জার্মানিতে কোনো ভাবেই কমছে না করোনার সংক্রমণ। করোনার নতুন ধরনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের সময়সীমা আগামী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে প্রশাসন। এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়সহ প্রবাসী হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা।
বার্লিন প্রবাসী ব্যবসায়ী ও সাবরসিতো রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী শাহালম জানান, তার রেস্টুরেন্টগুলোতে কর্মস্থানের ব্যাবস্থা করেছেন বেশ কয়েক জন প্রবাসীর। করোনার লকডাউনে তাদের ভরণপোষণের বিষয়টাও দেখে আসছি শুরু থেকেই। তবে জার্মানিতে বারবার লকডাউনের সময়সীমা বেড়ে যাওয়ায় নিজের প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি প্রবাসী কর্মচারীদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি হুমকির মুখে পড়বে।
এদিকে জার্মানিতে আগামী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনে দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় রেষ্টুরেন্ট, হোটেল ও পর্যটন খাতে কর্মরত প্রবাসীরাও দিন পার করছেন চরম উৎকন্ঠায়। কর্মহীন হওয়ার পাশাপাশি দেশের স্বজনদের কাছে রেমিট্যান্স পাঠানো নিয়েও আছেন দুঃচিন্তায়।
প্রবাসী বদিউজ্জামান জানান, লকডাউনে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত তিনি। কাজের পরিধি কমার সাথে সাথে কমেছে রোজগারও। তবে দুঃচিন্তা শুধু দেশে নিয়মিত পরিবারের কাছে টাকা পাঠানোতে ভাটা পড়ায়। একই অবস্থা ট্রাভেল এজেন্সীর ব্যবসায়ও। ব্যবসায়ী শামীম আহমেদ জানান, সত্যিই দুর্দিন যাচ্ছে ট্রাভেল ব্যবসায়।
এদিকে করোনার নিত্যদিনের ভোগান্তিতে প্রায় প্রতিদিনই কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে জার্মানিতে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় সর্বমোট মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৬ হাজার। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী ব্যবসায়ীসহ কর্মজীবীরা মনে করছেন, টিকা প্রদান কার্যক্রম গতি পেলে সংক্রমণ অনেকটাই কমে আসবে। তবে টিকা প্রদান কার্যক্রমে ধীরগতি এবং মাস্ক ক্রয়ে দুর্নীতির কারণে আপাতত সমালোচনার মুখে মের্কেল প্রশাসন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার