চট্টগ্রাম সমিতির এক বিশেষ জরুরি সভায় ‘বোর্ড অব ট্রাস্টি’ বিলুপ্ত করে অবিলম্বে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গত ২৩ অগাস্ট সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনে চট্টগ্রাম সমিতির নিজস্ব ভবনে এই সভায় কার্যকরী কমিটি, আজীবন এবং সাধারণ সদস্যরা অংশ নেন বলে সমিতির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আশরাব আলী খান লিটন জানান।
চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই জিয়ার নেতৃত্বাধীন কার্যকরী কমিটিকে সর্বময় ক্ষমতা দেয়া হয়েছে ৫ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্যে। একইসাথে সমিতির নিজস্ব ভবনের ভাড়া আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের সকল দায়িত্বও সভাপতি আব্দুল হাই জিয়ার ওপর ন্যাস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের এপ্রিলে চট্টগ্রাম সমিতির বর্তমান কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে। মেয়াদ হচ্ছে দু’বছরের। এরপর আরও ১৬ মাস অতিবাহিত হয়েছে, নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে কমিটির পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হয় যে, করোনাসহ নানাবিধ কারণে বিলম্ব ঘটেছে।
গত নির্বাচনের পরই কার্যকরী কমিটির একটি অংশ বিদ্রোহ ঘোষণা করে নানা অভিযোগে। সেই সংকট এখনও না কাটলেও চট্টগ্রামবাসীর সার্বিক কল্যাণে বিশ্বাসীরা একাগ্রচিত্তে নানা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন জিয়া ও লিটনের নেতৃত্বে। বিশেষ করে করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত প্রবাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে এই সমিতি অনন্য এক ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। জরুরি সভায় তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয় এবং সামনের দিন সমিতির কার্যক্রমে আরও গতি সঞ্চারের অভিপ্রায়ে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনে সকলে ঐক্যমত পোষণ করেন। এ সময় সাধারণ সদস্যরা অভিযোগ করেন যে, বোর্ড অব ট্রাস্টির ভূমিকা সমিতির কার্যক্রমে অভিভাবকসুলভ না হওয়ায় সেটির প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে।
সমিতির সভাপতি আব্দুল জিয়ার সভাপতিত্বে এ সভা সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আশরাব আলী খান লিটন। আলোচনায় অংশগ্রহণকারি নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন শামসুল আলম চৌধুরী, শাহজাহান সিরাজি, খোকন কে চৌধুরী, মাসুদ হোসেন সিরাজি, পরিমল কে নাথ, মতিউর চৌধুরী, শাহাবউদ্দিন চৌধুরী লিটন, এম এ জাফর, মোহাম্মদ সিকান্দর, শফিউল আলম, মো. জসীমউদ্দিন, শওকত হোসেন, মোহাম্মদ আলী লিটন, আবুল কাশেম,আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, এনাম চৌধুরী, মোহাম্মদ হোসেন রুমি, মোহাম্মদ এ হাবিব, মেহেবুবুর রহমান বাদল, নাসির মাস্টার, হাজী শফি, হাজী টি আলম, মোহাম্মদ উদ্দিন, হারুন রশীদ, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, বদিউল আলম, নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ রাশেদ, রেজাউল করিম প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ