরও পুত্রকে কো-চেয়ারম্যান বানিয়ে কী লাভ? কঠিন মামলা-মোকদ্দমায় জর্জরিত তারেক রহমান কি অদূর ভবিষ্যতে দেশে ফিরতে পারবেন বিএনপি ক্ষমতায় যেতে না পারলে? সেই ক্ষেত্রে তাকে চেয়ারম্যান বানিয়ে দিয়েও কতটুকু লাভবান হবে বিএনপি কিংবা তারেক রহমানের? বিএনপিকে একটি গতিশীল ও কার্যকর রাজনৈতিক দলে পরিণত করে দলটি প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক জাতীয় তাগিদ (যা এখনো বিদ্যমান) পূরণ করতে হলে এর ‘করপোরেট হাউস’ বা ‘প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির’ চরিত্র পাল্টাতে হবে।

দ্রুত যদি একটি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন (যার সম্ভাবনা আছে) মোকাবিলা করতে হয়, দলীয় নেতৃত্বে ‘চাকর-বাকর’ (Henchman) না খুঁজে নবীন ও পরীক্ষিত সাহসী রাজনীতি সচেতনদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। এটাও ভাবতে হবে যে, বেগম জিয়া আর কতদিন পারবেন? তারেক রহমানও দেশ ছাড়া। তাদের ছাড়া দল চলবে কী করে? তাহলেই দলের কাউন্সিল রাজনৈতিক তাত্পর্য বহন করবে এবং বাকি দেড় মাস সময়ের মধ্যেও কাউন্সিলকে ঘিরে সারা দেশে বইবে প্রাণের বন্যা। অন্যথায়, সরকার বিএনপির কাউন্সিলে বাধা দিচ্ছে বলে বিএনপির কোনো কোনো নেতা যে বায়বীয় বক্তব্য দিচ্ছেন, সাধারণ মানুষও তাকে অতীতের ভুল স্বীকার, আত্মসমালোচনা এবং ভবিষ্যত্ রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দিকনির্দেশনামূলক একটি সফল দলীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতৃত্বের অযোগ্যতা ও ব্যর্থতা ঢাকার প্রয়াস বলেই মনে করবে।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected].


বিডি-প্রতিদিন/ ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর
সিপাহি-জনতার সংহতি থেকে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান
সিপাহি-জনতার সংহতি থেকে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান
বন্দর নিয়ে সদরে-অন্দরে মতলবি তৎপরতা
বন্দর নিয়ে সদরে-অন্দরে মতলবি তৎপরতা
ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
কৃষি সমবায়ের সাফল্যগাথা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
কৃষি সমবায়ের সাফল্যগাথা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন
বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
ধূসর হয়ে পড়েছে যে স্বপ্ন
ধূসর হয়ে পড়েছে যে স্বপ্ন
সিসিফাসের পাথর ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
সিসিফাসের পাথর ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা ভীষণভাবে নষ্ট হয়েছে
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা ভীষণভাবে নষ্ট হয়েছে
রাজনীতির বিবর্তন! বানর থেকে বিজ্ঞানী
রাজনীতির বিবর্তন! বানর থেকে বিজ্ঞানী
সর্বশেষ খবর
ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে দিল্লি
ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে দিল্লি

১ সেকেন্ড আগে | নগর জীবন

ঘটনাটি অনেকদিন পর্যন্ত আমাকে অস্বস্তিতে ফেলে, এখনো মনে পড়ে: মৌনী
ঘটনাটি অনেকদিন পর্যন্ত আমাকে অস্বস্তিতে ফেলে, এখনো মনে পড়ে: মৌনী

২ মিনিট আগে | শোবিজ

সিপাহি-জনতার সংহতি থেকে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান
সিপাহি-জনতার সংহতি থেকে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান

৩ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

স্যাটেলাইট ছবিতে সুদানের আল-ফাশেরে ‘গণকবর’ শনাক্ত
স্যাটেলাইট ছবিতে সুদানের আল-ফাশেরে ‘গণকবর’ শনাক্ত

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কীভাবে চালু করবেন ফোনে ভিওএলটিই ফিচার
কীভাবে চালু করবেন ফোনে ভিওএলটিই ফিচার

২০ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

সবজির স্বস্তি পেঁয়াজে ম্লান
সবজির স্বস্তি পেঁয়াজে ম্লান

২৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

দুই বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
দুই বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

২৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

ধ্বংসস্তূপে পরিণত ফিলিপাইন, এবার বিপর্যয়ের মুখে ভিয়েতনাম
ধ্বংসস্তূপে পরিণত ফিলিপাইন, এবার বিপর্যয়ের মুখে ভিয়েতনাম

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ
শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ

৩৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

আওয়ামী লীগের আরও ৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার
আওয়ামী লীগের আরও ৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার

৩৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প
ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজকের নামাজের সময়সূচি, ৭ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ৭ নভেম্বর ২০২৫

৪০ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

জুমার দিনে যা করবেন, যা করবেন না
জুমার দিনে যা করবেন, যা করবেন না

৪২ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

চাদে পানি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ৩৩
চাদে পানি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ৩৩

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার ভিয়েতনামে তাণ্ডব চালাচ্ছে কালমেগি
এবার ভিয়েতনামে তাণ্ডব চালাচ্ছে কালমেগি

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ ২২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
আজ ২২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

ফ্রান্স দলে ফিরলেন বিশ্বকাপজয়ী কান্তে
ফ্রান্স দলে ফিরলেন বিশ্বকাপজয়ী কান্তে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামে পরিবার নিয়ে ভাবনা ও পরিকল্পনা
ইসলামে পরিবার নিয়ে ভাবনা ও পরিকল্পনা

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

দুই বছরের লড়াই শেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত আরএসএফ
দুই বছরের লড়াই শেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত আরএসএফ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হেসেখেলে হারাল প্রোটিয়ারা
ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হেসেখেলে হারাল প্রোটিয়ারা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লেবাননের চার শহরে ইসরায়েলের হামলা
লেবাননের চার শহরে ইসরায়েলের হামলা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৭ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৭ নভেম্বর)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাহানারার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিসিবির তদন্ত কমিটি
জাহানারার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিসিবির তদন্ত কমিটি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘পাকিস্তান এমন এক বন্ধু, যে সব সময় পাশে থাকে’
‘পাকিস্তান এমন এক বন্ধু, যে সব সময় পাশে থাকে’

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চকরিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধ নিহত
চকরিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধ নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল জাতিসংঘ
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল জাতিসংঘ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির
জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে ডিএমপির ২৩২৪ ফৌজদারি ও ৩৪৩ ট্রাফিক মামলা নিষ্পত্তি
অক্টোবরে ডিএমপির ২৩২৪ ফৌজদারি ও ৩৪৩ ট্রাফিক মামলা নিষ্পত্তি

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আর্থিক খাতে জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় নির্দেশিকা জারি
আর্থিক খাতে জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় নির্দেশিকা জারি

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি হলেন সোমা সাইদ
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি হলেন সোমা সাইদ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে যা বললেন রেজা কিবরিয়া
বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে যা বললেন রেজা কিবরিয়া

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১১ তারিখ পর্যন্ত আলটিমেটাম, না মানলে ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে: গোলাম পরওয়ার
১১ তারিখ পর্যন্ত আলটিমেটাম, না মানলে ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে: গোলাম পরওয়ার

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অনশনরত তারেকের পাশে রিজভী, বিএনপির সংহতি ঘোষণা
অনশনরত তারেকের পাশে রিজভী, বিএনপির সংহতি ঘোষণা

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকার অনুমোদন
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকার অনুমোদন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফাশারের কসাই কে এই আবু লুলু?
ফাশারের কসাই কে এই আবু লুলু?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তেজনা বাড়িয়ে এবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন পুতিন
উত্তেজনা বাড়িয়ে এবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন পুতিন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন
জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দলীয় মনোনয়ন না পেয়েও হেলিকপ্টারে এসে গণসংযোগ করলেন বিএনপি নেতা
দলীয় মনোনয়ন না পেয়েও হেলিকপ্টারে এসে গণসংযোগ করলেন বিএনপি নেতা

১১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

জামিন পেলেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম
জামিন পেলেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু, মূল্য ১০ হাজার টাকা
এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু, মূল্য ১০ হাজার টাকা

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি ফিরোজকে কারাগারে
এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি ফিরোজকে কারাগারে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিপিএলের পাঁচ দলের নাম ঘোষণা করল বিসিবি
বিপিএলের পাঁচ দলের নাম ঘোষণা করল বিসিবি

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই বাংলাদেশ পাইনি’
‘যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই বাংলাদেশ পাইনি’

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থেকে নির্বাচন করতে বাধা নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থেকে নির্বাচন করতে বাধা নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রতিদ্বন্দ্বীর মায়ের দোয়া নিয়ে গণসংযোগ শুরু করলেন বিএনপি প্রার্থী আনিসুল
প্রতিদ্বন্দ্বীর মায়ের দোয়া নিয়ে গণসংযোগ শুরু করলেন বিএনপি প্রার্থী আনিসুল

১৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকীর জামিন
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকীর জামিন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রী-কন্যাসহ র‍্যাবের সাবেক ডিজি হারুনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রী-কন্যাসহ র‍্যাবের সাবেক ডিজি হারুনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক হবে : আমীর খসরু
৪ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক হবে : আমীর খসরু

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভার্জিনিয়ায় ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম ঘাজালা
ভার্জিনিয়ায় ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম ঘাজালা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তালবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করুন: মির্জা ফখরুল
তালবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করুন: মির্জা ফখরুল

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফোনে অশ্লীল বার্তা পাঠালে দুই বছরের দণ্ড ও জরিমানা
ফোনে অশ্লীল বার্তা পাঠালে দুই বছরের দণ্ড ও জরিমানা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেয়ারবাজারে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত
শেয়ারবাজারে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির
ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বেচে দিলেন অমিতাভ বচ্চন
দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বেচে দিলেন অমিতাভ বচ্চন

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভোটাধিকারের সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: নবীউল্লাহ নবী
ভোটাধিকারের সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: নবীউল্লাহ নবী

১১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাকা ও গাজীপুরের যেসব এলাকায় ২২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
ঢাকা ও গাজীপুরের যেসব এলাকায় ২২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিএনপিতে যোগদানের কারণ জানালেন স্নিগ্ধ
বিএনপিতে যোগদানের কারণ জানালেন স্নিগ্ধ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্কুল-কলেজের সিসি ক্যামেরাগুলো ভোটকেন্দ্রে ব্যবহার করতে চায় ইসি
স্কুল-কলেজের সিসি ক্যামেরাগুলো ভোটকেন্দ্রে ব্যবহার করতে চায় ইসি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: নিপুণ রায়
ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: নিপুণ রায়

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

প্রিন্ট সর্বাধিক
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের জয়জয়কার
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের জয়জয়কার

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রথম দফায় রক্ষা দ্বিতীয় দফায় লাশ
প্রথম দফায় রক্ষা দ্বিতীয় দফায় লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্ধার হয়নি ১ টাকাও
উদ্ধার হয়নি ১ টাকাও

প্রথম পৃষ্ঠা

মেলেনি অনুমতি আসছেন না ডা. জাকির নায়েক
মেলেনি অনুমতি আসছেন না ডা. জাকির নায়েক

প্রথম পৃষ্ঠা

টাকার লোভেই মৃত্যুকূপে
টাকার লোভেই মৃত্যুকূপে

পেছনের পৃষ্ঠা

সংবিধান সংস্কার জনগণের মতামতের ভিত্তিতে
সংবিধান সংস্কার জনগণের মতামতের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বার্সা চেলসির বড় ধাক্কা, সিটির জয়
বার্সা চেলসির বড় ধাক্কা, সিটির জয়

মাঠে ময়দানে

সুয়াটেককে হারিয়ে সেমিফাইনালে
সুয়াটেককে হারিয়ে সেমিফাইনালে

মাঠে ময়দানে

বিখ্যাত যত ফোক গান
বিখ্যাত যত ফোক গান

শোবিজ

জামায়াতের হুঁশিয়ারি প্রয়োজনে আঙুল বাঁকা করব
জামায়াতের হুঁশিয়ারি প্রয়োজনে আঙুল বাঁকা করব

প্রথম পৃষ্ঠা

১০ নভেম্বর আসছেন ঢাকায়
১০ নভেম্বর আসছেন ঢাকায়

মাঠে ময়দানে

কেমন হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াই
কেমন হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াই

মাঠে ময়দানে

‘পেয়ার কিয়াতো ডরনা কেয়া’ গানটি ১০৫ বার লেখা হয়েছিল
‘পেয়ার কিয়াতো ডরনা কেয়া’ গানটি ১০৫ বার লেখা হয়েছিল

শোবিজ

মাল্টিপ্লেক্সে ‘হুমায়ূন আহমেদ সপ্তাহ’
মাল্টিপ্লেক্সে ‘হুমায়ূন আহমেদ সপ্তাহ’

শোবিজ

ত্যাগ সংগ্রাম আর আস্থার পুরস্কার পেয়েছি
ত্যাগ সংগ্রাম আর আস্থার পুরস্কার পেয়েছি

পেছনের পৃষ্ঠা

চলচ্চিত্র ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’
চলচ্চিত্র ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’

শোবিজ

আবেদন করতে পারবেন না ধূমপায়ীরা
আবেদন করতে পারবেন না ধূমপায়ীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

সওজ-সিসিক দ্বন্দ্বে বেহাল সড়ক
সওজ-সিসিক দ্বন্দ্বে বেহাল সড়ক

নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি
প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি

পেছনের পৃষ্ঠা

গোল উৎসব
গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্না জামিন পেলেন
লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্না জামিন পেলেন

নগর জীবন

ডেঙ্গুতে ভুগছে শিশুরা
ডেঙ্গুতে ভুগছে শিশুরা

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা

সাহিত্য

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন

মাঠে ময়দানে

ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘ইশারা’
ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘ইশারা’

শোবিজ

শিশু-কিশোররা চালাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
শিশু-কিশোররা চালাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

খোকন সোনা
খোকন সোনা

ডাংগুলি

নির্বাচনে বাংলাদেশ থেকে পর্যবেক্ষক চায় মিয়ানমার
নির্বাচনে বাংলাদেশ থেকে পর্যবেক্ষক চায় মিয়ানমার

পেছনের পৃষ্ঠা