ব্রিটেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুদের আড্ডায় বাংলাদেশ নিয়ে গর্ব করার চেয়ে চুপচাপ থাকাই পছন্দ করেন ব্রিটেনে জন্ম ও বেড়ে ওঠা তরুন রাফীন। বাংলাদেশ মানে হতাশা, দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা...। কিন্তু গতকাল বুধবার বিউটিফুল বাংলাদেশ তথ্যচিত্র দেখার পর বদলে গেছে রাফিনের ধারণা। তিনি এখন গর্ব করে বলছেন, আমি খুবই গর্বিত এই ভেবে যে, পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দেশ আমার অরিজিন।
বুধবার লন্ডনে অক্সফোর্ড হাউজে বেঙ্গল আর্ট ফোরাম আইসিসি ও বাংলাদেশ ট্যুারিজম বোর্ডের অর্থায়নে ২০১১ সালে মইনুল হোসেন মুকুল নির্মিত 'বিউটিফুল বাংলাদেশ'- এর দুটি আন্তর্জাতিক পুরুস্কার প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রদর্শনী অনুষ্ঠান শেষে রাফিন তার এ গর্বের কথা বলেন।
সাংবাদিক বুলবুল ইসলাম ও সংস্কৃতিকর্মী খাদিজা বেগমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেঙ্গল আর্ট ফোরামের আহবায়ক গীতিকার জাহাঙ্গীর রানা। এরপর জাগরেব ট্যুার ফিল্ম এওয়ার্ড ও পোল্যান্ড আর্ট এন্ড ট্যুার এওয়ার্ড প্রাপ্ত 'বিউটিফুল বাংলাদেশ' তথ্যচিত্র ও উল্লেখিত দুটি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আয়োজক কমিটির কর্তাব্যক্তি এবং তথ্যচিত্রে মূল চরিত্র রপায়নকারী ভিকি'র ভিডিও ম্যাসেজ দেখানো হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, মইনুল হোসেন মুকুল একজন সুদূর দৃষ্টিসম্পন্ন সেলুলয়েড কবি। একজন কবির পক্ষেই সম্ভব নিজের দেশকে এভাবে ফুটিয়ে তোলা। একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নির্মাতা হিসেবে মুকুল সেই মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন বিউটিফুল বাংলাদেশ তথ্যচিত্রে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ বলেছেন, মইনুল হোসেন মুকুল নির্মিত বিউটিফুল বাংলাদেশ একটি নিটোল তথ্যচিত্র। আমরা যে বাংলাদেশের গল্প পৃথিবীকে বলতে চাই, মইনুল হোসেন মুকুল ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ‘ তথ্যচিত্রে মাত্র ১০ মিনিটে সেটি বলেছেন। পিস অব ওয়ার্ক, পিস অব আর্টের চমৎকার উদাহরণ হিসেবে এই কাজ টিকে থাকবে কালোত্তীর্ণ হয়ে।
ব্রিটেনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নব-নিযুক্ত প্রেস মিনিষ্টার সাংবাদিক নাদিম কাদির বলেছেন, ব্রিটেনে এসে বাংলাদেশকে আবার নতুন করে অনুভব করছি বিউটিফুল বাংলাদেশ দেখে।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন কবি শামীম আজাদ, ব্রিটিশ কারী এওয়ার্ডের প্রতিষ্টাতা এনাম আলী, ব্রিটেনের মূলধারার তথ্যচিত্র নির্মাতা রুহুল আমিন, নাট্যকার ও অভিনেতা ফজলুল কবীর তুহিন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাংবাদিক আনাস পাশা, সাংবাদিক উর্মি মাজহার, সাংবাদিক আ স ম মাসুমসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে নির্মাতা মইনুল হোসেন মুকুল উপস্থিত দর্শকদের সরাসরি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ভবিষ্যতে এই বিউটিফুল বাংলাদেশ নিয়ে একটি পূর্নদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র বানানোর স্বপ্নের কথা, যেখানে সারা পৃথিবী আবিস্কার করবে নতুন এক বাংলাদেশকে।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ মে ২০১৫/ এস আহমেদ