মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন পেশায় জড়িত প্রায় ৮ লাখ বাংলাদেশির বসবাস করছে। অনেকেই আবার পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে। কিন্তু প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাসকারী শিশুদের জন্য কোনো দেশীয় স্কুল নেই দেশটিতে। তাই মালয়েশিয়ায় শিশুদের শিক্ষার জন্য একটি বাংলাদেশি স্কুল প্রতিষ্ঠার আহবান করেছেন সাবেক শিক্ষা সচিব ও বঙ্গবন্ধু যাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান।
রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কুয়ালালামপুরের গ্রান্ড প্যাসিফিক হোটেলে অনুষ্ঠিত বৃহত্তর যশোর জেলা কল্যাণ সমিতির বার্ষিক মিলন মেলায় এ আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, কোনো একটি দেশের সভ্যতা-সংস্কৃতি না থাকলে সে জাতি বিলিন হয়ে যায়। শিশুদের মধ্যে সংস্কৃতি বিস্তারের অন্যতম মাধ্যম হলো স্কুল। তাই মালয়েশিয়া প্রবাসী শিশুদের জন্য বাংলাদেশি স্কুল স্থাপন করা প্রয়োজন।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশে চিকিৎসা, শিক্ষা ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা এবং অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ করতে আহবান করেন।
অনুষ্ঠানে সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। দপ্তর সম্পাদক এম এম কবিরুজ্জামান জীবন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ আরিফুজ্জামান এবং আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় এবং হাফেজ মাওলানা একরামুল হকের কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল জানান, দালালদের মাধ্যমে নকল 'ট্রাভেল পাস' করার ফলে অনেকই জেলে গেছে। নকল ট্রাভেল পাস নিয়ে কেউ যদি বাংলাদেশে যায়, বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন তাকে মালয়েশিয়ায় ফেরত পাঠাবে। অন্যদিকে ট্রাভেল পাস নকল করলে ওই ব্যক্তি তার নাগিরকত্ব প্রমাণ করতে ব্যর্থ হবে। ফলে তাকে সারা জীবন মালয়েশিয়ার জেলে থাকতে হতে পারে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন যশোর সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, উপদেষ্টা শাহিন সরদার, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার সুলতানুর রেজা, ইকবাল হোসেন সেলিম, বিপ্লব মোল্লা, রাশেদ বাদল, সাখাওয়াত হোসেন, কনিকা ইসলাম, অহিদুর রহমান অহিদ, মনির দেওয়ান, ইঞ্জিনিয়ার রাহাদুজ্জামান রাহাদ প্রমুখ।
মিলন মেলার এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়ার সভাপতি মনির বিন আমজাদ, হাজী সাইফুল, মিনারুল, শাহীন, বিল্লাল মোল্লা, রায়হান, এস এম সাগির রাজ, মো. রাসেদ আলী, গোলাম মোর্শেদসহ মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বৃহত্তর যশোর জেলার প্রবাসী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন