দিবসটি মূলত সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতিবারের মতো এবারও সৌদি আরব অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যদিয়ে এই দিবস উদযাপন করেছে সৌদি নাগরিক এবং এ দেশে বসবাসরত বিদেশিরা। ১৯০২ সালের ১৫ জানুয়ারি সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আব্দুল আজিজ আব্দুর রহমান আল সৌদ এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে তার পৈত্রিক শহর রিয়াদ দখল করেন। দীর্ঘ প্রায় ৩২ বছর সংগ্রামের পর ১৯৩২ সালের ২১ মে এক রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে আরবের বিভিন্ন অংশের একত্রিকরণের ঘোষণা দেয়া হয়। পরবর্তীতে একই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর আধুনিক সৌদি আরব গঠিত হয়। সেই থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর দিনটিকে সৌদি আরবের জাতীয় দিবস হিসেবে গণ্য করা হয়।
এদিকে এবারের জাতীয় দিবসে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে সবুজ পণ্য সামগ্রীর সমারোহ। বিভিন্ন মক্তবগুলো( লাইব্রেরি) খেলনা ও বইয়ের পাশাপাশি বাচ্চাদের পছন্দসই সবুজ রংয়ের পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, ক্যাপ, টিশার্ট, ব্যাজ, কাপ-প্লেট, ব্রেসলেটস, বড় আকারের চশমা এবং বেলুনসহ বিভিন্ন আইটেম বিক্রি করছে। সেই সঙ্গে নেট জগতে মামা হিসেবে পরিচিত ‘গুগল’ও সেজেছে সৌদি আরবের নিজস্ব সাজে। সড়ক-মহাসড়কে এবং সেখানে স্থাপিত ল্যাম্পপোস্টে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সৌদি আরবের ছোট-বড় প্রতিটি নগরীতে আলাদা আলাদাভাবে জাতীয় দিবস পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী জেদ্দা সমুদ্র সৈকতে উৎসবের নানা আয়োজন।
রিয়াদের মিউনিসিপল করপোরেশন একাধিক স্পটে জাতীয় দিবস উদযাপনের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিজয় দিবস উদযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক