অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সাথে জন্মদিনটি উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন, ভিয়েনা।
বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের নিজস্ব ভবনের আঙিনায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। সঞ্চালনা করেন, প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. তারাজুল ইসলাম।
পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন, মিশনের উপ-প্রধান রাহাত বিন জামান। প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কাউন্সিলর মিস মালিহা শাহজাহান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক ও সাংবাদিক এম নজরুল ইসলাম, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আনবিক সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা ড. শহীদ হোসেন, দূতাবাসের অনারারি কাউন্সিলর ভলফগাং উইনিনগার, দূতাবাসের সাবেক অনারারি কাউন্সিলর কমার এরনষ্ট গ্রাফট, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, সহ-সভাপতি রুহী দাস সাহা, অষ্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মিস নাসরিন নাহিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত তার বক্তব্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জীবনের বিরাট অংশ জেলে কাটিয়েছেন, আর এ সময় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রজ্ঞা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিবার দেখাশোনার পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদেরও আগলে রেখেছিলেন। বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন। ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন।’
অনুষ্ঠানে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নিজেকে নেপথ্যে রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন। তিনি তার সচেতন বোধ এবং নিজস্ব চিন্তাচেতনায় তার সময়কে যেভাবে উপলব্ধি করেছিলেন, তা ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে ভিন্নমাত্রা লাভ করে।’
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের নিউক্লিয়ার এটাশে ড. শামসুজ্জামান, হিসাব রক্ষক মাহবুবুল আলম, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম জসিম, গাজী মোহাম্মদ, লুৎফর রহমান সুজন, মোহাম্মদ আলী, বিল্লাল হোসেন, ফিরুজ সরদারসহ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন দূতাবাসের সহকারী কনস্যুলার অফিসার জুবায়দুল হক চৌধুরী। আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই