জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সন্ত্রাসের ভিকটিম হয়ে যারা মারা গেছেন এবং যারা ক্ষত বহন করে অবর্ণনীয় দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন, তাদের সকলের প্রতি সহানুভূতিশীল এই বিশ্ব সংস্থা। সন্ত্রাসের ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে জাতিসংঘের বহুমুখী তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
বিশ্বব্যাপী ‘সন্ত্রাসের ভিকটিমদের স্মরণে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে ২১ আগস্ট এক ভার্চুয়াল স্মরণ-সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
‘সন্ত্রাসের শিকারদের মধ্যে সৃষ্ট ভীতি কখনোই দূর করা সম্ভব হয় না। তবে আমরা তাদের মনোবল দৃঢ় করার জন্যে প্রকৃত সত্য ধারণ করে ন্যায়বিচার নিশ্চিতের প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে পারি। আহতদের সুচিকিৎসা এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোরালো স্লোগান উঠিয়ে সন্ত্রাসবাদে লিপ্তদের থামিয়ে দিতে পারলেও অনেকটা বড় কাজ হবে’, বলেন মহাসচিব।
মহাসচিবের মতে, এবারের স্মরণ-সমাবেশে ভিন্নতা এসেছে। যদিও করোনাভাইরাসও সবচেয়ে শক্তিশালী একটি সন্ত্রাসের নামান্তর বলে মনে করেই আমাদের সঠিক পথে এগোতে হচ্ছে। বোমা সন্ত্রাস অথবা অস্ত্র সন্ত্রাসের চেয়েও ভয়ংকর রূপে গোটাবিশ্বকে তছনছ করে দিচ্ছে করোনাভাইরাস। একে রুখতে আক্রান্তদের সুচিকিৎসা এবং মানসিকভাবে সবল রাখার দায়িত্বটি সকলকে কাঁধে নিতে হচ্ছে। এই মহামারীকে যারা বা যেসব দেশ আমলে নিতে চায়নি বা চাচ্ছে না তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তাদের বহু স্বজন হারাতে হচ্ছে অকালে। মানবতার প্রতি সকলকে দ্বিধাহীন চিত্তে এগিয়ে আসতে হবে, যেমনটি সন্ত্রাসী হামলার পর হয়ে থাকে।
এ সময় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট তাইজিয়ান মুহাম্মদ-বন্দে করোনা বিজয়ীদের অভিবাদন জানিয়ে বলেন, ‘মানবতার শত্রু, সভ্যতার শত্রু হিসেবে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তারা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন মানবিকতার সমাজে। আমরা শুধু প্রত্যাশা করছি অযথা যেন আর কোনো বর্বরোচিত হামলার ঘটনা না ঘটে। কারণ, সন্ত্রাসী হামলার ভিকটিম বরাবরই অসহায় মানুষেরাই হচ্ছেন।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ