শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:৩১, শনিবার, ০১ অক্টোবর, ২০২২ আপডেট:

বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে

১ অক্টোবর ২০০১। ২১ বছর আগের এ দিনটা আমরা কজন মনে রেখেছি? ওইদিন বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০০১ সালের ১৩ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘটনা ঘটে। পাঁচ বছর দেশ পরিচালনা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন। রাত ১০টার দিকেই বোঝা যায় বিএনপি-জামায়াত জোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে। কিন্তু বিপন্ন বিস্ময়ের তখনো অনেক বাকি। রাতেই বিএনপি-জামায়াতের সব ক্যাডার ঝাঁপিয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ সমর্থক ও সংখ্যালঘুদের ওপর। ১৯৭১-এর ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর আদলে সারা দেশে শুরু হয় হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ। এক নারকীয় উৎসব। মুহূর্তে নিরীহ মানুষের আর্তনাদ বিএনপি-জামায়াতের জয়োল্লাস ম্লান করে দেয়। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার নিয়ন্ত্রিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিথর মূর্তির মতো তামাশা দেখতে থাকে। এ সেই পয়লা অক্টোবর যেদিন বাংলাদেশ প্রতিহিংসার নির্মমতা দেখেছিল। ভয়ে শিউরে উঠেছিল। জার্মান নাৎসিদের মতো প্রতিপক্ষকে নির্মূল করে দাও- এ বন্য হিংস্রতার এক ভয়াবহ রূপ দেখেছিল বাংলাদেশ। ওইদিন একজন সিনিয়র সাংবাদিক আমাকে বলছিলেন, ‘এটাই বিএনপির পতনের শুরু।’ ১ থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচনে সংখ্যালঘু নিধন চলে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ‘খতম’ করে আওয়ামীমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণের অভিযান চলে। ওই ১০ দিন দেশে কোনো আইন ছিল না। বিএনপি নেতা-কর্মীদের ইচ্ছাই হলো আইন। ১০ অক্টোবর শপথ নেয় বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। এরপর বাংলাদেশ প্রবেশ করে এক কৃষ্ণগহ্বরে। কেমন ছিল ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের বাংলাদেশ? কজন মনে রেখেছেন সেই ‘আইয়ামে জাহেলিয়া’র কথা। ২০০৬ সালে নানা নাটক করে বিএনপি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান করে। আসলে ক্ষমতার চাবি ছিল বেগম জিয়ার হাতেই। মূলত ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নিলেই এ দেশ বিএনপি-জামায়াতের সেই দমবন্ধ শাসনের অবসান হয়। সেই থেকে প্রায় ১৬ বছর বিএনপি ক্ষমতার বাইরে।

ক্ষমতার গর্ভে জন্ম নেওয়া একটি রাজনৈতিক দলের জন্য ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা। এ যেন জলের মাছের ডাঙায় জীবন। দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি ভাঙেনি। এও এক বিস্ময়। টিকে থাকার জন্য সংগ্রামরত দলটি এখন সরকার পতনের ডাক দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা পুনঃ প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। দলটির নেতারা এসব কর্মসূচিতে লাঠিসোঁটা নিয়ে যোগ দেওয়ার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন। আরেক নেতা এতেও খুশি নন। তিনি আরও এক কাঠি সরেস। তিনি কর্মীদের আরও বড় লাঠি নিয়ে সমাবেশে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রশাসন-পুলিশকে আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এ ধরনের কর্মসূচি দিতেই পারে। নির্বাচনের আগে সংগঠন গোছাতে, কর্র্মীদের উজ্জীবিত করতে এটা ভালো কৌশল। কিন্তু আমার অবাক বিস্ময় অন্য জায়গায়। বিএনপি নেতাদের কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে তাঁরা যেন দেবদূত। ভিনগ্রহ থেকে আসা সফেদ মানব। একটি রাজনৈতিক দল যখন জনগণের কাছে যায় তখন তাদের স্বচ্ছ ও পরিষ্কার থাকা উচিত। ভালোমন্দ মিলিয়েই একজন মানুষ। একটি রাজনৈতিক দলও। যে-কোনো একটি রাজনৈতিক দলের অবশ্যপালনীয় দায়িত্ব হলো আত্মসমালোচনা। নিজেদের ভুলভ্রান্তিগুলো বুঝতে পেরে তা সংশোধন করা। বিএনপি দুই মেয়াদে ক্ষমতায় ছিল। এ সময় বিএনপি যে ভুলগুলো করেছে তা স্বীকার করে তারা জনগণের কাছে যাবে বলেই একজন নাগরিক হিসেবে আমার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বিএনপি নেতাদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয় তাঁদের শাসনামলে বাংলাদেশের মানুষ স্বর্গে ছিল। আসলে কেমন ছিল তখনকার বাংলাদেশ?

বুধবার দেখলাম ছাত্রদল নেতাদের পেটানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিএনপি মহাসচিব। টেলিভিশনে দেখলাম বলছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের মধ্যযুগীয় কায়দায় পেটানো হয়েছে।’ মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘সরকার ফ্যাসিস্ট কায়দায় বিরোধী দলকে আক্রমণ করছে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। পেটানো হচ্ছে।’ প্রথমেই বলে নিই, বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া, পেটানো কিংবা হামলা কোনো গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার নয়। মিরপুরে, বনানীতে, ভোলায়, মুন্সীগঞ্জে যারা এটা করেছেন, অন্যায় করেছেন। এতে আওয়ামী লীগ ও সরকারের লাভ হয়নি। ক্ষতি হয়েছে। এসব খুবই বাজে দৃষ্টান্ত। কিন্তু বিএনপি নেতারা কি একবার বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন, ক্ষমতায় থাকার সময় এর চেয়েও জঘন্য কাজ তাঁরা করেননি? ১ অক্টোবর, ২০০১ থেকে ১০ অক্টোবরের পত্রিকার পাতাগুলো কি বিএনপি নেতারা একবার চোখ বুলিয়ে দেখবেন?
২০০২ সালের মার্চে আওয়ামী লীগ নেতা বাহাউদ্দিন নাছিমকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রাজধানী ঢাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কারাগারে বন্দিকালীন অবস্থায় তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। একটি ব্যাগ দিয়ে তাঁর মাথা ঢেকে সিলিংফ্যানের সঙ্গে উল্টো করে ঝোলানো হয়। পানিভর্তি বোতল দিয়ে তাঁর নিতম্ব, হাঁটু, কোমর, বাহু ও যৌনাঙ্গে আঘাত করা হয়। ফ্যান চালু করে তাঁর শরীর চারদিকে ঘোরানো হয়। বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়। এভাবে পাঁচ দিন ধরে তাঁকে নির্যাতন করা হয়।’ শুধু বাহাউদ্দিন নাছিম একা নন। ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুনের মতো ব্যক্তিত্বদের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা, শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার মতো সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাদের বেছে বেছে হত্যার ব্যাপারে বিএনপি নেতারা কী বলবেন? ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে নতুন করে আবার কিছু বলতে চাই না। কিন্তু বিএনপির ‘সাধু’ নেতারা কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন, ওই ঘটনায় তাঁদের দায় নেই? বলে রাখা দরকার, ছাত্রলীগের কতিপয় দুর্বৃত্ত যা করছে তা অমার্জনীয়। সেদিন আওয়ামী লীগের এক নেতা বলছিলেন, ‘সরকারের সব অর্জন ছাত্রলীগই খেয়ে ফেলছে।’ ইডেন কলেজ থেকে চট্টগ্রাম। টেন্ডারবাজি থেকে ধর্ষণ। কোন অভিযোগ নেই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে? কিন্তু আপনি যখন অন্যের সমালোচনা করবেন, তখন কি আয়নায় নিজের মুখটা একটু দেখবেন না?

বিএনপি-জামায়াত জোট যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল কী করেছে। চলুন একটু স্মৃতি হাতড়ে আসি। ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাত্রদলের দখলে চলে যায়। ২ অক্টোবর ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখল করে নেয়। ১৮ অক্টোবর দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিকের শিরোনাম ছিল এ রকম- ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ক্যাডাররা’। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে; ২১ বছর আগে ২০০১ সালের ১৩ অক্টোবর একই ঘটনা ঘটেছিল। ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের বেধড়ক পেটানো হয়। ছাত্রলীগের বহু কর্মী পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে পারেননি। ৩ নভেম্বর চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীদের নির্বিচারে পেটানো হয়। এভাবেই বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ বছর চলে ছাত্রলীগ নিধন কর্মসূচি। দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগকে দাঁড়াতে নেওয়া হয়নি। বিএনপির কোনো নেতা কি বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন ছাত্রদলের কর্মকান্ডে আমরা দুঃখিত, ব্যথিত। আবার ক্ষমতায় গেলে প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠনের ওপর এভাবে হামলা করা হবে না।’ এখন যে ছাত্রদলের কমিটি হয়েছে তা কি ছাত্রলীগের চেয়ে ভালো? ৩০২ জনের বিশাল কমিটি গঠনের পর ৩২ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসার কারণে বিএনপি নেতারাই তাদের বাদ দিয়েছেন। ছাত্রদলের কর্মীরাই বলছেন অছাত্র, খুনি আর মাদকসেবীদের আখড়া ছাত্রদল। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে এ ছাত্রদল কী করবে?

বিএনপি এখন যে আন্দোলন করছে তার অন্যতম ইস্যু ‘লোডশেডিং’। সাধারণ মানুষ অতীত ভুলে গেছে। ভুলে গেছে বিদ্যুৎ ভোগান্তির সেই দুর্বিষহ স্মৃতি। কিন্তু বিএনপি নেতারা কী করে ভোলেন কানসাট ট্র্যাজেডির কথা! খাম্বা কাহিনি কি বিএনপি নেতাদের হৃদয়ের কোনায় ব্যথা জাগায় না? ১২ ঘণ্টার লোডশেডিং দেওয়া সেই বিএনপি যদি এখন ১-২ ঘণ্টার লোডশেডিং নিয়ে সমালোচনা করে তখন তো বুঝতে হবে দলটি জনগণের কথা ভাবে না। বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন ‘ছায়া প্রধানমন্ত্রী’। তাঁর কথায় দেশ চলত। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ কোনো সরকার কোনো দিন দিতে পারবে না।’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কি বলতে পারবেন তাঁরা ক্ষমতায় এলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেবেন? তাহলে কি তারেক জিয়াকে মিথ্যাবাদী বলা হবে না?

দ্রব্যমূল্য নিয়েও বিএনপি নেতাদের আহাজারি চোখে পড়ার মতো। এ কথাও ঠিক, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সীমাহীন ব্যর্থতার কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কিছু মন্ত্রীর কথাবার্তা এমন বেসামাল পর্যায়ে চলে গেছে যে, তাঁদের দায়িত্ব কী তা-ও তাঁরা ভুলে গেছেন। এক মন্ত্রী দেখলাম কদিন আগে বলছেন, ‘ডিম আমদানি করা হবে কি না তা কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে ঠিক করব।’ ডিম তো কৃষিমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয় নয়। ডিম মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিষয়। কিন্তু ওই মন্ত্রীর কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে কৃষিমন্ত্রী প্রতিদিন ডিম নিয়ে নানা রোমাঞ্চকর বক্তব্য দিয়েই চলেছেন। এসব অযোগ্যতা যে বাজারে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে তা আওয়ামী লীগের নেতারাও স্বীকার করেন। কিন্তু বিএনপির আমল কি শায়েস্তা খানের যুগ ছিল? সে সময় অধ্যাপক আবুল বারকাত গবেষণা করে দেখালেন ‘শুধু চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, ডিজেল, কেরোসিনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে ২ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ বাংলাদেশের গড় মাথাপিছু আয় তখন এখনকার অর্ধেকেরও কম ছিল। সে সময় কাঁচা মরিচের কেজি উঠেছিল ১৬০ টাকায়। সব পণ্যের মূল্য পাঁচ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছিল। সেই ব্যর্থতার দায় স্বীকার না করে অন্যকে গালি দেওয়া কি যুক্তিসংগত? বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে দ্রব্যমূল্য কমবে, এ গ্যারান্টি কি মির্জা ফখরুল দিতে পারবেন?

শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব। ইদানীং বিএনপি মহাসচিব সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে খুবই উৎসাহী। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় কেমন ছিল এ দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। বিএনপির ভূমিধস বিজয়ের পর সবচেয়ে নির্মম পাশবিকতার শিকার হয়েছিল সংখ্যালঘুরা। শেফালী, পূর্ণিমা, কৃষ্ণার ধর্ষণের কথা এ দেশের সংখ্যালঘুরা কীভাবে ভুলবেন? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এক প্রতিবেদনে বলেছিল, ‘সংখ্যালঘু নির্মূলের এক অন্যায্য কর্মসূচির নীরব বাস্তবায়ন চলছে বাংলাদেশে।’ বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আরোহণের কদিন পর দুর্গাপূজা শুরু হয়। একটি দৈনিকের শিরোনাম ছিল, ‘সারা দেশে নিরানন্দ পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু’। ২১ অক্টোবর দেশের বিভিন্ন দৈনিকে খবর ছিল, মিরসরাই ও সীতাকুন্ডে প্রতিমা ভাঙচুর, চাঁদাবাজি, লুটপাট। বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে শারদীয় দুর্গোৎসব মানেই ছিল প্রতিমা ভাঙচুর, আতঙ্ক। এজন্য কি বিএনপি অনুতপ্ত? বিএনপি কি কখনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে?

বিএনপি নেতারা প্রায় সবাই এখন অর্থনীতিবিদ। দেশের রিজার্ভ, অর্থনীতি, বিদেশি ঋণ ইত্যাদি বিষয়ে তোতাপাখির মতো জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য দেন। সেদিন একজন বিএনপি নেতার কাছে জানতে চাইলাম- ভাই বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন রিজার্ভ কত ছিল? উনি কিছুক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন, জানি না। তিনি না জানলেও বিএনপি নেতা রিজভী অবশ্য সব জানেন। রিজভী বললেন, ‘বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন সর্বকালের সর্বনিম্ন।’ একটু ভিরমি খেলাম। বইপত্তর ঘেঁটে দেখলাম অন্য তথ্য। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে কখনো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারই অতিক্রম করেনি। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে। ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যেই অর্থমন্ত্রী দাতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন। ২০০৩-এর ৬ নভেম্বর ওই বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘অর্থনীতি বিপর্যস্ত। জরুরি সাহায্য দরকার।’ তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে তিন পার্বত্য জেলার উন্নয়ন কার্মকান্ড স্থগিত করা হয়। ৯ নভেম্বর উপমন্ত্রী মণি স্বপন দেওয়ান বলেন, ‘অর্থনৈতিক মন্দার জন্য এ সিদ্ধান্ত’। ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে দাতাদের নির্দেশে আট দফা বাজেট সংশোধন করা হয়। সে সময় সাইফুর রহমান বলেছিলেন, ‘ঋণ নিলে বিদেশিদের কথা শুনতে হয়।’ এখান থেকেই বোঝা যায় গত এক যুগে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোথায় চলে গেছে। এখন যাঁরা ৩৭ বিলিয়ন ডলার নিয়ে আর্তনাদ করেন তাঁরা জ্ঞানপাপী। রিজভী হয়তো এ জ্ঞানপাপীদের খপ্পরে পড়েছেন। গত এক যুগে দুর্নীতি হয়েছে, অর্থ পাচার হয়েছে। কিন্তু বিপুল উন্নয়ন বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছে। বিএনপি নেতারা এখন প্রায়ই বলেন, ‘এ সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সব দখল করে ফেলেছে।’ তাহলে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ঢাকা সিটি করপোরেশন দখল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে তালা ভেঙে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দখল, রাতের অন্ধকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে সরিয়ে উপাচার্যের চেয়ার দখল কী ছিল? বিএনপি ক্ষমতায় এসেই সংসদ ভবনের সব স্যুট দখল করে। এ সময় তৎকালীন স্পিকার আবদুল হামিদ বলেছিলেন, ‘এখন তো বিএনপি দখলদারদের হাত থেকে আমার চেয়ারও পাহারা দিয়ে রাখতে হবে বলে মনে হচ্ছে।’ (৭ অক্টোবর, ২০০১, দৈনিক ইত্তেফাক)।

দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। নিশ্চয় তাদের বেদনা আছে। ক্ষমতায় যাওয়ার তীব্র ক্ষুধা আছে। কিন্তু তার সঙ্গে আত্মোপলব্ধি থাকতে হবে। থাকা উচিত অনুশোচনা এবং অনুতাপ। সবার আগে বিএনপির উচিত তাদের অতীত কর্মকান্ডের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করা। অনুতপ্ত হওয়া। কিন্তু ইদানীং বিএনপি নেতাদের কথাবার্তায় দম্ভোক্তি প্রকাশ্য। বিএনপি নেতারা এখন যেসব কথাবার্তা বলছেন তাতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে কী কী হতে পারে সে সম্পর্কে আমরা একটি ধারণা করতে পারি। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে বেগম জিয়া প্রধানমন্ত্রী হবেন। তাঁর অবর্তমানে তারেক জিয়া দায়িত্ব নেবেন।’ তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘এ দুজনই স্ট্রাইকার এবং ফিনিশার।’ তাহলে তো বিএনপি ক্ষমতায় এলেই সুপ্রিম কোর্ট দখল করে নেবে। গতবার তারা সাবেক নেতাকে প্রধান বিচারপতি করার জন্য সংবিধান সংশোধন করেছিল। এবার স্থায়ী কমিটির সদস্যকে প্রধান বিচারপতি বানাতে হবে। আইন ওই সংবিধান পাল্টাতে হবে। বলতে হবে, পলাতক, দন্ডিত থেকেও প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য হওয়া যায়। বিএনপি নেতারা প্রচ- উন্নয়নবিরোধী। তাঁরা প্রায়ই বলেন, উন্নয়নের বেলুন চুপসে গেছে। সব আওয়ামী ভাঁওতা। গালগল্প। শুধু দুর্নীতি হয়েছে। তাহলে বিএনপি ক্ষমতায় এলেই পদ্মা সেতু ভেঙে ফেলা হবে। ধ্বংস করা হবে মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল। রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পসহ সব উন্নয়ন চিহ্ন। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট হয়েছে। তাই সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে। দিনে সূর্যের আলো, প্রকৃতির বাতাসে মানুষ কাজ করবে। আর রাতে জোছনায় ম্লান করবে। সারা দেশে ধন্য ধন্য পড়ে যাবে।

বিএনপি নেতাদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয় আসল সমস্যা ‘বাংলাদেশ’টাতেই। তাই বিএনপি ক্ষমতায় এলে এ দেশটার নামই পাল্টে দেবে। দলের মহাসচিব কদিন আগে অবশ্য বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান আমলই ভালো ছিল!’ বিএনপি ক্ষমতায় এলে স্লোগান হবে ‘এসো পাকিস্তানে ফিরে যাই।’ বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশ কি আবার পাকিস্তান হবে?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

১৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

৩৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

৪০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

৪৫ মিনিট আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে
অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার
প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কলকাতার হোটেলে ভয়াবহ আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু
কলকাতার হোটেলে ভয়াবহ আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে