টরন্টোয় স্থায়ী একটি শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠায় ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের যোগান দিতে স্বতঃস্ফর্তভাবে এগিয়ে এসেছে কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষ। এক সন্ধ্যার আয়োজনেই প্রায় ১২০ হাজার ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
কমিউনিটির বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা তো বটেই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে টরন্টোর কনস্যুলেটও এই উদ্যোগে প্রয়োজনীয় ভুমিকা রাখার অঙ্গীকার করেছেন।
বাঙালির প্রাণকেন্দ্র ডেনফোর্থ সংলগ্ন ডেনটনিয়া পার্কে স্থায়ী একটি শহীদ মিনারের জন্য তহবিল সংগ্রহে রবিবার সন্ধ্যায় কেনেডি কনভেনশন সেন্টারে 'গালা ডিনারের আয়োজন করা হয়। এতে কমিউনিটির বিভিন্ন পেশা এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
টরন্টো সিটি মেয়র জন টরি, স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট থেকে নির্বাচিত এমপিপি ডলি বেগম, বিচেস ইস্ট ইয়র্ক এলাকার এমপিপি রিমা বার্নস-ম্যাকগাউন, কাউন্সিলর ব্রাড ব্রাডফোর্ড, সাবেক কাউন্সিলর জ্যানেট ডেভিস, টরন্টোয় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাইমউদ্দিন আহমেদ, ভাষা সৈনিক শামসুদ্দিন আহমেদ এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের খ্যাতনামা অভিনেতা আফজাল হোসেন এবং অপি করিম ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
অরুনা হায়দার এবং সুমন সাইয়েদের সঞ্চালনায় অর্গানইজেশন অব মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে মনুমেন্ট ইনক (ওএমএলডিএমআই) এর পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার চয়নিকা দত্ত অভ্যাগত অতিথিদের স্বাগত জানান। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিজওয়ান রহমান শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানের কনভেনর নাহিদ আখতারসহ সংগঠনের অন্যান্য পরিচালকরাও এ সময় বক্তব্য রাখেন।
শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার জন্য তহবিল সংগ্রহের আহ্বানে কমিউনিটির সদস্যরা বিপুলভাবে সাড়া দেন। বিভিন্নজন মঞ্চে গিয়ে নানা অংকের অনুদানের ঘোষণা দিতে থাকেন। জানা যায়, এই সন্ধ্যার আয়োজনেই প্রায় ১২০ হাজার ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
অনুষ্ঠান শেষে ওএমএলডিএমআই এর প্রেসিডেন্ট ম্যাক আজাদ বলেন, কমিউনিটির সকল স্তরের মানুষ বিশেষ অগ্রজ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ যেভাবে তহবিল সংহ্রহের আয়োজনে সাড়া দিয়েছেন তাতে আমরা অভিভূত। আমরা নতুন করে প্রমাণ করেছি, বাংলাদেশি কমিউনিটি বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অনেক বড় কিছুই অর্জন করতে পারে।
খবর: নতুনদেশ ডটকম
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ