শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:২৭, সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

বিএনপির কাউন্সিল এবং দুই মহাসচিব তত্ত্ব!

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
বিএনপির কাউন্সিল এবং দুই মহাসচিব তত্ত্ব!

সরকার কোনো লুকোচুরির খেলা খেলছে না। খুব স্পষ্ট করে এবং দৃঢ়ভাবেই বলছে যে, তারা এই মুহূর্তে তাদের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না। অর্থাত্ আগে উন্নয়ন এবং বাদবাকি সব পরে। এতদিন প্রধানমন্ত্রী, তার পারিষদবর্গ এবং শাসকলীগের কিছু ‘হাইব্রিড’ নেতা এ ব্যাপারে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন। কিন্তু ইদানীং কিছু সুবিধাভোগী বা সুবিধাপ্রত্যাশী বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবী ‘দলদাস’ মিডিয়ায় সরকারি বক্তব্যের পক্ষে ‘ঢোল বাজাতে’ শুরু করেছেন। চতুর্দিকে দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এই কারণে যে, গণতন্ত্রের বিষয়টিও এখন ‘বাদবাকির’ মধ্যে পড়ে গেছে। গণতন্ত্রের পরিপূর্ণ স্বাদ এই ভূখণ্ডের মানুষ কখনো না পেলেও গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সাহসী সংগ্রামের ঐতিহ্য তাদের আছে। বর্তমানে গণতন্ত্র প্রকৃত অর্থে অনুপস্থিত, কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য সাহসী কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম নেই। লীগ সরকার খুব সাফল্যের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব বজায় রেখে তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজপথ থেকে হটিয়ে দিতে পেরেছে। ফলে গণতন্ত্রের দেশে বহুদল, বহুমতের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় না। এটা যতটা না লীগ সরকারের সাফল্য, তারচেয়ে বেশি বিরোধী দলের, প্রধানত বিএনপির চরম ব্যর্থতা।

বিএনপি প্রকাশ্যে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতেই শুধু ব্যর্থ নয়, অর্থনৈতিক, সামাজিক নানা ক্ষেত্রে সরকার যে সাফল্যের প্রচার করছে এসব ব্যাপারেও বিএনপি কিছু বলছে না। মানুষ তাই ধরেই নিতে পারে যে, এই উন্নয়ন ও প্রাপ্তি সরকারে আওয়ামী লীগ থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছে। বিএনপি নেতারা একটি কোরাসই গাইছেন যে, সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছে, জেল-জুলুম, নিপীড়ন চালাচ্ছে, মামলা-মোকদ্দমায় ফাঁসাচ্ছে। এর বাইরে আর যেন কোনো কথা নেই। সরকারি বক্তব্যের যেন যুৎসই কোনো জবাবই নেই তাদের। সরকার জিডিপি নিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে। পুরনো তথ্য ঘেঁটেই তো বলা যায় যে, বেগম খালেদা জিয়া যখন সরকারের দায়িত্ব ছেড়ে যান তখন জিডিপি ছিল ৬.৭। বর্তমান সরকারের গত সাত বছরের শাসনে এই হার কখনো অতিক্রম করেছে বলে তো রেকর্ড বলে না। নারী শিক্ষা, প্রসূতি মৃত্যুহার, শিশু মৃত্যুহার, প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে ড্রপ-আউট কমিয়ে আনা, নারী শিক্ষা— এসব ক্ষেত্রে বেগম জিয়ার সরকার আমলে অবস্থা/অগ্রগতি কেমন ছিল, পরিসংখ্যান দিয়ে পাল্টা জবাব দিতে পারে বিএনপি। বর্তমান লীগ সরকারের আমলে এসব ক্ষেত্রে পরিস্থিতির কোনো অবনতি হয়নি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে তা স্বীকার করতে কুণ্ঠাবোধ অথবা হীনমন্যতা মানুষ ভালো চোখে দেখবে না। কিন্তু এটা তো চোখে আঙ্গুল দিয়ে বিএনপি ‘নেতারা’ দেখাতে পারেন, বর্তমান অর্জনের পেছনে তাদের দলীয় সরকারেরও ভূমিকা ও অবদান আছে। শুধু তাদের সরকার কেন, পূর্ববর্তী অন্য সরকারসমূহেরও ভূমিকা, অবদান আছে। কিন্তু এসব কাজ তো রাজনৈতিক নেতৃত্বের, প্রকৃত রাজনীতিবিদদের কাজ।

এ জন্য প্রয়োজন লেখাপড়া করা, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার দক্ষ, পরিশ্রমী ও নিবেদিত কিছু দলীয় লোক। তাছাড়া তারা দুটার্ম তো পুরোপুরিই সরকার চালিয়েছে। তারা কী করেছে সে পরিসংখ্যান তাদের হাতের কাছে থাকবে না কেন? একটি রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়া, তা করতে না পারলে দিনে পাঁচ-সাতটি প্রেস ব্রিফিং দেওয়াই কি দলীয় বক্তব্য জনগণের কাছে নেওয়ার একমাত্র কাজ না মাধ্যম? সরকার খারাপ, সরকার স্বৈরাচারী পন্থায় রাষ্ট্র পরিচালনা করছে, গণতন্ত্রকে নির্বাসনে দিয়েছে এই ধরনের সস্তা ও চটুল কথায় মানুষের মন ভরবে কেন? বিএনপির কোনো পার্টি লিটারেচার নেই কেন? মতাদর্শগত লড়াই তো গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয় বা নয়াপল্টন কার্যালয়ে নিরাপদ প্রেসব্রিফিং দিয়ে হয় না। লিফলেট, বুকলেট, পোস্টারের মাধ্যমে দলের প্রকৃত রাজনৈতিক, আদর্শিক এবং কর্মসূচিগত বিষয়াবলি দলের তৃণমূল এবং সাধারণের মধ্যে নিয়ে যাওয়া একটি গণমুখী ও গণসংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের অংশ। বিরোধী দলে থাকলে প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরকারি প্রতিবন্ধকতা, জেল-জুলুম-নির্যাতন নিপীড়নের মুখে এ পথেই এগিয়ে যায় একটি দল। দল ও দলের মৌলিক রাজনৈতিক, আদর্শিক এবং স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা একই সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মী-সংগঠকের পাশাপাশি জনগণের করণীয় কী হবে তার একটা নির্দেশনাও থাকে। বিএনপির বর্তমান দুর্দশার কথা মানুষ জানে। এই দুর্দশা সৃষ্টির পেছনে বিএনপির নেতৃত্বের দায়ও কম নয়। বুঝলাম, তাদের বক্তব্যই ঠিক যে, তারা এখন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কবলে; সভা-সমাবেশ করতে পারছে না, পারছে না প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে। কিন্তু গত নয় বছরে বিএনপি জনগণকে পক্ষে রাখার জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক ও মতাদর্শগত লড়াইয়ের ক্ষেত্রে কী করেছে? কয়টা লিফলেট, বুকলেট, পোস্টার বা এই ধরনের লিখিত আবেদন এবং বক্তব্য জনগণের কাছে পৌঁছিয়েছে? সরকারের নানা অর্জন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের কৃতিত্ব এবং অবদান বিধৃত করে মাসে দু-চারটা এমন প্রকাশনা তো তারা করতে পারত। সরকারের অতিরঞ্জিত বক্তব্যের যুৎসই জবাব দেওয়া যেত। বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো ভঙ্গুর হলেও পুস্তক-পুস্তিকা-প্রচারপত্র দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার মতো অবস্থা এখনো তাদের লোপ পায়নি।

একটি বড় রাজনৈতিক দল ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর বাধার মুখে কীভাবে কাজ করা লাগে তা জানতে হয়। সেই ধরনের কর্মকৌশল নির্ধারণেও বিএনপি ব্যর্থ। ফলে বিএনপির অনেক কৃতিত্বও দখল করে নিতে সক্ষম হয়েছে লীগ সরকার এবং শাসক লীগ। আগেই উল্লেখ করেছি, দলের নীতি, আদর্শ, কর্মসূচি এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে আলাপ-আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রয়োজন অভিজ্ঞ, লেখাপড়া জানা বুদ্ধিদীপ্ত কেরিয়ার রাজনীতিবিদের। বিএনপির দুর্ভাগ্য, দল পরিচালনায় এটাই অভাব। দল চলে কর্মচারী দ্বারা। কেরিয়ার ও প্রবীণ-নবীন রাজনীতিবিদদের কোনো মূল্যই নেই। মাঝে মাঝে বক্তৃতা দিয়ে আর টকশোতে গিয়ে নিজেদের ‘নেতা-ভাবমূর্তি’ রক্ষা করেন তারা। সরকার গণতন্ত্রবিরোধী কোনো কথা প্রকাশ্যে সুনির্দিষ্ট করে বলছে না ঠিক, কিন্তু তা যে তারা আপাতত ‘পেন্ডিং’ রেখেছে সে কথা শুরুতেই বলেছি। কিন্তু গণতন্ত্র বন্দী রেখে উন্নয়নের রাজনীতির দশা কেমন হয় আমাদের ভূখণ্ডেই তার নজির আছে। পাকিস্তানি আমলে আইউবের উন্নয়নের রাজনীতি, বাংলাদেশ আমলে ‘অর্থনৈতিক কর্মসূচি’র নামে বাকশালের রাজনীতি এরশাদের আমলে উন্নয়নের ঢোল পিটিয়ে স্বৈরশাসনের বিভীষিকা দেখেছে মানুষ। বিএনপি এসব কিছু মানুষের সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরে বোঝানোর উদ্যোগ এখনো নেয়নি যে, গণতন্ত্র ‘শিকেয়’ তুলে যে উন্নয়ন তার সুফল ভোগ করে মোটা-তাজা একটি সরকারি আশীর্বাদপুষ্ট শ্রেণি। তারাই আরও মোটা-তাজা হয়, তেলে মাথায় তেল দেওয়া হয়। সরকার উন্নয়নের কথা এমনভাবে প্রচার করছে যেন এতে দেশের সব সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে এবং মানুষ তাতে বেজায় খুশি। তাই গণতন্ত্রকে আপাতত ‘ফোর্সলিভ’ দিয়ে দেওয়ায় কোনো ক্ষতি নেই। অথচ গণতন্ত্র না থাকলে মানুষের রাষ্ট্রকর্মে অংশগ্রহণের সব পথ রুদ্ধ থাকে, জনগণের মতামতের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না বলে ‘উন্নয়নের জোয়ারে’ ভেসে যায় সরকারের ‘খয়ের খাঁ’রা। এই উন্নয়নের জোয়ার গ্রামকেন্দ্রিক বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলকে এবং গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে স্পর্শ করে না। ৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত একটি সংবাদে গ্রামবাংলার গণ-আর্তনাদ সরকারের উন্নয়নের ‘বাদ্যকে’ ছাপিয়ে দিয়েছে। খবরে উল্লেখ করা হয়, কর্মসংস্থানের অভাবে, আর্থিক অভাব-অনটনের ফলে গ্রাম ছেড়ে দুর্ভাগা ছিন্নমূল মানুষ পাড়ি দিচ্ছে শহরাভিমুখে। দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ৪৫ হাজার বস্তি। ক্ষুধা, দারিদ্র্য থেকে মুক্তির অন্বেষণে গ্রামের মানুষ আশ্রয় নিয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহর-উপশহরের বস্তিতে। একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় লক্ষ্য থাকে গ্রাম-শহরে সমতাভিত্তিক উন্নয়ন সাধন। জনগণের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য জনপ্রতিনিধিরা তা নিশ্চিত করেন। কিন্তু জনগণের ভোট বা রায় ছাড়া রাষ্ট্র শাসনে নিয়োজিতরা জনগণের কাছে জবাবদিহির কোনো তাগিদ অনুভব করেন না বলে তারা যে সব স্বার্থান্বেষী মহলের প্রতিনিধিত্ব করেন তাদের স্বার্থেই কাজ করেন। তারা রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বড় ব্যালান্স দেখান, রাজধানীর ফ্লাইওভার দেখান, জিডিপির হার দেখান। কিন্তু দেশে যে বিনিয়োগ হচ্ছে না, টাকা পড়ে আছে অলস হয়ে, একটু বৃষ্টি হলেই ফ্লাইওভারের শহর রাজধানী ঢাকা প্রায়ই ডুবে যায়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পেছনে প্রায় আশিভাগ অবদান বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি এবং কৃষক সমাজের। বর্ষায় বাংলাদেশের বহু গ্রামে ফ্লাইওভার, ব্রিজ-কালভার্ট তো দূরের কথা সাঁকো নির্মাণেরও ব্যবস্থা থাকে না, যোগাযোগ ত্রুটি ও অভাবে কৃষকের পণ্য নষ্ট হয়ে জাতীয় অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি করে, সেদিকে তারা অ্যাড্রেস করেন না। কিন্তু বিএনপি নামক দলটি করে কী? এই অক্ষম দলটি নাকি সক্ষম হওয়ার চেষ্টা করছে। দলের চেয়ারপারসন নিযুক্ত কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ১৯ মার্চ দলটির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। একটি কাউন্সিল একটি দলকে উজ্জীবিত করতে পারে যদি যথাযথভাবে তা হয়। দল পুনর্গঠনের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল প্রায় এক বছর ধরে— পনেরো সালের জানুয়ারি-মার্চ তিন মাসের ‘সুইসাইডাল’ কর্মসূচির চরম ব্যর্থতার পর। আশা করা গিয়েছিল দলের নেতৃত্ব কাঠামোয় পরিবর্তন আসবে। নবীন-প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সামনে নিয়ে আসা হবে। এ জন্য বিএনপিতে কাউন্সিলের প্রয়োজন নেই। দলের গঠনতন্ত্রে চেয়ারপাসনের সে ক্ষমতা আছে। কিন্তু তা হয়নি। এমনকি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘ভার’টাও লাঘব করা হয়নি। শোনা যায়, মাতা-পুত্র এখনো এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। এখন আবার শোনা যাচ্ছে দুই মহাসচিব তত্ত্ব। মির্জা ফখরুলকে ‘সাইজ’ করার জন্য আরেকজনকে সাংগঠনিক মহাসচিব করার নতুন ছক এঁকেছেন মির্জাবিরোধীরা। তারা লবিংও শুরু করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। কী সর্বনাশা চিন্তা! বহু জেলায় কমিটি নেই পূর্ণাঙ্গ। বহু বছর সম্মেলন হয় না অর্ধেকের বেশি জেলায়। কমিটি করে দেওয়া হয় ঢাকার গুলশান থেকে। উপজেলা পর্যায়েও করুণ দশা। নেতাগিরি কেনাবেচা হয়। প্রচার আছে যে, দল ক্ষমতায় না থাকলেও কমিটি ও পদপদবি বেচা-কেনা করে দলের উপরিকাঠামোয় কেউ কেউ ‘লাল’ হয়ে গেছেন।

একটি বড় রাজনৈতিক দলের জাতীয় কাউন্সিলের জন্য যে প্রস্তুতি অন্তত তিন-চার মাস আগে থেকে নিতে হয় (বিএনপির মতো বিপুল জনসমর্থিত একটি দলে তো বছর খানেক আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু হওয়া উচিত) তেমন কিছুই দৃশ্যমান নয় বিএনপিতে। সরকারি বাধার কথা বলা হচ্ছে। বাধা তো দেয়নি এখনো। একই সময়ে সরকারি দলও সম্মেলন করবে। জাতীয় পার্টিও। ধারণা করা যায়, বিএনপিকে কাউন্সিল করতে বাধা দেবে না সরকার। বাধা দিলে তো দেখা যাবে। কিন্তু মার্চের ১৯ তারিখ সম্মেলন করতে হলে ইতিমধ্যে অনেক কাজই সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার কথা। কী করেছে বিএনপি? এখন পর্যন্ত কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটিই করা হয়নি। অথচ ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চেয়ারপারসন নির্বাচনের ফর্মুলা ঠিক করে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার-‘টমিশনার’ সব ঠিক করে ফেলা হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে কী হবে। তামাশা করার কী দরকার? চেয়ারপারসন পদে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস আছে নাকি কারও? প্রয়োজনও কি আছে? কাউন্সিলটা করাই হবে দলের মালিকানা দলিল হালনাগাদ করার জন্য এবং তারেক রহমানকে কো-চেয়ারম্যান করে যৌথ মালিকানা নিশ্চিত করার জন্য। অন্যরা তো হবেন তাদের ‘স্টাফ অফিসার’। নিয়োগ দেবেন মাতা-পুত্র। কাউন্সিলের কী ভূমিকা তাতে? কাউন্সিলের হাতে নতুন কমিটি নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হবে না। কারণ, যতই নতুন মুখের কথা বলা হোক, বেছে বেছে আনা হবে ‘ইওর অবিডিয়েন্ট সার্ভেন্টদের’— এমন আশঙ্কা সত্, সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বিএনপির এখন যে দশা, সংগঠন ঠিক না করে, নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করে মা চেয়ারপাসন থাকার পরও পুত্রকে কো-চেয়ারম্যান বানিয়ে কী লাভ? কঠিন মামলা-মোকদ্দমায় জর্জরিত তারেক রহমান কি অদূর ভবিষ্যতে দেশে ফিরতে পারবেন বিএনপি ক্ষমতায় যেতে না পারলে? সেই ক্ষেত্রে তাকে চেয়ারম্যান বানিয়ে দিয়েও কতটুকু লাভবান হবে বিএনপি কিংবা তারেক রহমানের? বিএনপিকে একটি গতিশীল ও কার্যকর রাজনৈতিক দলে পরিণত করে দলটি প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক জাতীয় তাগিদ (যা এখনো বিদ্যমান) পূরণ করতে হলে এর ‘করপোরেট হাউস’ বা ‘প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির’ চরিত্র পাল্টাতে হবে।

দ্রুত যদি একটি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন (যার সম্ভাবনা আছে) মোকাবিলা করতে হয়, দলীয় নেতৃত্বে ‘চাকর-বাকর’ (Henchman) না খুঁজে নবীন ও পরীক্ষিত সাহসী রাজনীতি সচেতনদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। এটাও ভাবতে হবে যে, বেগম জিয়া আর কতদিন পারবেন? তারেক রহমানও দেশ ছাড়া। তাদের ছাড়া দল চলবে কী করে? তাহলেই দলের কাউন্সিল রাজনৈতিক তাত্পর্য বহন করবে এবং বাকি দেড় মাস সময়ের মধ্যেও কাউন্সিলকে ঘিরে সারা দেশে বইবে প্রাণের বন্যা। অন্যথায়, সরকার বিএনপির কাউন্সিলে বাধা দিচ্ছে বলে বিএনপির কোনো কোনো নেতা যে বায়বীয় বক্তব্য দিচ্ছেন, সাধারণ মানুষও তাকে অতীতের ভুল স্বীকার, আত্মসমালোচনা এবং ভবিষ্যত্ রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দিকনির্দেশনামূলক একটি সফল দলীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতৃত্বের অযোগ্যতা ও ব্যর্থতা ঢাকার প্রয়াস বলেই মনে করবে।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected].


বিডি-প্রতিদিন/ ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর
প্রাণের স্পন্দনে জেগে উঠুক দেশের ফুটবল
প্রাণের স্পন্দনে জেগে উঠুক দেশের ফুটবল
খাদ্য মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য ও বৈষম্য
খাদ্য মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য ও বৈষম্য
নেপাল পারলে কেন পারবে না বাংলাদেশ?
নেপাল পারলে কেন পারবে না বাংলাদেশ?
নেপাল-শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের মিল-অমিলের পোস্টমর্টেম
নেপাল-শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের মিল-অমিলের পোস্টমর্টেম
খাদ্যসংকটের এদিক-ওদিক
খাদ্যসংকটের এদিক-ওদিক
শিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চা শত্রু নয়
শিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চা শত্রু নয়
ডাকসু : কেন এমন হলো
ডাকসু : কেন এমন হলো
বাংলাদেশ অর্থনীতি: উন্নয়নের যাত্রায় টেকসই সমৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ অর্থনীতি: উন্নয়নের যাত্রায় টেকসই সমৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ
আত্মহত্যা প্রতিরোধে নিতে হবে মনের যত্ন
আত্মহত্যা প্রতিরোধে নিতে হবে মনের যত্ন
মব ও গুজব রোধে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা সেনাবাহিনীর
মব ও গুজব রোধে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা সেনাবাহিনীর
প্রধান উপদেষ্টার একটি বড় অর্জন
প্রধান উপদেষ্টার একটি বড় অর্জন
হাসিনাকে পুশইন করুক দিল্লি
হাসিনাকে পুশইন করুক দিল্লি
সর্বশেষ খবর
ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের
ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের

৬ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স
পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স

৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার

১৪ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান

১৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার
বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী

৩৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা

৪১ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব

৪৮ মিনিট আগে | জাতীয়

লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু
পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীপুর উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
শ্রীপুর উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য: জালালুদ্দীন আহমদ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য: জালালুদ্দীন আহমদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টেকনাফে ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা আটক
টেকনাফে ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফিকি লিডারশিপ একাডেমি চালুর উদ্যোগ
ফিকি লিডারশিপ একাডেমি চালুর উদ্যোগ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি চাল জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি চাল জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাকাইচি
জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাকাইচি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আন্তঃঘাঁটি বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা সমাপ্ত
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আন্তঃঘাঁটি বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর
শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি পরিবারের পাশে তারেক রহমান
বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি পরিবারের পাশে তারেক রহমান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্লিন সিটি গড়তে নতুন ল্যান্ডফিল্ড কেনা হবে: মেয়র
ক্লিন সিটি গড়তে নতুন ল্যান্ডফিল্ড কেনা হবে: মেয়র

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আলোচনা ছাড়া কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় : মির্জা ফখরুল
আলোচনা ছাড়া কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় : মির্জা ফখরুল

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

২০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস
কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস
উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস

মাঠে ময়দানে

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

চলতি মাসেই আবার যুগ্মসচিব পদোন্নতি
চলতি মাসেই আবার যুগ্মসচিব পদোন্নতি

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ
ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন